কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে ইএফটি (ইলেক্ট্রিক্যাল ফিন্যান্স ট্রান্সফার) ফরম পূরণে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের কাছ থেকে অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে। দৌলতপুর প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের নির্দেশে শিক্ষক নেতারা শিক্ষকদের কাছ থেকে জনপ্রতি ২৫০ টাকা করে আদায় করছেন বলে শিক্ষকবৃন্দ জানিয়েছেন। অনলাইন প্রশিক্ষিত শিক্ষকরা শিক্ষা অফিস থেকে বিনা খরচে ফরমটি পূরণ করার কাজটি করে থাকলেও সকল শিক্ষকদের কাছ থেকে অতিরিক্ত অর্থ আদায় করা হচ্ছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে গতকাল দুপুরে কয়েকজন শিক্ষক অভিযোগ করে বলেন, দৌলতপুর প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি ফিরোজ খান নুন ও সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিমসহ কয়েকজন প্রধান শিক্ষক শিক্ষা অফিসে বসে শিক্ষকদের কাছ থেকে ২৫০ টাকা করে আদায় করছেন। কেউ দিতে অস্বীকৃতি জানালে তাদের ওপর চড়াও হচ্ছেন এবং তার ফরমটি পূরণ করা হবে না বলে হুমকি- ধামকি দিচ্ছেন বলেও তারা জানিয়েছেন। আর টাকা আদায়ের সঙ্গে জড়িত রয়েছেন দৌলতপুর প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের অফিস সহকারী রেজাউল ইসলাম, শরিফুল ইসলাম ও করিম। তারা শিক্ষক নেতাদের নির্দেশে টাকাগুলো আদায় করার কাজটি করছেন। দৌলতপুরে ১২০০ জন প্রাথমিক শিক্ষক রয়েছেন। জনপ্রতি ২৫০ টাকা করে ৩ লাখ টাকা আদায় করে বিপুল অঙ্কের এ টাকা নিজেদের মধ্যে ভাগাভাগি করা হবে বলে অভিযোগকারী শিক্ষকরা জানিয়েছেন।
দৌলতপুরের সরকারদলীয় শীর্ষ স্থানীয় এক নেতা ইএফটি (ইলেক্ট্রিক্যাল ফিন্যান্স ট্রান্সফার) ফরম পূরণে দৌলতপুরের সকল প্রাথমিক শিক্ষকদের কাছ থেকে ২৫০ টাকা করে আদায় করার কথা উল্লেখ করে বলেন, প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের নির্দেশে অফিস সহকারীরা ও শিক্ষক নেতারা টাকা আদায়ের কাজটি করে থাকেন।
নিষেধ করা সত্ত্বেও অবৈধভাবে টাকা আদায়ের কাজটি বন্ধ হয়নি বলে তিনি উল্লেখ করেন।
তবে দৌলতপুর প্রাথমিক সমিতির সভাপতি ফিরোজ খান নুন বলেছেন, ইএফটি ফরম পূরণে শিক্ষকদের কাছ থেকে কোনো টাকা নেয়াও হচ্ছে না এবং শিক্ষা অফিসকে টাকা দেয়াও হচ্ছে না।
শিক্ষকদের কাছ থেকে অতিরিক্ত টাকা আদায়ের বিষয়ে দৌলতপুর প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার সাইদা ছিদ্দিকা তার বিরুদ্ধে করা অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, কোনো শিক্ষকের কাছ থেকে টাকা আদায় করা হচ্ছে না। শিক্ষকরা নিজেরাই তাদের ইএফটি ফরম অফিস থেকে পূরণ করছেন।
শিক্ষকদের কাছ থেকে অবৈধভাবে টাকা আদায়ের বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়ার দাবি সাধারণ শিক্ষকদের।