যুক্তরাষ্ট্রের ৪৬তম প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের শপথ অনুষ্ঠান। মঞ্চে উপস্থিত সাবেক প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন, জর্জ ডব্লিউ বুশ, বারাক ওবামা এবং সাবেক ফার্স্টলেডিরা। বিল ক্লিনটনের বামে বসে আছেন বিদায়ী ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স। তিনি বড় অসহায়ের মতো বসে ছিলেন ২০শে জানুয়ারির শপথ অনুষ্ঠানে। কারণ, তার পাশে ছিলেন না তার সদ্য বিদায়ী কমান্ডার ইন চিফ ডনাল্ড ট্রাম্প। মাইক পেন্সের চোখেমুখে হতাশার ছাপ স্পষ্ট হয়ে ওঠে ক্যামেরার ছবিতে। গণতান্ত্রিক রীতি অনুসরণ করে, আচরিত রীতি অনুসরণ করে তিনি নতুন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের শপথ অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়েছিলেন। কিন্তু তার পাশে ছিলেন না তেমন কেউ।
তিনি শপথ গ্রহণের পুরোটা সময় মলিন মুখে বসে ছিলেন। প্রত্যক্ষ করলেন রাজনীতির নতুন অধ্যায়। দেখলেন, বুঝলেন- তিনি যাকে চিফ ইন কমান্ডার হিসেবে শ্রদ্ধা করেছেন, তার কমান্ড মেনেছেন, তার কৃতকর্মের জন্য মানুষ কতটা নিন্দা জানাতে পারে। কখনো সখনো তাকে দেখা গেছে অনুষ্ঠানে আগত অতিথিদের সঙ্গে কথা বলতে। যতই কথা বলুন, মনের ভিতর যে ঘুণপোকা তাকে তো তিনি তাড়াতে পারেননি। বার বারই তা মুখের আবহে ভেসে উঠছিল। প্রায় আধাঘন্টার শপথ অনুষ্ঠান শেষে যখন বারাক ওবামা, বিল ক্লিনটন বা বুশের সঙ্গে মোলাকাত করছিলেন প্রেসিডেন্ট বাইডেন, তখন সেদিকে তাকিয়ে তাকিয়ে শুধু দেখছিলেন পেন্স। যুক্তরাষ্ট্রে ইতিহাস সৃষ্টি করে প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ, নারী ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে কমালা হ্যারিস যে রেকর্ড গড়লেন, তার যে দৃপ্ত উচ্চারণ, তা দেখে বিমোহিত হয়েছেন নিশ্চয় পেন্স। একই সঙ্গে এদিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে সর্বোচ্চ বয়সে প্রেসিডেন্ট হওয়ার রেকর্ড গড়লেন জো বাইডেন। তিনি ও কমালা হ্যারিস শপথ নেয়ার সঙ্গে সঙ্গে ডনাল্ড ট্রাম্পের নামের আগে যোগ হয়েছে সাবেক প্রেসিডেন্ট এবং মাইক পেন্সের নামের আগে যোগ হয়েছে সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট।