বৃটেনে প্রায় প্রতিদিন সহস্রাধিক মানুষ কোভিডে মারা যাচ্ছেন। এর মধ্যে বাংলাদেশি মানুষের সংখ্যা অনুপাতে কম নয়। গত কয়েক মাসে কমিউনিটির অনেক উল্লেখযোগ্য মানুষ পরপারে পাড়ি জমিয়েছেন। কোভিডে-১৯ তথা করোনাভাইরাসে গতকাল শুক্রবার প্রাণ হারিয়েছেন কমিউনিটির পরিচিত মুখ সমাজসেবী আকদ্দস আলী ও তার ছোটভাই আওয়ামী লীগ নেতা আবুল লেইছ মিয়া।
১৫ জানুয়ারি শুক্রবার সকালে বড় ভাই আকদ্দস আলী রয়েল লন্ডন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিলো ৭৫ বছর। তিনি স্ত্রী, ৪ ছেলে ১ মেয়ে রেখে গেছেন। একই দিন বিকেলে নিজ বাসায় মারা গেলেন ছোটভাই আবুল লেইছ মিয়া। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিলো ৬৬ বছর।
মরহুমদের দেশের বাড়ি সুনামগঞ্জ জেলার জগন্নাথপুর উপজেলার শ্রীরামশী গ্রামে। তাদের পিতা মরহুম মখলিস মিয়া ছিলেন এলাকার প্রবীণ সালিশ ব্যক্তিত্ব ও শ্রীরামশী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান।
আবুল লেইছ মিয়া ছিলেন প্রবাসে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম তরুণ সংগঠক। তিনি দীর্ঘদিন যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি ও লন্ডন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।
একই দিনে দুই ভাইয়ের মৃত্যুর খবরে বাংলাদেশি কমিউনিটিতে গভীর শোকের ছায়া নেমে আসে। তাদের মৃত্যুতে শোক জানিয়েছে যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগ ও অন্যান্য কমিউনিটি নেতৃবুন্দ।
যুক্তরাজ্যে আওয়ামী লীগের সভাপতি সুলতান মাহমুদ শরীফ ও ভারপ্রাপ্ত সাধারন সম্পাদক নইম উদ্দিন রিয়াজ এক বিবৃতিতে গভীর শোক ও শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি আন্তরিক সমবেদনা জানিয়েছেন।
নেতৃবৃন্দ বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধের একজন তরুণ সংগঠক হিসেবে প্রবাসে আবুল লেইছ মিয়া অসামান্য অবদান রেখেছেন এবং ৭৫ পরবর্তী জাতীয় দুঃসময়ে প্রবাসে আওয়ামী লীগের একজন দক্ষ সংগঠক হিসেবে কাজ করে গেছেন। তিনি একজন স্পষ্টবাদি মানুষ হিসেব কমিউনিটিতে পরিচিত ছিলেন। তার মৃত্যুতে বাঙালি কমিউনিটিতে যে শূন্যতার সৃষ্টি হলো তা কখনো পুরণ হবার নয়।
যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগ নেতা হরমুজ আলী, এসেক্স শাখা আওয়ামী লীগ সভাপতি কয়েস চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মেদ নাজিমুদ্দিন, বিশিষ্ট আইনজীবী ব্যারিষ্টার নাজির আহমদ, সলিসিটর আবুল কালাম চৌধুরী প্রমুখ গভীর শোক প্রকাশ করে বলেন, একই দিনে দুই ভায়ের মুত্যুতে আমরা শোকাহত। আল্লাহ তায়ালা যেন তাদের পরিবারের সবাইকে ধৈর্য ধরার ক্ষমতা দেন এবং মরহুমদের জান্নাতুল ফেরদৌস দান করেন। আমিন।