উপহার হিসাবে ভারতের পাঠানো করোনার ২০ লাখ ডোজ টিকা বাংলাদেশের কাছে হস্তান্তর করা হবে কাল। তাছাড়া বেক্সিমকোর পক্ষ থেকে ৫০ লাখ টিকা ভারত থেকে প্রথমবার আনা হচ্ছে বলে জানিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। সন্ধ্যায় মন্ত্রণালয় প্রেরিত বার্তায় এ তথ্য জানানো হয়। এদিকে বুধবার দুপুরে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে কন্ট্রাক্ট ফার্মিং বিষয়ক অনুষ্ঠান শেষে সংবাদ ব্রিফিংয়ে এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন বলেন, ভারতীয় টিকা আসার পরপরই ভ্যাকসিনেশন কর্মসূচি শুরু হবে। টিকাদান কর্মসূচি ধারাবাহিকভাবে চলতে থাকবে জানিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, টিকা পাওয়ার বিষয়ে এখন আমরা যথেষ্ট নিশ্চিত। রাশিয়া, চীনসহ আরো কয়েকটি দেশ বাংলাদেশে টিকা পাঠানোর আগ্রহ দেখিয়েছে জানিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, রাশিয়া অনেক ভ্যাকসিন দিতে চায়। এই দলে চীনও আছে। চীন উপহার হিসেবে ভ্যাকসিন পাঠাচ্ছে কিনা? জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, এ বিষয়ে এখনই আমি নিশ্চিত করে কিছু বলতে পারছি না।
ফরেন সার্ভিস একাডেমির ব্রিফিংয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরো বলেন, কিছু বেসরকারি প্রতিষ্ঠানও ভ্যাকসিন আমদানির চেষ্টা চালাচ্ছে। সামনের দিনগুলোতে আমরা প্রচুর ভ্যাকসিন পাবো বলে আশা করছি। যেভাবে টিকা প্রাপ্তির নিশ্চিয়তা মিলেছে তাতে নির্ধারিত সময়ের আগেই টিকাদান শুরু করা সম্ভব হবে বলে আশা করেন মন্ত্রী। উল্লেখ্য, ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউট উৎপাদিত অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার ২০ লাখ ডোজ ভ্যাকসিন বাংলাদেশকে উপহার হিসেবে পাঠাচ্ছে ভারত সরকার। কাল দুপুরে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় পররাষ্ট্রমন্ত্রীর নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ সরকারের প্রতিনিধিদলের কাছে এই টিকা আনুষ্ঠানিকভাবে হস্তান্তর করবে ঢাকাস্থ ভারতীয় হাইকমিশন।