দ্রুততম মানব ও মানবীর দু’টি খেতাবই গেছে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর ঘরে। ফের দেশের দ্রুততম মানব হয়েছেন মো. ইসমাইল ও দ্রুততম মানবী শিরিন আক্তার। গতকাল বঙ্গবন্ধু জাতীয় অ্যাথলেটিক্সের ১০০ মিটার স্প্রিন্টে ইসমাইল সময় নেন ১০.৫৫ সেকেন্ড। অন্যদিকে শিরিন দ্রুততম মানবীর ১১তম খেতাব জিতলেন ১১.৮০ সেকেন্ডে।
দ্রুততম মানবের খেতাব জিতলেও তেমন উন্নতি নেই মো. ইসমাইলের। তবে ইসমাইল বলেন, ‘করোনাকালে অনুশীলন করায় অনেক বাধা ছিল। এই সময়ে দৌড়ে প্রথম হয়েছি। নিজে নিজে একটু সন্তুষ্ট যে দ্রুততম মানবের খেতাবটা ধরে রাখতে পেরেছি। আশা করি বাংলাদেশ গেমসে সময় কমাতে পারবো।’ টানা তৃতীয়বার ১০০ মিটার স্প্রিন্টে সেরার মুকুট ধরে রাখা এই অ্যাথলেট যোগ বলেন, ‘আমরা যেগেতু সার্ভিসেস দলের, আমাদের অনেক সীমাবদ্ধতা থাকে।
তারমধ্যেও আমাদের অথরিটি অনেক সাপোর্ট দিয়েছেন। প্লেয়াররা কিভাবে অনুশীলন করতে পারে সে দিকে খেয়াল রেখেছিলেন। অনেক নিয়ম-কানুনের মধ্যে আমরা অনুশীলন করেছি।’ তারপরেও সাফ গেমস নিয়ে আশাবাদী নৌবাহিনীর এই অ্যাথলেট বলেন, ‘এই পর্যায়ে এসে বলবো সাফে স্বর্ণ জেতা সম্ভব। সাফ গেমসে যারা জিতেছেন, তাদের সঙ্গে পয়েন্ট ২০ মাইক্রোসেকেন্ডের ব্যবধান ছিল। আমি দৌড়েছি ১০.৭০ সেকেন্ডে। আর উনারা দৌড়েছেন ১০.৫০ সেকেন্ডে। ওরা বাইরের দেশে দীর্ঘদিন অনুশীলন করেছিল। আমাদের যদি বিদেশে দীর্ঘদিন অনুশীলন করানো হয়,তাহলে আমরাও পারবো। তাছাড়া এখানে টাইমিংটা ভালো না হওয়ার জন্য টার্ফের দোষ রয়েছে। এখানে পুশ করলে রিটার্ন দিচ্ছে না। যে কারণে শক্তিটা চলে যাচ্ছে।’ এক সময় দেশের দ্রুততম মানবীর খেতাব দীর্ঘদিন নিজের কাছে রেখেছিলেন বিউটি আক্তার। জাতীয় ও সামার অ্যাথলেটিকসে টানা ১১ বার দ্রুততম মানবীর খেতাব জিতে সেদিকে এগুচ্ছেন শিরিন আক্তারও। তবে টানা রেকর্ডটি নিজের বলেই দাবি করলেন নৌবাহিনীর এই অ্যাথলেট, শিরিন বলেন, ‘এটি বিউটি আপুর রেকর্ড না। আমি নিজেই নিজের রেকর্ড বারবার ভেঙেছি। এর আগে সুফিয়া ম্যাম ও লাভলী আপার ছিল টানা সাত বার। সেটিকে টপকে আমি ১১তে উন্নীত করেছি।’ নিজের টাইমিং নিয়ে খুব খুশি নন শিরিন। বলেন, ‘আমার কোচ আবদুল্লাহ হেল কাফি যদি খুশি হন, তাহলে আমিও খুশি। তবে তিনি নিশ্চয়ই আরও ভালো টাইমিং আশা করেছিলেন। আমি মোটামুটি খুশি। সামনে
বাংলাদেশ গেমস আছে। ওটাতে ইনশাল্লাহ আরও ভালো টাইমিং করতে চাই। টানা সাফল্যের মূলমন্ত্র সম্পর্কে শিরিন বলেন, ‘কম্পিটিশন ছিল না। তবে করোনার সময় সেনাবাহিনী এবং নৌবাহিনীতে ভালো অনুশীলন হয়েছে। আমি নিজে অবশ্য অনুশীলন করেছি সাভারের বিকেএসপিতে। আমার সাফল্যের পেছনে নৌবাহিনীর অবদান অনেক।’ ভবিষ্যতের লক্ষ্য নিয়ে দ্রুততম মানবী বলেন, ‘১০০ মিটারে আমার সেরা ইলেকট্রনিক্স টাইমিং ১১.৯৯ সেকেন্ড। এটা বাংলাদেশেরও রেকর্ড (গৌহাটি এসএ গেমস, ২০১৬)। আমার ইচ্ছা- এই টাইমিংকে অতিক্রম করা। দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে দ্রুততম মানবী হতে চাই। এজন্য আগামী দুই-তিন বছর আমি যথাসাধ্য চেষ্টা করবো।’