সিলেটের ওসমানীনগরে উদ্ধার হওয়া অজ্ঞাত লাশের পরিচয় পাওয়া গেছে। তিনি পার্শ্ববর্তী বালাগঞ্জ উপজেলার দেওয়ান বাজারের রিকশাচালক কালু মিয়া (৬০)। তার ব্যাটারিচালিত রিকশাটি হাতিয়ে নিতে খুন করা হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। এ ঘটনায় গত শনিবার দুপুরে নিহতের ছেলে কয়েছ আহমদ জাহেদ বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামি করে ওসমানীনগর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। নিহত রিকশাচালক কালু মিয়া বালাগঞ্জ উপজেলার দেওয়ানবাজার ইউনিয়নের শিওরখাল গ্রামের মৃত জানু মিয়ার ছেলে। তিনি একই ইউপি’র মোরারবাজার রোডের হাজী তারা মিয়া মার্কেটের ভাড়াটিয়া হিসাবে বসবাস করতেন। মামলার বাদী কয়েছ আহমদ জানান, বৃদ্ধ বয়সেও তার বাবা কালু মিয়া দিনরাত রিকশা চালিয়ে ৪ জনের সংসার চালাতেন। গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে তিনি (কালু মিয়া) গহরপুর মাদ্রাসায় ওয়াজ মাহফিলে যাবার কথা বলে রিকশা নিয়ে বাসা থেকে বের হন।
ওই রাতে আর বাসায় ফেরেন নি। শুক্রবার ওসমানীনগরের দয়ামীর ইউপি’র চক মন্ডলকাপন চকের বন থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
অজ্ঞাতনামা মরদেহ পাওয়ার খবর শুনে থানায় এসে মরদেহটি তার বাবার বলে শনাক্ত করা হয়। ওসমানীনগর থানার ওসি শ্যামল বণিক বলেন, বৃদ্ধের লাশ উদ্ধারের পর শনিবার নিহতের ছেলে বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। ধারণা করা হচ্ছে, রিকশাটি ছিনতাইয়ের জন্য এর চালককে খুন করা হয়েছে। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের চিহ্নিত এবং গ্রেপ্তারে থানা ও ডিবি পুলিশ যৌথভাবে কাজ করছে বলে জানান তিনি। প্রসঙ্গত, গত শুক্রবার দুপুরে গলায় জুতার ফিতা পেচানো অবস্থায় অজ্ঞাত লাশ হিসেবে উপজেলার দয়ামীর ইউপি’র চক মন্ডলকাপন চকের বন থেকে কালু মিয়ার লাশ উদ্ধার করে থানা পুলিশ। পরে নিহতের ছেলে, ভাইসহ আত্মীয়-স্বজনরা লাশটি রিকশাচালক কালু মিয়ার বলে শনাক্ত করেন।