× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, বুধবার , ১১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৫ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

যে মন্ত্রে লজ্জা আর প্রতিকূলতা জয় ভারতের

খেলা

স্পোর্টস ডেস্ক
১৯ জানুয়ারি ২০২১, মঙ্গলবার

চার ম্যাচের বোর্ডার-গাভাস্কার ট্রফি ভারত শুরু করেছিল সিরিজ জয়ের সুখস্মৃতি নিয়ে। অস্ট্রেলিয়ায় আগের সফরেই প্রথমবারের মতো টেস্ট সিরিজ জিতেছিল ভারত। অ্যাডিলেডে প্রথম টেস্টে ভারত পায় তাদের ক্রিকেট ইতিহাসের অন্যতম বড় লজ্জা। দ্বিতীয় ইনিংসে নিজেদের সর্বনিম্ন ৩৬ রানে অলআউট হয়ে ৮ উইকেটে হারে ভারত। এরপর পিতৃত্বকালীন ছুটিতে দেশে ফেরেন অধিনায়ক বিরাট কোহলি। চোট পেয়ে ছিটকে যান মোহাম্মদ শামি। ৩৬’র দুঃখ ভুলে মেলবোর্নে ঘুরে দাঁড়িয়ে দাপুটে জয় তুলে নেয় ভারত। তবে পুরো সিরিজ জুড়ে একের পর চোট হানা দিয়েছে ভারতীয় শিবিরে।
সিডনিতে ব্যাটসম্যানদের বীরত্বে তৃতীয় টেস্ট ড্র করে ভারত। লজ্জা আর প্রতিকূলতা জয় করে অস্ট্রেলিয়া থেকে দ্বিতীয়বারের মতো টেস্ট সিরিজ জিতে দেশে ফিরেছে ভারত। কোন মন্ত্রে দলকে উজ্জীবিত রেখেছিলেন ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক অজিঙ্কা রাহানে?

বোর্ডার-গাভাস্কার ট্রফি হাতে নিয়ে সেটাই বলছিলেন ৩২ বছর বয়সী এই ব্যাটসম্যান, ‘আমরা অ্যাডিলেডের ম্যাচ নিয়ে কোন কথাই বলিনি। আমাদের একটাই লক্ষ্য ছিল। সেটা হলো সামনে এগিয়ে যাওয়া। প্রথম টেস্টের পর সিরিজের বাকি ম্যাচগুলোর ফল কি হবে সেটা নিয়েও আমাদের কোন ভাবনা ছিল না। আমরা শুধু নিজেদের শক্তি আর সামর্থ্যরে উপর আস্থা রেখে শেষ তিন টেস্টে সর্বোচ্চটা দিয়ে লড়াই করার পরিকল্পনা করেছিলাম।’

আরো পড়ুন:অস্ট্রেলিয়ার ব্রিসবেন দূর্গ গুঁড়িয়ে ভারতের ইতিহাস

চোট-আঘাতে একের পর খেলোয়াড় ছিটকে যাওয়ায় ব্রিসবেনে ভারত নেমেছিল অনভিজ্ঞ এক দল নিয়ে। শেষ টেস্টের জন্য অস্ট্রেলিয়ার স্কোয়াডে থাকা খেলোয়াড়দের সম্মিলিত অভিজ্ঞতা ছিল ৫০৪ টেস্টের। ভারতের সেটা অর্ধেকেরও কম (২১৫ টেস্ট)। সফরকারীদের বোলিং আক্রমণ ছিল একেবারেই নবীন। অভিষেক হয় অফস্পিনিং অলরাউন্ডার ওয়াশিংটন সুন্দর ও পেসার নটরাজনের। বাকি তিন পেসারের সম্মিলিত অভিজ্ঞতা ছিল ৪ টেস্টের! অবাক করা বিষয় ছিল অস্ট্রেলিয়ান বোলারদের সঙ্গে ভারতীয় বোলারদের উইকেট শিকারের সংখ্যায়। গ্যাবায় খেলতে নামার আগে ১০৪৬ উইকেট শিকার করেছিলেন অজি স্কোয়াডের বোলাররা। আর ভারতের বোলাররা নেমেছিলেন ১৩ উইকেট নেয়ার অভিজ্ঞতা নিয়ে। এর মধ্যে ২ উইকেট ছিল আবার রোহিত শর্মার। ভারতের অনভিজ্ঞ বোলাররা দুই ইনিংসেই অস্ট্রেলিয়াকে অলআউট করেছে। মোহাম্মদ সিরাজের ক্যারিয়ারের প্রথমবার পাঁচ উইকেট। দুই অভিষিক্ত ওয়াশিংটন সুন্দর ও নটরাজন এবং আড়াই বছর পর টেস্ট খেলতে নামা শার্দুল ঠাকুররা ব্যাটে-বলে আলো ছড়িয়েছেন। পূজারা-ঋষভ পন্তরা দেখিয়েছেন নিজেদের সামর্থ্য। অধিনায়ক অজিঙ্কা রাহানে বেশি প্রশংসা করলেন বোলারদের। ঐতিহাসিক জয়ের দিন নিজেও গড়েছেন রেকর্ড। দ্বিতীয় ভারতীয় অধিনায়ক হিসেবে প্রথম চার টেস্টেই জয় পেলেন তিনি। দারুণ এই কীর্তি রয়েছে কেবল মহেন্দ্র সিং ধোনির। ব্রিসবেন টেস্ট জয়ের ক্ষেত্রে অস্ট্রেলিয়ার ২০ উইকেট নেয়াকেই বেশি গুরুত্বপূর্ণ মানছেন রাহানে, ‘পূজারা, পন্তরা ছিল অবিশ্বাস্য। তবে ২০ উইকেট নেয়াটাই ছিল ম্যাচের টার্নিং পয়েন্ট। ওয়াশিংটন সুন্দর জাদেজার অভাব বুঝতে দেয়নি। সিরাজ, শার্দুল, সাইনি, আর নটরাজনের অভিজ্ঞতা কম ছিল। তবে তারা মাঠে খেলেছে পরিণত ক্রিকেট। বোলিং আক্রমণসহ দলের সবাই অবিশ্বাস্য পারফরম্যান্স করেছে।’
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর