ভারত থেকে উপহার হিসেবে পাওয়া করোনা ভাইরাসের ভ্যাকসিন হস্তান্তর করা হয়েছে। আজ দুপুরে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় পররাষ্ট্র ড. একে আবদুল মোমেন ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেকের হাতে এই টিকা হস্তান্তর করেন ভারতীয় হাই কমিশনার বিক্রম কুমার দোরাইস্বামী। ভ্যাকসিন হস্তান্তর অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম এমপি এবং পররাষ্ট্র ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আজকে একটা আনন্দের দিন। কারণ, ৭১-এ বাংলাদেশের দুর্দিনে যেভাবে ভারত পাশে ছিল, আজকে করোনার দুর্দিনেও ভ্যাকসিন দিয়ে তারা পাশে থাকলো। তিনি বলেন, এই ভ্যাকসিন উপহার পাওয়ার কোন আলোচনা ছিল না। এটা হাইকমিশনারের একান্ত চেষ্টাতেই এতো দ্রুত পাওয়া সম্ভব হয়েছে।
অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, উপহার হিসেবে পাওয়া ২০ লাখ এবং চুক্তির আওতায় বাণিজ্যিকভাবে আরও ৫০ লাখ ডোজ ভ্যাকসিন আসার পর ব্যাপকভিত্তিক ভ্যাকসিনেশন কার্যক্রম শুরু হবে।
তিনি বলেন, উপহার হিসেবে পাওয়া ভ্যাকসিন প্রদান কার্যক্রম প্রধানমন্ত্রী ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে উদ্বোধন করবেন। ইতিমধ্যে তার সময় চাওয়া হয়েছে। তবে মন্ত্রী বলেন, এরইমধ্যে ভ্যাকসিন নিয়ে নানারকম গুজব ছড়ানো হচ্ছে। এই সমস্ত গুজবে কান না দিতে দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
ভারতীয় হাই কমিশনার বলেন, নেইবার হুড ফার্স্ট পলিসির আওতায় বাংলাদেশকে বন্ধুত্বের নিদর্শন হিসেবে এই ভ্যাকসিন দেয়া হয়েছে। বাংলাদেশের জনসংখ্যার বিষয়টিও এখানে বিবেচনায় এসেছে। ভারতের ভ্যাকসিন কার্যক্রম শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই বাংলাদেশ পাবে- এ ব্যাপারে মোদি সরকারের যে অঙ্গীকার ছিল, এটা তারও প্রতিফলন।
কাজী এনাম উদ্দীন
২১ জানুয়ারি ২০২১, বৃহস্পতিবার, ৪:৩০সংযুক্ত আরব আমিরাতের স্বাস্থ্যমন্ত্রী প্রথমে নিজেই নিয়েছেন টিকা নিয়েছেন, তারপরেই জনগণের কাছে পৌঁছে দিয়েছেন। আমরা প্রবাসীরা নিজেদের পরিবার পরিজন নিয়ে অনেক চিন্তায় থাকি। কারণ আমরা বেশিরভাগই টিকা নিয়েছি কিন্তু পরিজনরা এখনো নিতে পারেনি। দেশে প্রাপ্ত টিকা বিষয়ে বিভিন্ন রকমের কথা বাতাসে উড়ে বেড়াচ্ছে। উক্ত কথার জবাব দিতে আমাদের স্বাস্থ্যমন্ত্রী মহোদয়কে প্রথম টিকাটি নেয়ার অনুরোধ রইল। এতে করে জনগণ উদ্বুদ্ধ হবে। আবুধাবী থেকে।