× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার , ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৬ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

বিশ্বনাথে প্রবাসী পরিচয়ে তরুণীর সর্বনাশ, গ্রেপ্তার ১

বাংলারজমিন

বিশ্বনাথ (সিলেট) প্রতিনিধি
২২ জানুয়ারি ২০২১, শুক্রবার

নিজের ঘরের একটি কক্ষকে সাজিয়েছেন ফ্রান্সের বাসা-বাড়ির আদলে। মুখে রেখেছেন ফ্রেঞ্চকাট দাড়ি। সফটওয়্যারের মাধ্যমে ব্যবহার করেন ফ্রাঞ্চের নাম্বার। এতকিছুর পেছনে একটাই টার্গেট অবিবাহিত সুন্দরী তরুণী। ফ্রান্সের বাসাবাড়ির আদলে সাজানো কক্ষ থেকে সফটওয়্যারের মাধ্যমে ফ্রান্সের ফোন নাম্বার থেকে কথা বলেন তরুণীদের সাথে। কখনো ফোনে, কখনো ইমুতে আবার কখনো হোয়াটসঅ্যাপে। বিয়ে করে ইউরোপে নিয়ে যাওয়ার প্রলোভনে ফেলেন তাদেরকে। কাউকে গোপনে বিয়ে করেন আবার কাউকে বিয়ের আশ্বাস দিয়ে ঝুলিয়ে রেখে আদায় করেন মোটা অঙ্কের টাকা।
ফ্রান্স প্রবাসী পরিচয়ে এমন প্রতারণা করে অসংখ্য মেয়ের সর্বনাশ করে অবশেষে পুলিশের খাঁচায় বন্দি হয়েছেন তিনি। ভয়ংকর এই প্রতারকের নাম ইমাম হোসেন (৪২)। তার কাছে প্রতারিত হয়ে সর্বস্বান্ত হওয়া এক তরুণীর মামলার প্রেক্ষিতে বুধবার (২০ জানুয়ারি) দিবাগত রাত ৪টার দিকে সুনামগঞ্জ জেলার জগন্নাথপুর উপজেলার ঘোষগাঁও (কোনাপাড়া) গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে জগন্নাথপুর থানা পুলিশের সহযোগিতায় তাকে গ্রেপ্তার করে বিশ্বনাথ থানা পুলিশ। তিনি ওই গ্রামের মৃত আব্দুুল কুদ্দুছের ছেলে। গত বছরের ২৭শে
ডিসেম্বর সিলেটের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ৩ এ ইমাম হোসেনকে প্রধান অভিযুক্ত করে ৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন সিলেটের গোলাপগঞ্জ উপজেলার ভাদেশ্বর গ্রামের ক্ষতিগ্রস্ত ওই তরুণী। আদালতের নির্দেশে গত ২রা জানুয়ারি বিশ্বনাথ থানায় মামলা হয়। মামলার অপর আসামীরা হলেন সিলেটের ওসমানী নগরের দিরারাই গ্রামের আব্দুল জব্বারের ছেলে বশির উদ্দিন, সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার ঘোষগাঁও গ্রামের দুদু মিয়ার ছেলে লেবু মিয়া মিন্টু, তার স্ত্রী মিনু ও বাওধরন গ্রামের মৃত তরমুজ আলীর ছেলে রুপন আহমদ।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) দেবাশীষ শর্ম্মা জানান, পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ৪টি বিয়ে করেছে বলে জানিয়েছে ইমাম হোসেন। তবে, আমাদের ধারণা তার বিয়ের সংখ্যা ১৫/২০টির মত হবে। তার মোবাইল ফোন ঘেটে পুলিশ অনেক তথ্য ও অসংখ্য মেয়ে সাথে তার ছবি পেয়েছে। সে শতাধিক মেয়ের সর্বনাশ করেছে বলে ধারণা করছি। তার রিমান্ড চাইবে পুলিশ।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর