× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১০ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

হোয়াইট হাউজের চেয়ে বড় বাড়িতে কমালা হ্যারিস

বিশ্বজমিন

মানবজমিন ডেস্ক
(৩ বছর আগে) জানুয়ারি ২৪, ২০২১, রবিবার, ২:১২ অপরাহ্ন

যুক্তরাষ্ট্রে প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ এবং নারী ভাইস প্রেসিডেন্ট কমালা হ্যারিস। ‘সেকেন্ড জেন্টলম্যান’ হিসেবে তার সঙ্গে স্বামী ডগ এমহোফ ওয়াশিংটন ডিসিতে বিলাসবহুল এক বাড়িতে উঠেছেন। যে বাড়িতে এই দম্পতি উঠছেন তা ‘প্রেসিডেন্টস গেস্ট হাউজ’ নামেই বেশি পরিচিত। পরিপূর্ণভাবে সাজানো ১৪টি বেডরুম আছে এর ভিতর। আরো আছে সব মনোহরী কক্ষ। সাধারণত যুক্তরাষ্ট্রের আমন্ত্রণে প্রেসিডেন্টের বিদেশি যেসব অতিথি ওয়াশিংটনে যান, তাদের জন্য এই বাড়িটি ব্যবহার করা হয়। এ বাড়িটির আরো একটি নাম আছে। তা হলো ব্লেয়ার হাউজ।
কমপক্ষে ৬০ হাজার বর্গফুটে বিস্তৃত চারটি টাউনহাউজ মিলিয়ে এই বাড়ি।

সব মিলে ব্লেয়ার হাউজে আছে ১১৯টি কক্ষ। ১৯৪২ সালে এই বাড়িটি কিনে নেয় মার্কিন সরকার। তারপর থেকে এ বাড়িটি প্রেসিডেন্টের অতিথিদের ব্যবহারের জন্য নির্ধারিত। এ ছাড়া প্রয়াত একজন প্রেসিডেন্টের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার আগে তার পরিবারের সদস্যরা এখানে অবস্থান করেছিলেন। এ খবর দিয়ে অনলাইন ডেইলি মেইল বলছে, ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে ওয়াশিংটন ডিসির ম্যানসনে প্রথম সাপ্তাহিক ছুটির দিন অতিবাহিত করছেন কমালা হ্যারিস। এই বাড়িটির ঠিকানা ১৬৫১ পেনসিলভেনিয়া এভিনিউ। হোয়াইট হাউজের ঠিক উল্টো পাশে অবস্থিত এই বাড়িতে অবস্থান করছেন কমালা হ্যারিস ও তার স্বামী ডগ এমহোফ। অন্যদিকে সামান্য দূরেই হোয়াইট হাউজে উঠেছেন নতুন অতিথি- প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও তার স্ত্রী ড. জিল বাইডেন।


ভাইস প্রেসিডেন্ট কমালা হ্যারিসের বয়স ৫৬ বছর। তিনি বসবাস করছিলেন লস অ্যানজেলেসে। কিন্তু বুধবার শপথের আগে তাকে ছুটে যেতে হয়েছে ওয়াশিংটন। সেখানে ব্লেয়ার হাউজে অবস্থান করছেন তিনি। এর ভিতর আছে বেশ কয়েকটি ড্রয়িং রুম। এ ছাড়া ওই বাড়ির ভিতরের আরো ছবি প্রকাশ করেছে ডেইলি মেইল। এতে আরো একটি ছবি দিয়ে বলা হয়েছে- সেটি হলো লি ডাইনিং রুম। মাঝে মাঝে মধ্যাহ্নের আহারের সময় মিটিং করতে এই রুমটি ব্যবহার করা হয়।


আছে একটি ট্রুম্যান স্টাডি কক্ষ। সেখানে আছে একটি চীনা ক্যাবিনেট। আছে বেশ কিছু পোট্রেট বা আঁকা ছবি। এমন ছবি অনেক কক্ষেই আছে। জ্যাকসন প্যালেস ডাইনিং রুমের দেয়ালে আছে নয়নজুড়ানো সব অঙ্কন। যখন প্রেসিডেন্টের আমন্ত্রণে যুক্তরাষ্ট্রে কোনো বিদেশি অতিথি যান তখন এই ডাইনিং রুমটি ব্যবহার করা হয়। ঊনবিংশ শতাব্দীর এই বাড়িটি আসলে চারটি টাউনহাউজের সমন্বয়। এই চারটি বাড়িকে একসঙ্গে একটি বাড়ির রূপ দেয়া হয়েছে।  ১৮২৪ সালে যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনীর প্রথম জেনারেল ব্যক্তিগত বাড়ি হিসেবে এটি নির্মাণ করিয়েছিলেন।


বাড়িটিকে বেশ কিছু ঐতিহাসিক আসবাবপত্র দিয়ে সাজিয়েছিলেন তিনি। ১৯৪২ সালে ফ্রাঙ্কলিন ডি. রুজভেল্ট যখন প্রেসিডেন্ট, তখন মার্কিন সরকার এ বাড়ি কিনে নেয়। এখানে আছে বিশাল এক লাইব্রেরি। তাতে আছে যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিষয়ের ১৫০০ বই। ৬০,৬০০ বর্গফুটের এই বাড়িতে মোট আছে ১১৯টি রুম। তার মধ্যে ১৪টি বেডরুম। ৩৫টি বাথরুম। এখানে এটা বলে রাখা ভাল যে, এই বাড়িটি হোয়াইট হাউজের চেয়ে বড়। আছে ১৪টি গেস্ট স্যুট। প্রতিটিতে আছে পূর্ণাঙ্গ বাথরুম। আছে তিনটি আনুষ্ঠানিক ডাইনিং রুম। দুটি বিশাল কনফারেন্স রুম। বিশাল এই সম্পত্তি দেখাশোনা করতে কমপক্ষে ১৮ জন ফুলটাইম স্টাফ প্রয়োজন।


ওয়াশিংটন সফরের সময় এই বাড়িতে অবস্থান করেছেন বিখ্যাত কিছু অতিথি। তার মধ্যে রয়েছেন বৃটেনের রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথ, সাবেক বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী মার্গারেট থ্যাচার, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিন ও কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। বুধবার ন্যাশনাল মলে শপথ অনুষ্ঠানে যোগ দেয়ার আগে এ বাড়িতেই অবস্থান করেছেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।

অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর