দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় সচেতন নাগরিকদের এগিয়ে আসার আহবান জানিয়েছেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা। শনিবার দুপুরে রাজধানীর একটি রেস্টুরেন্টে বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টি আয়োজিত দেশের মঙ্গল কামনায় এক দোয়া মাহফিলে অংশ নিয়ে এ আহবান জানান তারা।
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক মন্ত্রী মেজর অব. হাফিজ উদ্দিন আহমদ বীর বিক্রম বলেন, আজকে আমাদের কোনো নাগরিক অধিকার নেই। ভোটাধিকার নেই। এই দুঃসহ অবস্থা থেকে আমরা পরিত্রাণ চাই। আমি আশা করবো ৭১-এ যে তরুণদের দেখতে পেয়েছিলাম, যাদের এক মাসের ট্রেনিং দিয়ে যোদ্ধায় পরিণত করেছিলাম, যারা মাইন, কামানের গোলা, মেশিন গানের মুহূর্মূহূ গোলা অতিক্রম করে শত্রুর ওপরে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল। সেই ধরণের সাহসী সন্তানদের আবার রাজপথে দেখতে চাই। আসুন আমরা সবাই মিলে রাজপথে শামিল হয়ে দুঃশাসনের অবসান করতে পারি সেই লক্ষ্যে এগিয়ে যাই।
তিনি বলেন, আমরা রাজনৈতিক দুর্বৃত্তায়নের অবসান চাই। দুঃশাসনের অবসান চাই।
গণতন্ত্র আবার পুনঃপ্রতিষ্ঠা চাই। ভোটাধিকার চাই, মানবিক অধিকার চাই, সাম্য চাই, মানবিক মর্যাদা চাই। এটা কেউ আমাদের দেবে না। উত্তর দিক থেকেও দেবে না, দক্ষিণ দিক থেকেও দেবে না। কোনো দিক থেকে দেবে না। এটা আমাদের রাজপথে নেমে আদায় করতে হবে। আসুন আমরা সবাই একে অন্যের মঙ্গল কামনা করি। আমরা যেন আমাদের এই প্রিয় দেশটিকে পরবর্তী প্রজন্মের জন্য বসবাসযোগ্য করে রেখে যেতে পারি।
বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল অব. সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম বলেন, আমরা ঘুরে দাঁড়াতে চাই। রাজনীতির অঙ্গনের এই অচল অবস্থা থেকে উত্তরণ ঘটাতে চাই। সংবিধানে বর্ণিত মানুষের অধিকার পুন:স্থাপন করতে চাই। এর জন্য সচেতন নাগরিক ও সাবেক সমারিক কর্মকর্তা যারা এখানে এসেছেন তাদের নিয়ে নতুন যাত্রা শুরু করতে চায় বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টি। আজ বাংলাদেশ মুখ থুবরে পড়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশের স্বাধীনতা এবং সার্বভৈৗমত্ব নগ্ন হুমকির সম্মুক্ষীণ হয়েছে। এর থেকে বাঁচতে হলে সচেতন নাগরিকদের এগিয়ে আসতে হবে।
মেজর জেনারেল অব. সৈয়দ মুহম্মদ ইবরাহিমের সভাপতিত্বে দোয়া মাহফিলে আরও উপস্থিত ছিলেন, গণস্বাস্থ্যের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, বিএনপি নেতা সাবেক প্রতিমন্ত্রী আলমগীর কবির, লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, জাতীয় দলের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট সৈয়দ এহসানুল হুদা, এনপিপির চেয়ারম্যান ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, সাবেক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী ড. আ ন ম এহসানুল হক মিলন, সাবেক সংসদ সদস্য নিলুফার চৌধুরী মনি, সাবেক সচিব সৈয়দ মারগুব মোর্শেদ, বিমান বাহিনীর সাবেক প্রধান অবসরপ্রাপ্ত এয়ার ভাইস মার্শাল ফখরুল আযম, মেজর জেনারেল অব. ফজলে এলাহী আকবর, মেজর জেনারেল অব. এহতেশাম, রিয়ার এডমিরাল অব. মোস্তাফিজুর রহমান, কল্যাণ পার্টির স্থায়ী কমিটির সদস্য ফোরকান ইবরাহিম, এবি পার্টির সদস্য সচিব মজিবুর রহমান মনজু, মেজর অব. সরোয়ার, ইসলামী ঐক্যজোটের মহাসচিব মাওলানা আব্দুল করিম, খেলাফত মজলিসের মহাসচিব ড. আহমেদ আব্দুল কাদের, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল অব. শরীফ, কর্নেল অব. হান্নান, সাবেক রাষ্ট্রদূত আসাফউদ্দৌলা, কল্যাণ পার্টির স্থায়ী কমিটির সদস্য প্রফেসর ডা. ইকবাল মাহমুদ, বিগ্রেডিয়ার জেনারেল অব. হাসান নাসির, জামায়াতে ইসলামীর নেতা মাওলানা আব্দুল হালিম, ইতিহাসবিদ নজরুল ইসলাম, মাওলানা মোশারফ হোসেন, বিএসএমএমইউএর সার্জারি বিভাগের সাবেক ডিন প্রফেসর সাইফুল ইসলাম, জাগপা মহাসচিব সাইফুল ইসলাম, ঢাবির অধ্যাপক নুরুল আমিন বেপারীসহ অর্ধশতাধিক অবসরপ্রাপ্ত সামরিক কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।