× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার , ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৬ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

সত্য বলেছি, বহিষ্কার হলে সমস্যা নেই (অডিও)

অনলাইন

মোহাম্মদ ওমর ফারুক
(৩ বছর আগে) জানুয়ারি ২২, ২০২১, শুক্রবার, ৫:০৭ অপরাহ্ন

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ও তার ভাই মির্জা আবদুল কাদের রাজাকার পরিবারের সন্তান উল্লেখ করে দেয়া বক্তব্যে অনড় থাকার কথা জানিয়েছেন নোয়াখালী-৪ আসনের সংসদ সদস্য একরামুল করিম চৌধুরী। তিনি মানবজমিনকে বলেছেন, সত্য বলার জন্য দল থেকে বহিস্কার হলে কোন সমস্যা নেই। বৃহস্পতিবার রাতে নিজের আইডি থেকে এক ফেসবুক লাইভে তিনি একটি বার্তা প্রচার করেন। এতে ওবায়দুল কাদেরকে রাজাকার পরিবারের উল্লেখ করেন। তার ওই ভিডিও ফেসবুকে যাওয়ার কয়েক মিনিটের মাথায় তা আবার সরিয়ে ফেলা হয়। যদিও এমপি একরাম চৌধুরীর ওই ভিডিও ইতোমধ্যে ভাইরাল হয়ে গেছে।

ভিডিও বার্তায় একরামুল করিম চৌধুরী বলেন, ‘আমি কথা বললে তো আর মির্জা কাদেরের বিরুদ্ধে কথা বলব না। আমি কথা বলব ওবায়দুল কাদেরের বিরুদ্ধে।
একটা রাজাকার পরিবারের লোক এই পর্যায়ে এসেছে, তাঁর ভাইকে শাসন করতে পারে না। এগুলো নিয়ে আমি আগামী কয়েক দিনের মধ্যে কথা বলব। আমার যদি জেলা আওয়ামী লীগের কমিটি না আসে। তাহলে আমি এটা নিয়ে শুরু করব।

এই ভিডিও বার্তা দেয়া এবং সরিয়ে ফেলার বিষয়ে সকালে এমপি একরামুল করিম চৌধুরীর সঙ্গে কথা বলে মানবজমিন। তিনি বলেন, ওবায়দুল কাদেরের  বাবা ছিলেন মুসলিম লীগের  লোক। ওনার চাচা তো রাজাকার কমান্ডার ছিলেন, কাদের ভাই নিজে গিয়ে গুলি করে মারছে। তাদের নানা ছিলেন শান্তি বাহিনীর সদস্য, আর মামা ছিলেন রাজাকার ।

এতো দিন পরে কেন বলছেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, মির্জা সাহেব  এক মাস দুই দিন হয়ে গেলো কন্টিনিউ এমপিদের অপমান করে যাচ্ছেন। ওনার ভাই  ওবায়দুল কাদের বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা। ওনি কোনো বিচার করছেন না। এখন আমি একটু বলে দেখলাম। এই  কথা বলার জন্য আমাকে বহিস্কার করলে হয়ে যাবো, কোনো সমস্যা নেই। কিন্তু দলটা সুসংগঠিত থাকুক। এতো নিম্ন পর্যায়ের  একজন নেতা, দলের এতো বড় বড় নেতাদের যা ইচ্ছে তা বলে যাচ্ছে, এটা আমার বিবেকের কাছে তাড়না দেয়।

রাতের লাইভে বলা ভিডিওটি ফেসবুক থেকে ফেলে দেয়ার কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, ডিলেট করেছি একধরনের চিন্তা থেকে, আমি যখন দেখলাম একটি রাজাকার পরিবারের সন্তান মুক্তিযোদ্ধাদের অপমান করছে, যেমন আমি মুক্তিযোদ্ধার সন্তান এসব ভাবলাম। তাছাড়া আরেকটি কারণ হচ্ছে আমার ছেলে বলছে, এটা ডিলেট  করে দেয়ার জন্য। আমি ছেলের অনুরোধ রেখেছি। তার কথায় তিনি অটুট আছে কিনা জানতে চাইলে , এই এমপি বলেন, অবশ্যই ঠিক আছি। তারপরও যদি আমাকে দল  থেকে বাদ দিয়ে দলকে সঠিকভাবে নিয়ে আসা হয়। এবং উচ্চ পর্যায়ের নেতৃত্বের বিরুদ্ধে কথা বলতে সাহস না পায়। এবং কথা বলতে যেন ভেবে  চিন্তে  বলে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর