× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার , ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৬ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

রাশিয়া-যুক্তরাষ্ট্র সামরিক উত্তেজনা বৃদ্ধি পাবে

বিশ্বজমিন

মানবজমিন ডেস্ক
(৩ বছর আগে) জানুয়ারি ১৬, ২০২১, শনিবার, ১০:৪৮ পূর্বাহ্ন

মুক্ত আকাশ বিষয়ক চুক্তি থেকে বেরিয়ে যাচ্ছে রাশিয়া। এর ফলে যুক্তরাষ্ট্রের সাথে তাদের সামরিক সম্পর্ক বা সামরিক উত্তেজনা আরও তীব্র হবে। নিউইয়র্ক টাইমসের এক খবরে বলা হয়েছে, এর ফলে শুধু যুক্তরাষ্ট্রের সাথে রাশিয়ার উত্তেজনা তীব্রতর হবে এমন না। এই উত্তেজনা তীব্রতর হবে ইউরোপের সাথে। এ ঘটনা এমন এক সময়ে ঘটতে যাচ্ছে, যখন যুক্তরাষ্ট্রের নতুন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন তার ক্ষমতা গ্রহণের আর মাত্র হাতেগোনা কয়েকটি দিন বাকি। এর ফলে যে ঘটনা ঘটবে তা হলো, রাশিয়ার সাথে এই চুক্তিটি বহাল রাখতে গেলে যুক্তরাষ্ট্রের নতুন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন প্রশাসনকে নতুন করে সমঝোতায় আসতে হবে। ওই চুক্তি থেকে বেরিয়ে যাওয়ার এমন সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। চুক্তির নাম হচ্ছে ‘ওপেন স্কাইজ ট্রিটি’।
উল্লেখ্য এই চুক্তিটি করা হয়েছিল ১৯৯২ সালে যুক্তরাষ্ট্রের সীমিত ব্যবহারের জন্য। কারণ তাদের রয়েছে গোয়েন্দা স্যাটেলাইটের বড় একটি নেটওয়ার্ক। চুক্তিটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এই চুক্তির অধীনে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় দেশগুলো তাদের সীমান্তে রাশিয়ার সেনাদের মুভমেন্ট অথবা তাদের চলাচলের দিকে দৃষ্টি রাখতে পারে। এখানে উল্লেখ করার বিষয় হলো গত বছর চুক্তি থেকে বেরিয়ে যান বর্তমান বিদায়ী প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প। তিনি ধারণা করেছিলেন যুক্তরাষ্ট্রকে এই চুক্তি থেকে বের করে নিলে পুতিন নতুন করে চুক্তি করার জন্য আগ্রহ প্রকাশ করবেন এবং তারা সমঝোতার দিকে অগ্রসর হবেন। কিন্তু রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিন সেটা করেননি। নিউইয়র্ক টাইমস বলছে- এর ফলে যুক্তরাষ্ট্রের জো বাইডেন প্রশাসনের পক্ষে রাশিয়ার সাথে নতুন করে চুক্তি সম্পাদন করা বেশ কঠিন হয়ে পড়বে। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প যে নিয়ন্ত্রণ এবং সামরিক নজরদারির বিষয়গুলো প্রত্যাখ্যান করেছেন সেটা উল্টে দেয়া অথবা তার বিপরীতে যাওয়া জো বাইডেন প্রশাসনের জন্য বেশ কঠিন হবে। তবে রাশিয়া যে ঘোষণা দিয়েছে তা কার্যকর হতে হলে চুক্তিতে স্বাক্ষরকারী প্রত্যেকের সঙ্গে বৈঠক প্রয়োজন হবে। তার মধ্যে রয়েছে ইউরোপীয় দেশগুলোও। এই দেশগুলো কর্মকা- নিয়ে সাম্প্রতিক সময়ে বেশ উদ্বিগ্ন। এই চুক্তিকে রক্ষা করার জন্য দৃশ্যত যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্ররা আগ্রহী নয় বলে মন্তব্য করেছে রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। নতুন সরকারের অধীনে এই চুক্তিটি টেকসই করার যে প্রস্তাব দিয়েছে, তার প্রতি কোনো সাড়া মেলেনি রাশিয়ার। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আরো বলেছে, তারা যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে কোনো সাড়া না পাওয়ায় হতাশ।
আগামী ৫ই ফেব্রুয়ারি পারমাণবিক অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ চুক্তির মেয়াদ শেষ হয়ে যাচ্ছে- অবশ্য যদি এক্ষেত্রে সদস্য দেশের সরকারগুলো এই চুক্তির মেয়াদ আরো ৫ বছর মেয়াদ বাড়াতে একমত না হয়। এই চুক্তিকে যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার মধ্যে পারমাণবিক অস্ত্রের প্রতিযোগিতা সীমাবদ্ধ করার সর্বশেষ বড় ধরনের একটি চুক্তি হিসেবে বিবেচনা করা হয় । চুক্তির অধীনে এক দেশ অন্য দেশে ১৫৫০ পারমাণবিক অস্ত্র মোতায়েন করতে পারে । এর প্রেক্ষিতে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিন এবং যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত বাইডেন চুক্তিটি আরো ৫ বছর মেয়াদ বর্ধিত করার জন্য পক্ষে। সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা প্রশাসনের অধীনে মূল এই চুক্তিতে উভয় পক্ষ সম্মত হয়েছিল। এই চুক্তির মেয়াদ বর্ধিত করার ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের সিনেটের নতুন করে ভোটাভুটি হওয়ার কোন প্রয়োজন থাকবে না।
কিন্তু এক্ষেত্রে সমস্যাটি হচ্ছে রাশিয়া হয়তো চুক্তিটিকে সজীব রাখার জন্য নতুন নতুন দাবি উত্থাপন করতে পারে। অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত বাইডেন রাশিয়ার বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। তিনি প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্র সরকারের বিভিন্ন এজেন্সির এবং কর্পোরেশনগুলোর বিরুদ্ধে রাশিয়া যে হ্যাকিংযজ্ঞ চালিয়েছে, তার মূল্য তাদেরকে দিতে হবে। গত মাসে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে হ্যাকিং-এর খবর প্রকাশিত হয়। এখন প্রশ্ন হচ্ছে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত যে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তার অধীনে রাশিয়ার বিরুদ্ধে অবরোধ দিতে পারেন তিনি। পাশাপাশি তিনি এই চুক্তির মেয়াদ বর্ধিত করার জন্য আলোচনা চালিয়ে যেতে পারেন।
মন্ত্রিসভায় গুরুত্বপূর্ণ পদে যেসব মন্ত্রী আসছেন তাদেরকে অবশ্যই সিনেট কর্তৃক অনুমোদিত হতে হবে। এই চুক্তিটি নিয়ে আলোচনার জন্য যে সময়ের প্রয়োজন সেই সময়ের মধ্যে এই অনুমোদন অর্থাৎ প্রশাসনের গুরুত্ব পূর্ণ মন্ত্রীদের অনুমোদন তখনও হয়তো নিশ্চিত হবে না। এমন অবস্থায় দায়িত্বটা পড়তে পারে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা বিষয়ক নতুন উপদেষ্টার ওপর। তাকে এই পদে মনোনয়ন দেয়ার পর তা অনুমোদিত হওয়ার কোন প্রয়োজন নেই। তাকে জো বাইডেন নিয়োগ দেয়ার সঙ্গে সঙ্গে নিয়োগ বৈধতা পেয়ে যায়। ফলে তার উপর এক্ষেত্রে গুরুদায়িত্ব বর্তায়।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর