বুয়েটকে গুচ্ছ পদ্ধতির বাইরে রাখাই ভালো ছিলো এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কেও গুচ্ছপদ্ধতির অন্তর্ভুক্ত করা উচিত হবেনা। কারণ, এদুটো বিশ্ববিদ্যালয় গুচ্ছ পদ্ধতিতে গেলে ভালো শিক্ষার্থীরা বঞ্চিত হতে পারে। অনেক বছর ধরে মেডিকেলে গুচ্ছ পদ্ধতির অনুসরণ করা হচ্ছে। সেখানে মেধা তালিকার ক্রমানুসারে প্রথমে ঢাকা মেডিকেল, তারপরে সলিমুল্লাহ মেডিকেল, তারপরে সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল, তারপরে ময়মনসিংহ মেডিকেল, এভাবে মেডিকেল কলেজের মান অনুযায়ী এবং শিক্ষার্থীদের মেধাক্রম অনুযায়ী সকল মেডিকেল কলেজে ভর্তি করা হয়। বুয়েট ও ঢাবি' র প্রতি যেহেতু শিক্ষার্থীদের আগ্রহ বেশি তাই গুচ্ছ পদ্ধতিতে গেলে ইঞ্জিনিয়ারিং এর বেলায় বুয়েটের ও সাধারণ বিশ্ববিদ্যালয়ের বেলায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সব গুলো আসন মেধাক্রম অনুযায়ী পূরণ আগে হবে কিনা এ বিষয়টি এখনো পরিষ্কার নয়। অন্যদিকে যে ১৯ টি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় গুচ্ছ পদ্ধতিতে যাচ্ছে সেগুলোর মধ্যে (SUST) শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের মান অন্যগুলোর চেয়ে অনেক এগিয়ে আছে। সেই ১৯ টিতে কিভাবে মেধার ক্রম অনুযায়ী শিক্ষার্থীদের ভর্তি করা হবে তা পরিষ্কার নয়। যেমন, এবার করোনা মহামারির কারণে এইচএসসি পরীক্ষা না হওয়াতে মেধাবী শিক্ষার্থীদের কোনো লাভ হয়নি। বরং কেউ কেউ ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। অপেক্ষাকৃত কম মেধাবীরা ভালো সুযোগের ভাগিদার হয়েছে। ভর্তি পরীক্ষার ক্ষেত্রেও যদি মেধাবীরা ন্যায্যতা থেকে বঞ্চিত হয় তবে তা খুবই দুর্ভাগ্যজনক। সুতরাং, বুয়েটের ও অন্য সকল প্রথম সারির বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর স্বকীয়তা, মান ও ঐতিহ্য ধারণ করে শিক্ষার্থীদের মেধাক্রম অনুযায়ী ভর্তি করা বাঞ্ছনীয় এবং সেটা এখনই ঘোষণা করা উচিত।
রামের সুমতি । ট্রাম্প দি থার্ডের (বরিস জনসন ) আমুল পরিবর্ত হয়েছে করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর।
Towfiq
২৪ জানুয়ারি ২০২১, রবিবার, ৮:৫০Mr Abul Kashem you are absolutely right.