গাইবান্ধা পৌরসভা নির্বাচনে কোমরনই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ৪টি গাড়ি ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও হামলার ঘটনায় পৃথক দুটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলায় স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী আনোয়ার-উল সারোয়ার সাহিবসহ ৪১ জনের নাম সহ অজ্ঞাতনামা আরও দেড় শতাধিক ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন গাইবান্ধা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাহাফুজার রহমান। তিনি জানান, ভোট কেন্দ্রের দায়িত্বরত র্যাব ও ম্যাজিস্ট্রেটের ৩টি গাড়ি ভাঙচুর ও ১টি গাড়িতে আগুন দেয়া সহ আইনশৃংখলা বাহিনীর সদস্যদের ওপর হামলার ঘটনায় এই দুটি মামলা হয়েছে। পুলিশ ও র্যাবের পক্ষ থেকে গাইবান্ধা সদর থানায় মামলা দুটি দায়ের করা হয়। এ ঘটনার রাতেই পুলিশ অভিযান চালিয়ে ৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। র্যাব-১৩ ক্যাম্পের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোসলেম বাদী হয়ে একটি ও অপর মামলাটি করেন পুলিশের এসআই মোক্তাদির রহমান। দুই মামলাতে ৪১ জন নাম সহ অজ্ঞাত আরও দেড় শতাধিক ব্যক্তিকে আসামী করা হয়।
হামলায় জড়িতদের মধ্যে ৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তিনি আরও জানান, মামলার অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। ঘটনার পর বর্তমানে এলাকায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে ওই এলাকা সহ গোটা পৌর এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। শনিবার সন্ধ্যার দিকে কোমরনই কেন্দ্রের ভোটের ফলাফল ঘোষণার পর স্বতন্ত্রপ্রার্থী আনোয়ার উল সরোয়ার সাহিবের কর্মী সমর্থকরা আইনশৃংখলা বাহিনীর সদস্যদের গাড়িতে ইট পাটকেল নিক্ষেপ করে ও ভাংচুর চালায়।
এসময় তারা পুলিশের রিকুইজেশন করা একটি গাড়িতে অগ্নিসংযোগ করে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে টিয়ার শেল ও রাবার বুলেট নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে।
এ সময় পুলিশ র্যাব ও ফায়ার সার্ভিস কর্মীদের ৫ জন আহত হয়।