শেখ মেহেদী হাসান ও হাসান মাহমুদ এরই মধ্যে জাতীয় দলে খেলার স্বাদ পেয়েছেন। তাদের অভিষেক হয়েছে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে। এবার আরো এক ধাপ এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে চূড়ান্ত ওয়ানডে দলে সুযোগ পেয়েছেন তারা। তাদের সঙ্গে সুযোগ হয়েছে তরুণ পেসার শরিফুল ইসলামেরও। তাদের এখন এগিয়ে যাওয়ার স্বপ্ন। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) করোনা বিরতি ভেঙে ভবিষৎ পরিকল্পনা নিয়ে এগিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বিশেষ করে ভারতে ২০২৩ বিশ্বকাপ ঘিরেই তাদের পরিকল্পনা।
দলে সুযোগ দেয়া হয়েছে তরুণদের। দলে ডাক পেয়ে তারাও দেখাচ্ছেন স্বপ্ন। গতকাল এই তিন তরুণ কথা বলেন সংবাদমাধ্যমে। ভিডিও বার্তায় তারা জানিয়েছেন তাদের প্রতি দেখানো আস্থার প্রতিদান দিতে চান তারা। এর আগে বিপিএলে দারুণ নৈপুণ্য দিয়ে বাংলাদেশ টি-টোয়েন্টি দলে জায়গা করে নেন ২৬ বছর বয়সী মেহেদী। গতকাল তিনি বলেন, ‘অবশ্যই পরিশ্রম করে আসছি বাংলাদেশ দলে খেলার জন্য। প্রথমে তো আমার টি-টোয়েন্টিতে অভিষেক হয়েছে, এখন ওয়ানডেতে সুযোগ এসেছে। আলহামদুলিল্লাহ।’
এমন সুযোগকে অবশ্য মেহেদী নিজের জন্য চাপ হিসেবে চিন্তা করেন না। তিনি বলেন, ‘না এটা আসলে অনুপ্রেরণা। প্রেশার হবে কেন? আমরা যেহেতু ক্রিকেটার, প্রেশার নেয়ার কিছু নেই। আমরা হার্ড ওয়ার্ক করছি, চেষ্টা করছি, এটা আমাদের অনেক কিছু।’ স্কোয়াডে জায়গা পেলেও ম্যাচে একাদশে সুযোগটা হবে বড় পাওয়া। সেখানেই নিজেকে প্রমাণ করতে চান এই অলরাউন্ডার। তিনি বলেন, ‘যদি বেস্ট ইলেভেনে সুযোগ হয়, নিজের সেরাটা দেয়ার অবশ্যই চেষ্টা থাকবে। যেহেতু আমি বোলিং করতে পারি, ব্যাটিং করতে পারি, যে জায়গায় যেখানে সুযোগ আসে চেষ্টা করবো কাজে লাগানোর। অবশ্যই যেহেতু অলরাউন্ডার, চেষ্টা থাকবে তিন ফরম্যাটে ভালো করার, বাকিটা আল্লাহর ইচ্ছা। আমার তরফ থেকে ১০০% চেষ্টাই থাকবে।’
সাকিব-তামিমের অপেক্ষায় ছিলেন শরিফুল
২০১৯ অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপজয়ী দলের অন্যতম পেসার শরিফুল ইসলাম। অপেক্ষায় ছিলেন সাকিব আল হাসান, তামিম ইকবালদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে খেলার। এবার সেই স্বপ্নের অনেক কাছে এই তরুণ। তিনি বলেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ অনেক ভালো লাগছে জাতীয় দলের পরিবেশটা। যখন অনূর্ধ্ব-১৯ দলে খেলতাম বা যখন থেকে ক্রিকেট খেলা শুরু করেছি তখন থেকেই ভাবতাম যে সাকিব ভাই, মুশফিক ভাই, রিয়াদ ভাই, তামিম ভাই, মোস্তাফিজ ভাইদের সঙ্গে যদি খেলতে পারি! এটা স্বপ্ন ছিল। ইনশাআল্লাহ সেটা পূরণ হয়েছে। চেষ্টা করবো পারফর্ম করে কন্টিনিউ তাদের সঙ্গে থাকার জন্য।’ শরিফুল বলেন, ‘আসলে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের পরে বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপ, প্রেসিডেন্টস কাপে মোটামুটি ভালো খেলেছি। জাতীয় দলের সেরা একাদশে যদি জায়গা পাই তাহলে সেই পারফরমেন্সটা দেয়ার চেষ্টা করবো।
সুযোগ কাজে লাগাতে মরিয়া হাসান মাহমুদ
জাতীয় দলের ক্যাপ মাথায় হাসান মাহমুদ একমাত্র টি-টোয়েন্টি খেলেছেন জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে গত বছর মার্চে। ২১ বছর বয়সী হাসান মাহমুদের বড় শক্তি ১৪০ কিলোমিটারের আশপাশে বল করা। গতির সঙ্গে দুই দিকের সুইং এই পেসারকে আলাদা করেছে। ভিডিও বার্তায় হাসান বলেন, ‘যেদিন থেকে খেলা শুরু করেছি, সেদিন থেকেই জাতীয় দলে খেলার স্বপ্ন ছিল। এখন সুযোগ পেয়েছি, আলহামদুলিল্লাহ। আই উইল ট্রাই মাই বেস্ট। অবশ্যই সিনিয়রদের অনুপ্রেরণা কাজ করে। দেশীয় ক্রিকেটার হোক বা বিদেশি- সবাইকে দেখে দেখেই এতটুকু আগানো। সিনিয়রদের দেখেই অনুপ্রাণিত হই। লক্ষ্য অবশ্যই ভালো করার। নিজের সেরাটা দেয়ার। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে নিজের সেরাটাই দিতে হবে।’