প্রায় সাড়ে ৮ হাজার ক্রীড়াবিদের মিলনমেলা বসবে এবারের বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ গেমসে। ১-১০ই এপ্রিল বিভিন্ন ভেন্যুতে অনুষ্ঠিত হবে ‘বাংলাদেশের অলিম্পিক’ খ্যাত বৃহৎ এই ক্রীড়া আসর। তবে আসরে ডিসিপ্লিন কমানো না হলেও ক্রীড়াবিদদের সংখ্যা কমছে। আগে ১০ হাজার ক্রীড়াবিদের অংশগ্রহণের কথা থাকলেও সেই সংখ্যা কমছে দেড় হাজার। গতকাল কুর্মিটোলায় বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের (বিওএ) সভাপতি ও সেনাপ্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কার্যনির্বাহী কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। সভা শেষে বিওএ’র মহাসচিব সৈয়দ শাহেদ রেজা বলেন, ‘ভ্যাকসিন এলে করোনা পরিস্থিতির উন্নতি ঘটবে। সামগ্রিক দিক বিবেচনা করে আমরা গত বছরের দিনক্ষণ ১-১০ এপ্রিলই রেখেছি।’ গেমস হলেও করোনার জন্য খেলোয়াড় সংখ্যা কমবে বলে জানিয়ে বিওএ মহাসচিব বলেন, ‘আমরা ডিসিপ্লিন সংখ্যা আগেরটা রেখে, খেলোয়াড় সংখ্যা কিছুটা কমাতে চাইছি। কারণ ডিসিপ্লিন কমালে অনেক ক্রীড়াবিদ অংশ নিতে পারবে না।’ বিওএ’র তথ্য মতে, আসন্ন গেমসে প্রায় সাড়ে আট হাজার ক্রীড়াবিদ, টিম অফিসিয়াল ও খেলা পরিচালনার জন্য টেকনিশিয়ান অংশ নেবেন।
বাংলাদেশ গেমসের প্রস্তুতির জন্য ফেডারেশনগুলোকে নির্দেশনা দেবে বিওএ। এই ব্যাপারে সহ-সভাপতি শেখ বশির আহমেদ মামুন বলেন, ‘আমরা খুব শিগগিরই ফেডারেশনগুলোর কর্মকর্তাদের সঙ্গে বসবো। অনেক ফেডারেশনের নিজস্ব সূচি রয়েছে। অনেকের নানা সমস্যা আছে। আমরা সেগুলো নিয়ে আলোচনা করে সুন্দর একটি গেমস উপহার দেব আশা করি।’ গত বছর ১-১০ এপ্রিল বঙ্গবন্ধু নবম বাংলাদেশ গেমস হওয়ার কথা ছিল। করোনাভাইরাসের জন্য গেমস অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত করা হয়। ১৯৭৮ সালে বাংলাদেশ অলিম্পিক নামে অনুষ্ঠিত হয়েছিল গেমসের প্রথম আসর। এরপর ২০০২ সাল পর্যন্ত নিয়মিত গেমস হলেও বড় এক গ্যাপ হয়ে যায় পরে। ১১ বছর ১১ মাস ১১ দিন পর অষ্টম আসর হয়েছিল ২০১৩ সালে। বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশন গেমসের পরের আসর ২০১৭ সালে আয়োজনের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল।
কিন্তু বিভিন্ন কারণে পেছাতে পেছাতে চলে এসেছে ২০২১ সাল পর্যন্ত।