× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১০ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

পোরশায় সবুজ বীজতলা হলুদ করে দিলো দুর্বৃত্তরা

বাংলারজমিন

পোরশা (নওগাঁ) প্রতিনিধি
২২ জানুয়ারি ২০২১, শুক্রবার

নওগাঁর পোরশায় অতিরিক্ত পরিমাণ আগাছানাশক কীটনাশক প্রয়োগ করে প্রায় ৬ বিঘা জমির বোরো বীজতলার ধানের চারা ঝলসে দেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। পূর্ব শত্রুতার জেরে রোববার কিংবা সোমবার দিবাগত রাতে পাশাপাশি তিনটি মাঠে আগাছানাশক কীটনাশক প্রয়োগ করে ১৬ জন কৃষকের বীজতলার চারা ঝলসে দেয় প্রতিপক্ষের লোকজন। বোরো ধান রোপণের আগ মুহূর্তে বীজতলা নষ্ট হয়ে যাওয়ায় দিশাহারা হয়ে পড়েছেন ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা।
ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের ভাষ্যমতে, ৬ বিঘা জমিতে তারা ৩০ মণের বেশি ধানের বীজ বপন করেছিলেন। ৬ বিঘা জমির বীজতলা দিয়ে প্রায় ২০০ বিঘা জমিতে ধান রোপণের লক্ষ্য ছিল তাদের।
পূর্ব শত্রুতার জেরে প্রতিপক্ষের লোকজন এ ঘটনা ঘটিয়েছে বলে তাদের অভিযোগ। এ ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত তিন কৃষক আব্দুল মালেক শাহ্, মোস্তাফিজুর রহমান ও মনিব আল রাজী বাদী হয়ে উপজেলার সুতলী গ্রামের ওয়াসিম মণ্ডল (৩৫) নামে এক ব্যক্তির নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরো কয়েকজনের বিরুদ্ধে পোরশা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
থানায় দায়ের করা অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার ঘাটনগর ইউনিয়নের দেউপুরা, সুতলী ও দেউপুরা মাঠে দেউপুরা, সুতলী, ধামানপুর ও সোমনগর গ্রামের ১৬ জন কৃষক বোরো ধানের বীজতলা  তৈরি করেন। প্রায় দেড় মাস আগে ৬ বিঘা জমিতে ওই ১৬ জন কৃষক বোরো ধানের বীজ বপন করেছিলেন। আর কয়েকদিন পরেই তাদের বীজতলার চারাগুলো জমিতে রোপণ করা হতো। এ অবস্থায় গত সোমবার রাতের কোনো এক সময় সুতলী গ্রামের ওয়াসিম মণ্ডল ও তার লোকজন তাদের বীজতলায় অতিরিক্ত পরিমাণ আগাছানাশক কীটনাশক প্রয়োগ করে চারাগাছগুলো ঝলসে দেয়।
ওয়াসিম ম-লের সঙ্গে ক্ষতিগ্রস্ত বীজতলার মালিক মনিব আল রাজী, এনামুল হক শাহ্, মোস্তাফিজুর রহমান, হারুনুর রশিদ ও আনারুল হকের সোমনগর ও ধামানপুর মাঠে ১৫ বিঘা আবাদি জমির মালিকানা নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের ধারণা, জমি নিয়ে বিরোধের জেরে ওয়াসিম ম-ল আগাছানাশক কীটনাশক প্রয়োগ করে তাদের বীজতলা নষ্ট করেছে।
ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক দেউপুরা গ্রামের মনিব আল রাজী বলেন, ‘প্রায় দেড় মাস আগে সুতলী, দেউপুরা ও ধামানপুর মাঠে বীজতলার জমিতে জিরাশাইল ও কাটারিভোগ ধানের বীজ বপন করেন। আর কয়েকদিন পরেই চারাগুলো জমিতে রোপণের উপযুক্ত হয়ে উঠতো।
অভিযোগের বিষয়ে ওয়াসিম মণ্ডল বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করা হচ্ছে, এটা সম্পূর্ণ মিথ্যা। জমি নিয়ে তিন-চার জনের সঙ্গে আমার বিরোধ আছে। ক্ষতি করার ইচ্ছে থাকলে ওই সব ব্যক্তির বীজতলা নষ্ট করতাম, অন্য কৃষকদের ক্ষতি করে আমার লাভ কি? যারা আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ করছে তারা নিজেরাই ক্ষতিকর কীটনাশক ছিটিয়ে বীজতলা নষ্ট করে আমাকে বিপদে ফেলার চেষ্টা করছে।
এ বিষয়ে পোরশা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শফিউল আজম খান বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা অভিযোগ দিয়েছেন। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখে তিনি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন বলে জানান।
 
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর