ওয়েস্ট ইন্ডিজের নতুন চেহারার দলে একঝাঁক ক্রিকেটারের অভিষেক অনুমিতই ছিল। একাদশ ঘোষণার পর দেখা গেল, অর্ধেকের বেশি খেলছেন ক্যারিয়ারের প্রথম ওডিআই। বাংলাদেশের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম ম্যাচে ওয়ানডে অভিষেক হলো ক্যারিবিয়ানদের ৬ জনের। ওয়েস্ট ইন্ডিজের অভিষেক ওয়ানডে বাদ দিলে এতজন ক্রিকেটারের একসঙ্গে অভিষেক হয়েছিল আর একবারই। ১৯৭৮ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে সেন্ট লুসিয়ায় প্রথম ম্যাচ খেলতে নেমেছিলেন একসঙ্গে ৬ অভিষিক্ত ক্রিকেটার। কোভিড বিরতির পর বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ফেরার ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজের একাদশের সম্মিলিত অভিজ্ঞতা মোটে ১০৫ ম্যাচ। বাংলাদেশ সেখানে নেমেছে এক হাজার ১১৫ ম্যাচের অভিজ্ঞতা নিয়ে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের অভিষিক্ত ৬ জন হলেন বাঁহাতি স্পিনার আকিল হোসেন, ব্যাটসম্যান ও অফ স্পিনার আন্দ্রে ম্যাকার্থি, পেস বোলিং অলরাউন্ডার কাইল মেয়ার্স, লেগ স্পিনিং অলরাউন্ডার এনক্রুমা বনার, কিপার-ব্যাটসম্যান জশুয়া ডা সিলভা ও পেসার শেমার হোল্ডার।
৩৪ ম্যাচের অভিজ্ঞতা নিয়ে একাদশের সবচেয়ে অভিজ্ঞ ক্রিকেটার রভম্যান পাওয়েল। অধিনায়ক জেসন মোহাম্মদ এই ম্যাচের আগে খেলেছেন ২৮ ওয়ানডে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের অভিষেক ওয়ানডে বাদ দিলে এতজন ক্রিকেটারের একসঙ্গে অভিষেক হয়েছিল আর একবারই। ১৯৭৮ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে অ্যান্টিগায় অভিষেক হয়েছিল ৫ জনের। তখন ক্যারি প্যাকারের ওয়ার্ল্ড সিরিজ ক্রিকেটে নাম লিখিয়েছিলেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের শীর্ষ ক্রিকেটারদের অনেকে। সেটিই সুযোগ করে দিয়েছিল নতুনদের। ২০০৯ সালে বাংলাদেশের বিপক্ষে হোম সিরিজে যখন বোর্ডের সঙ্গে স্পন্সরশিপ নিয়ে দ্বন্দ্বে শীর্ষ ক্রিকেটাররা নিজেদের সরিয়ে নিয়েছিলেন, তখনও এতজনের অভিষেক হয়নি। সেবার প্রথম ওয়ানডেতে অভিষিক্ত ক্রিকেটার ছিলেন ৩ জন। ওয়েস্ট ইন্ডিজের সবার সম্মিলিত ম্যাচের চেয়ে বেশি ম্যাচ একাই খেলেছেন বাংলাদেশের চার ক্রিকেটার, মুশফিকুর রহীম (২১৮), তামিম ইকবাল (২০৭), সাকিব আল হাসান (২০৬) ও মাহমুদুল্লাহ (১৮৮)।