দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় আট মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন ৫৭৮ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে। গত ১লা মে শনাক্ত হয়েছিলেন ৫৭১ জন। এর আগে ২৮শে এপ্রিলে শনাক্ত হয়েছিলেন ৫৪৯ জন। এখন পর্যন্ত সরকারি হিসাবে করোনা শনাক্ত হলেন ৫ লাখ ২৭ হাজার ৬৩ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন আরো ২১ জন। এতে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৭ হাজার ৮৮৩ জনে। একই সময়ে করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ৬৩৩ জন এবং এ নিয়ে এখন পর্যন্ত সুস্থ হলেন ৪ লাখ ৭১ হাজার ৭৫৬ জন।
গতকাল করোনা বিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এসব তথ্য জানিয়েছে।
এতে আরো জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ৪ দশমিক ৭৩ শতাংশ, এখন পর্যন্ত শনাক্তের হার ১৫ দশমিক ৩০ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮৯ দশমিক ৫১ শতাংশ এবং শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুহার ১ দশমিক ৪৯ শতাংশ।
গত ২৪ ঘণ্টায় করোনার নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ১২ হাজার ২১২টি এবং নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ১২ হাজার ২১৫টি। এখন পর্যন্ত দেশে মোট নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৩৪ লাখ ৪৪ হাজার ৭টি। দেশে বর্তমানে ১৯৯টি পরীক্ষাগারে নমুনা পরীক্ষা করা হচ্ছে।
এর মধ্যে সরকারি-বেরসকারি মিলিয়ে ১১৫টি আরটি-পিসিআর, ২৮টি জিন-এক্সপার্ট ও ৫৬টি পরীক্ষাগারে র্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্টের মাধ্যমে নমুনা পরীক্ষা করা হচ্ছে।
২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া ২১ জনের মধ্যে পুরুষ ১৩ এবং নারী ৮ জন। এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়ে পুরুষ মারা গেছেন ৫ হাজার ৯৭৬ এবং নারী ১ হাজার ৯০৭ জন। শতকরা হিসাবে পুরুষ ৭৫ দশমিক ৮০ শতাংশ এবং নারী ২৪ দশমিক ১৯ শতাংশ।
বয়স বিবেচনায় ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়াদের মধ্যে ৬০ বছরের বেশি রয়েছেন ১২, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে আছেন ৪, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে ৩ , ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে ১ জন এবং ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে আছেন ১ জন।
তারা সবাই হাসপাতালে মারা গেছেন। তাদের মধ্যে ঢাকা বিভাগের রয়েছেন ১৩, চট্টগ্রাম বিভাগের ৬ এবং রংপুর বিভাগের রয়েছেন ২ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে কোয়ারেন্টিনে যুক্ত হয়েছেন ৩৪০, ছাড়া পেয়েছেন ৪৩৩ জন। এখন পর্যন্ত কোয়ারেন্টিনে যুক্ত হয়েছেন ৬ লাখ ১২ হাজার ১৮২, ছাড়া পেয়েছেন ৫ লাখ ৭৫ হাজার ২৮০ জন। বর্তমানে কোয়ারেন্টিনে আছেন ৩৬ লাখ ৯০২ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আইসোলেশনে যুক্ত হয়েছেন ৮৬, ছাড়া পেয়েছেন ৮২ জন। এখন পর্যন্ত আইসোলেশনে যুক্ত হয়েছেন ৯৮ হাজার ৭৬, ছাড়া পেয়েছেন ৮৬ হাজার ৮৮৪ জন। এখন আইসোলেশনে আছেন ১১ হাজার ১৯২ জন।