× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার , ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৬ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

বেক্সিট সীমান্ত জটিলতায় ডাউনিং স্ট্রিটের সামনে ট্রাক-লরি জড়ো করে প্রতিবাদ

অনলাইন

সাঈদ চৌধুরী
(৩ বছর আগে) জানুয়ারি ১৯, ২০২১, মঙ্গলবার, ১০:১৩ পূর্বাহ্ন
ফাইল ফটো

বেক্সিট সীমান্ত জটিলতায় সৃষ্ট বিশৃঙ্খলায় ক্ষতিগ্রস্ত মৎস্য ব্যবসায়ীরা গতকাল অভিনব প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করেছেন। বিক্ষোভের অংশ হিসেবে তারা বৃটিশ প্রধানমন্ত্রীর দোরগোড়ায় ১০ ডাউনিং স্ট্রিটের সামনে স্কটিশ সামুদ্রিক খাদ্য সরবরাহকারী অনেকগুলো বৃহদাকার ট্রাক-লরি জড়ো করে রাখেন। এমনকি তারা পার্লামেন্টের সামনে শত শত টন পচা মাছ ফেলে দেয়ার  প্রয়াস পেতে পারেন বলে খবর রটে যায়। পুলিশ দ্রুত সেখানে গিয়ে 'অপ্রয়োজনীয় ভ্রমণ' করার জন্য ১৫টি ট্রাকের চালকদের প্রত্যেককে ২০০ পাউন্ড জরিমানা করেছে।

ডাউনিং স্ট্রিট এবং পার্লামেন্টের নিকটবর্তী সড়কে ২০টিরও বেশি শেলফিশ বহনকারী ট্রাক-লরি দাঁড়িয়ে ছিল। লরিগুলিতে 'ব্রেসিট হত্যাকাণ্ড' এবং 'অযোগ্য সরকার শেলফিশ শিল্প ধ্বংস করছে' ইত্যাদি স্লোগান লেখা বেনার ছিল। লরি চালকদের বিক্ষোভ চলাকালীন পুলিশ অফিসাররা তাদের থামিয়ে দেন এবং নির্দিষ্ট জরিমানার নোটিশ প্রদান করেন। কারণ তারা একত্রে জড়ো হওয়ায় বৃটনেরে তৃতীয় জাতীয় লকডাউন বিধিনিষেধ লঙ্ঘন বলে গণ্য হয়েছে।
 

মৎস্য ব্যবসায়ীরা জানান, ব্রেক্সিট পরবর্তী সীমান্ত বিশৃঙ্খলায় ও আমলাতান্ত্রিক জটিলতায় ইউরোপীয় ইউনিয়নে রফতানি বন্ধের উপক্রম হবার ফলে তারা মারাত্মক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। এর সমাধানে বাস্তব ভিত্তিক ব্যবস্থা গ্রহনের দাবিতে প্রতিবাদ করতে এসেছেন। বেক্সিটের কারণে অনেক রকম শর্তযুক্ত কাগজপত্র প্রবর্তনের ফলে চলতি মাসে ইউরোপীয় ক্রেতারা স্টক প্রত্যাখ্যান করায় জেলেরা খুবই বেকায়দায় পড়েছেন।

পূর্ব ইয়র্কশায়ারের ব্রিজলিংটন এবং ডিভনের ব্রিকশামের জেলে তথা ফিশারি মালিকেরা প্রতিবাদের সাথে জড়িত ছিলেন বলে জানা গেছে। বেক্সিট পরবর্তী নিয়মে স্কটিশ জেলেরা ইউরোপীয় ক্রেতাদের এই মাসে ক্যাচ সার্টিফিকেট, স্বাস্থ্য পরীক্ষা এবং শুল্ক ঘোষণার বিধি প্রবর্তনের পর অনেক ক্রেতা স্টক অর্ডার প্রত্যাখ্যান করেছেন।

৩১ ডিসেম্বর বেক্সিট হবার পর থেকে এভাবে টাটকা মাছ এবং সামুদ্রিক খাবারের রফতানি মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। মৎস্য ব্যবসায়ীরা মনে করেন, প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন মৎস্য শিল্পের সমস্যা সম্পর্কে তাদের সাথে এবং বৃটিশ জনসাধারণের সাথে সততা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে সমাধানে আসা দরকার।

বরিস জনসন বলেছেন, তিনি ইউরোপে রফতানি কারক ব্যবসায়ীদের হতাশাগুলি অনুভব করছেন এবং ইইউতে রফতানি ক্ষেত্রে অসুবিধাগুলি দূর করতে সচেষ্ট রয়েছেন।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর