× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৮ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

বাংলাদেশের ক্রিকেটের অগ্রযাত্রার নায়কের বিদায়

খেলা

স্পোর্টস রিপোর্টার
২১ জানুয়ারি ২০২১, বৃহস্পতিবার

করোনার কারণে দীর্ঘ ১০ মাস পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরলো বাংলাদেশ। আর এদিনই চলে গেলেন বাংলাদেশের ক্রিকেটের শুরুর দিনগুলোর অন্যতম কারিগর রাইসউদ্দিন আহমেদ। রাজধানীর এভার কেয়ার হাসপাতালে গতকাল সকালে মৃত্যুবরণ করেন তিনি (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। মৃত্যুকালে তার বয়স ছিল ৮২ বছর। এই প্রজন্মের ক্রিকেটপ্রেমীরা ক্রিকেটের রমরমা দেখে অভ্যস্ত। কিন্তু স্বাধীনতার পর ব্যাপারটা ছিল ঠিক উল্টো। ক্রিকেটকে তখন শুরু করতে হয়েছিল একেবারে শূন্য থেকেই। সেই সময় যে ক’জন ক্রিকেট সংগঠক দেশের ক্রিকেটকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিয়েছিলেন, যাদের হাত ধরে বাংলাদেশের ক্রিকেটের যাত্রা শুরু, রাইসউদ্দিন আহমেদ তাদের অন্যতম।
নিজেদের সাংগঠনিক দক্ষতা দিয়ে রাইসউদ্দিন আহমেদরাই দেশের ক্রিকেটকে নিয়ে গেছেন বিশ্বদরবারে। আইসিসির সহযোগী সদস্যপদ লাভ, বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের যাত্রা শুরু, বিদেশি দলের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচ, দেশের ক্রিকেটের শুরুর গল্পে এক বড় জায়গা জুড়েই আছেন রাইসউদ্দিন আহমেদ। ১৯৭৫ থেকে ১৯৮১ পর্যন্ত বাংলাদেশ ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ডের (বিসিসিবি) সাধারণ সম্পাদক ছিলেন রাইসউদ্দিন। পরে ১৯৯১ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত ছিলেন বোর্ডের সহ-সভাপতি। বাংলাদেশ বিমানের চিফ অব অ্যাডমিন ছিলেন তিনি। সেই সুবাদে লন্ডন যাওয়া হতো তার প্রায়ই। লন্ডনের মেরিলিবোন ক্রিকেট ক্লাবে (এমসিসি) তার যাতায়াত ছিল নিয়মিত। সেই সম্পর্ক থেকেই তিনি এমসিসি দলকে আমন্ত্রণ জানান বাংলাদেশে। ১৯৭৭ সালে সফরে আসে ক্রিকেটের অভিজাত এই ক্লাব। বাংলাদেশ বিমান থেকে টিকেটের ব্যবস্থাও করেছিলেন তারা। বাংলাদেশ ক্রিকেটে স্পন্সর প্রথাও শুরু হয় তখন থেকে। সেই সফর থেকে ফিরে এমসিসি দল ইতিবাচক রিপোর্ট দেয়ার পরই বাংলাদেশের আইসিসি সহযোগী সদস্যপদ হওয়ার পথ খুলে যায়। শুধু এমসিসিই নয়, রাইসউদ্দিনদের উদ্যোগে সেসময় শ্রীলঙ্কা, হায়দরাবাদ ব্লুজ, পশ্চিমবঙ্গসহ বিভিন্ন বিদেশি দল আসে বাংলাদেশ সফরে। দেশে স্কুল ক্রিকেট চালু হয়েছিল তার উদ্যোগেই। ১৯৯৪ সালে আইসিসি ট্রফিতে প্রথম তিনটি দলের মধ্যে থাকতে পারলেই ১৯৯৬ বিশ্বকাপে খেলার সুযোগ হতো বাংলাদেশের। সে লক্ষ্যে বিদেশি কোচের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। এরপর বিশ্বকাপ কোয়ালিফাই থেকে শুরু করে ১৯৯৯ সালে বিশ্বকাপে খেলা ও ২০০০ সালে দশম টেস্ট খেলুড়ে দেশ হিসেবে বাংলাদেশের আবির্ভাব। রাইসউদ্দিন আহমেদের অবদান স্মর্তব্য অনেক অর্জনেই।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর