× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

এক ব্রিটিশ বাংলাদেশির সফলতা /৫'শ পাউন্ড পুঁজিতে এখন মিলিয়নিয়ার

অনলাইন

তানজির আহমেদ রাসেল 
(৩ বছর আগে) জানুয়ারি ১৬, ২০২১, শনিবার, ৭:৩২ অপরাহ্ন

পরিকল্পনা, পরিশ্রম আর আকাশ ছোঁয়ার স্বপ্ন নিয়ে মাত্র ৫'শ পাউন্ড পুঁজি নিয়ে ব্যবসা শুরু করে এখন বছরে মিলিয়ন পাউন্ড আয় করছেন ৩৪ বছর বয়সী এক ব্রিটিশ বাংলাদেশি উদ্যোক্তা। স্বপ্ন দেখছেন বছরে বিলিয়ন পাউন্ড উপার্জনের। নিজের নন সার্জিক্যাল স্কিন কেয়ার প্রতিষ্ঠান ‘স্কিন এইচ কিউ’র মাধ্যমে যুক্তরাজ্যের ২০২০ সালের সফল তরুণ উদ্যোক্তাদের মধ্যে স্থান করে নিয়েছেন বৃটিশ বাংলাদেশি হারুন দানিস। ওয়েলস অনলাইনে প্রকাশিত ৩৫ সফল তরুণ উদ্যোক্তার তালিকায়  একমাত্র বাংলাদেশি হিসেবে সপ্তম স্থান অধিকার করেছেন হারুন। 

 

যুক্তরাজ্যের ম্যানচেস্টারে মাত্র ৫'শ পাউন্ড পুঁজি নিয়ে দশ বছর আগে স্বল্প পরিসরে ‘স্কিন এইচ কিউ’ ক্লিনিক চালু করলেও এখন যুক্তরাজ্যে রয়েছে তাদের পাঁচটি শাখা। ‌ বর্তমানে এ কোম্পানিতে কাজ করেন অর্ধশতাধিক মানুষ। যুক্তরাজ্যের আরও পাঁচটি সিটিতে শাখা খোলার পরিকল্পনা ছাড়াও ফ্রাঞ্চাইজের মাধ্যমে‌ আমেরিকা,  ইউরোপ, অস্ট্রেলিয়াসহ এশিয়ার বিভিন্ন দেশে ব্যবসার প্রসার ঘটানোর আশাবাদ ব্যক্ত করেন হারুন। তিনি জানান, বর্তমানে একেকটি শাখার বার্ষিক আয় ১ মিলিয়ন পাউন্ড। এভাবে হাজারটি  ফ্রাঞ্চাইজ চালু করা গেলে বার্ষিক বিলিয়ন পাউন্ড আয় আর স্বপ্ন থাকবে না।‌

 

হারুন দানিস লন্ডনে জন্ম নিলেও স্কুল-কলেজ শেষ করেছেন ওয়েলসে।

বর্তমানে  ম্যানচেস্টারে বসবাস করছেন।‌ মানচেস্টার ইউনির্ভাসিটিতে ভর্তির পর গ্যাপ ইয়ার নিয়ে এ ব্যবসা প্রতিষ্ঠা করেন। ব্যবসার কারণে আর বিশ্ববিদ্যালয়ে ফেরা হয়নি। 

 

হারুন দানিসের দাদা পঞ্চাশের দশকে সিলেটের জগন্নাথপুর থেকে বৃটেনে পাড়ি জমান। প্রথমে টেক্সটাইলে ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করলেও পরে নিজেই কাপড়ের ফ্যাক্টরি চালু করেন। বাবা রেস্টুরেন্ট ব্যবসায় জড়িত। হারুন শুরুতে বাবার সাথে রেস্টুরেন্ট ব্যবসায় জড়িত থাকলেও পরবর্তী সময়ে তা থেকে বেরিয়ে  স্কিন কেয়ার ইন্ডাস্ট্রিতে জড়িয়ে পড়েন। 

 

পরিসংখ্যান মতে, শুধুমাত্র স্কিন কেয়ার খাতে বিশ্ব বাজার ১৪৫ বিলিয়ন ডলারের চাহিদা রয়েছে। ‌

হারুন দানিস জানান, করোনা মহামারিতে বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক মন্দায়ও তার ব্যবসা নিয়মিত এগিয়ে যাচ্ছে। ফ্রাঞ্চাইজের মাধ্যমে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে দেওয়ার কাজ ইতিমধ্যেই শুরু করেছেন এবং প্রতিনিয়ত আগ্রহীরা যোগাযোগ করছেন। তারই অভিজ্ঞতার আলোকে সম্প্রতি সহ লেখক হিসেবে "ফ্রাঞ্চাইজিং ফ্রীডম" নামে একটি বইও লেখেন যা আমাজনে প্রকাশিত হবার একদিনের মাথায় যুক্তরাজ্য, আমেরিকা ও অস্ট্রেলিয়ায় বিক্রির ক্ষেত্রে শীর্ষ স্থান দখল করে নেয়।

 

ইউকে স্কেল আপ ইনস্টিটিউটের তথ্য মতে মাত্র তিন বছরে হারুন তার প্রতিষ্ঠান স্কিন এইচ কিউকে ব্রিটেনের টপ  ১ % ব্যাবসায়িক প্রবৃদ্ধি অর্জনের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করেছেন। ব্যবসায়িক সফলতার স্বীকৃতিস্বরূপ আমেরিকার বিখ্যাত স্টিভি অ্যাওয়ার্ড লাভ করেন হারুন। ২০২০ সালের স্টিভির ১৭তম এই আসরে বিশ্বের ৬৩টি দেশের মধ্যে থেকে দুইটি ক্যাটাগরিতে চূড়ান্ত পদক জিতে নেন তিনি। এছাড়াও তার অর্জনে রয়েছে যুক্তরাজ্যের লয়েডস টিএসবি ব্যাংক অ্যাওয়ার্ড, গ্রেট বৃটিশ উদ্যোক্তা অ্যাওয়ার্ড ।  হারুন দানিসের লিখা ‘ফ্রাঞ্চাইজিং ফ্রিডম’ নামের বই আমাজানে বিক্রির শীর্ষ স্থান দখল করে আছে।  ‘স্কিন এইচ কিউ’ ফ্রাঞ্চাইজের শাখা বিস্তারের মাধ্যমে নতুন কর্মসংস্থান বৃদ্ধির লক্ষ্যে নর্দান আয়ারল্যান্ডের সরকারের সাথে কাজ করছে। এই ধারাটি বাংলাদেশ প্রবর্তনের ইচ্ছা রয়েছে হারুনের। বাংলাদেশে ব্যবসায়িক প্রসার ঘটিয়ে জাতীয় প্রবৃদ্ধিতে সম্পৃক্ত হতে চান তিনি। 

 

অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর