হোম সেক্রেটারি প্রীতি প্যাটেল বলেছেন, দায়িত্বজ্ঞানহীন আচরণ জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক হুমকি স্বরূপ। তিনি কোভিড লকডাউনের বিধিনিষেধ লংঘনের মাধ্যমে অবৈধ হাউস পার্টিতে অংশ নেয়া যে কাউকে ৮০০ পাউন্ড জরিমানার ঘোষণা করেছেন। অপরাধের পুনরাবৃত্তির জন্য সর্বোচ্চ ৬৪০০ পাউন্ড জরিমানা হবে।
পুলিশ প্রথম অপরাধের জন্য ৮০০ পাউন্ড, দ্বিতীয় বারের জন্য ১৬০০, তৃতীয় বারে ৩২০০ এবং চতুর্থ বা ততোধিক পার্টিতে ধরা পড়লে সর্বোচ্চ ৬৪০০ পাউন্ড পর্যন্ত জরিমানা করবে।
পুলিশ প্রধান মার্টিন হিউট বলেছেন, যারা স্বার্থপরভাবে জনজীবনে ঝুঁকির সৃষ্টিকারী অনুষ্ঠান আয়োজন করবে, পুলিশ তাদের যুক্তি শুনে সময় অপচয় করবে না। কারণ আমরা বারবার স্পষ্ট করে দিয়েছি, ঘরের পার্টি এবং অন্যান্য বড় সমাবেশ কোনটিই হওয়া উচিত নয়। এগুলি বিপজ্জনক, দায়িত্বজ্ঞানহীন এবং সম্পূর্ণ অগ্রহণযোগ্য।
লন্ডনে এনএইচএস প্রধান ডঃ ভিন দ্বারকা বলেছেন, আজ রাতে আশার প্রাথমিক লক্ষণ পাওয়া গেছে। লকডাউনে কাজ হচ্ছে। তবে মানুষকে অবশ্যই নিয়ম মানতে হবে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে এদেশ এমন কঠিন পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়নি।
এটিই সবচেয়ে বড় স্বাস্থ্য বিষয়ক জরুরী অবস্থা। যারা বিধি লংঘন করবে তারা কেবল নিজের ঘর ঝুঁকিপূর্ণ করছেনা, বরং পুরো এলাকা এমকি গোটা সমাজকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলছে।
ইম্পেরিয়াল কলেজ লন্ডনের গবেষণায় ৬ থেকে ১৫ জানুয়ারির মধ্যে ১,৪২,৯০০ স্বেচ্ছাসেবীর উপর পরীক্ষা চালিয়ে দেখা গেছে, বৃটেনে এখন ৬৩ জনের মধ্যে একজনের ভাইরাস রয়েছে। ডিসেম্বরের শেষ রিপোর্টে এটি ৫০ জনের একজন ছিল।
হেলথ সেক্রেটারি ম্যাট হ্যানকক তথ্য প্রকাশ করে বলেছেন, বৃটেনের প্রথম ৫ মিলিয়ন লক্ষ্যমাত্রার ৪.৬ মিলিয়ন লোকের টিকাদান সম্পন্ন হয়েছে। গতকাল একদিনে ৩,৬৬,৯১৯ জনকে টিকা প্রদান করা হয়েছে। এদিকে গতকাল কোভিডে ১২৯০ জনের মৃত্যু হয়েছে। নতুন সংক্রমিত হয়েছেন ৩৭৮৯২ জন।
প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন নতুন করোনা ভাইরাস স্ট্রেনকে ভয়াবহ সংক্রামক উল্লেখ করে বলেছেন, গ্রীষ্ম পর্যন্ত লকডাউন হয়ত সহজ করা যাবে না। প্রধানমন্ত্রী ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি সময়ের মধ্যে চার স্তরে সবচেয়ে ঝুঁকির মধ্যে থাকা ১৪ মিলিয়ন মানুষকে ভ্যাকসিন দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।