হুজুুর ফতোয়া বুঝে শুনে দেয়া উচিত ।
দেহের বেড়ে ওঠা ও পুষ্টির জন্য খাদ্যের প্রয়োজন অবশ্যম্ভাবী। পেটের ক্ষুধার মতো জৈবিক ক্ষুধাও মানুষকে তাড়িত করে। দীর্ঘদিন ধরে খাবার না খেয়ে থাকলে ধীরে ধীরে মানুষ কঙ্কালসার হয়ে পড়ে। পরিণামে মৃত্যুও ঘটে। যৌন ক্ষুধাও মানুষের স্বাভাবিক একটা দাবি বা চাহিদা। দীর্ঘদিন এ চাহিদা পূরণ করতে না পারলে মানুষ মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে এবং মানসিক বিকৃতি দেখা দেয়। মানসিক বিকৃতি থেকে তখন নানা অঘটন ঘটে। সকল জ্ঞানের একক শক্তির আধার মহান সর্বশক্তিমান সৃষ্টি কর্তা আল্লাহ তায়ালা কতোই না দূরদর্শী এবং কুশলি! সুবহানাল্লাহ! তিনি শুধু কেবল মানুষ নয় প্রতিটি প্রাণী জোড়ায় জোড়ায় সৃষ্টি করেছেন। পবিত্র কুরআন মজিদে আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেন, "প্রত্যেকটি বস্তু আমি জোড়ায় জোড়ায় সৃষ্টি করেছি, যাতে করে তোমরা চিন্তা গবেষণা করতে পারো।" সূরা আয যারিয়াতঃ৪৯। সৃষ্টি জগতের সবকিছুই জোড়ায় জোড়ায় পয়দা করা হয়েছে। এমনকি গাছপালাও জোড়ায় জোড়ায় সৃষ্টি করা হয়েছে। বিজ্ঞানীরা বলছেন গাছেরও জীবন আছে। গাছও সুখ দুঃখ অনুভব করে। গাছেরও প্রজনন হয়। গাছের রয়েছে পুংকেশর। এর কাজ পরাগরেনু তৈরি করা। আরো রয়েছে গর্ভকেশর। গর্ভকেশর ডিম্বানু সৃষ্টি করে এবং ফল ও বীজ সৃষ্টি করে। ফুলের পরাগরেণু ডিম্বাণুর সঙ্গে মিলিত হয়ে বীজে ও ডিম্বাশয় ফলে পরিণত হয়। এরপর ফলের বীজ নতুন গাছের জন্ম দেয়। এটা আল্লাহ তায়ালার বিশাল এক সৃষ্টি কুশলতা। পবিত্র ও মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেন, "পবিত্র ও মহান সেই সত্তা, যিনি সবকিছুকে জোড়ায় জোড়ায় পয়দা করেছেন। সেটা জমিনের উৎপন্ন উদ্ভিদ থেকে হোক কিংবা স্বয়ং তাদের নিজেদের থেকে, অথবা এমন সব সৃষ্টি থেকে যাদের সম্পর্কে মানুষ আদৌ কিছুই জানেনা।" সূরা ইয়াসিনঃ৩৬। সকলেই জানি, মানুষের বিপরীত লিঙ্গের সাথে পরষ্পরের গভীর প্রেম-প্রীতি ভালোবাসা ও প্রণয় একটি জন্মগত বৈশিষ্ট্য। অন্যান্য প্রাণীর মধ্যেও এটা বিদ্যমান। কিন্তু, এমন তো কখনো দেখা যায়নি, যৌনাকাঙ্ক্ষার অনুপস্থিতিতে শুধু প্রেম-প্রীতি, ভালোবাসা ও গভীর প্রণয়ের সম্পর্ক হয়েছে। হয়তো যৌন বাসনা থেকে যৌনাকাঙ্ক্ষা এবং তার থেকে যৌন সম্পর্কই প্রেম-প্রীতি, ভালোবাসা ও প্রণয়ের পরিণতি। তাই মানুষের যৌন বাসনা তার জন্মগত এবং স্বভাবগত। এখন দেখা যাক বন্দীদের এ অধিকার আছে কিনা। শ্রেণি অনুযায়ী বন্দীদেরকে থাকার জায়গা দেয়া হয়। তাদেরকে খাবার দেয়া হয়। অসুস্থ হলে চিকিৎসা দেওয়া হয়। গোসল ও টয়লেটের ব্যবস্থা আছে। তাদের আত্মীয় স্বজন তাদের সাথে দেখা করতে পারে। মা-বাবার, স্বামী-স্ত্রীর এবং আত্মীয় স্বজনের মৃত্যুতে পেরোলে মুক্তির ব্যবস্থা করা যায়। এসবই তাদের মানবিক মর্যাদা ও অধিকার হিসেবে স্বীকৃত। সৃষ্টি কর্তা মানুষকে সৃষ্টি করেছেন তার জোড়া দিয়ে এবং জোড়া সৃষ্টির উদ্দেশ্য যদি হয় প্রেম ও ভালোবাসা যার পরিণাম হচ্ছে যৌনাকাঙ্ক্ষার চাহিদা পূরণ করা, বন্দীর বেলায় তা কখনো উপেক্ষণীয় হতে পারে না যদি সেটা স্বামী এবং স্ত্রীর মধ্যে হয়ে থাকে। মহান কুশলি আল্লাহ তায়ালা বলেন, "তাঁর কুদরতের নিদর্শনসমূহের মধ্যে এটিও একটি যে, তিনি তোমাদের জন্য তোমাদের মধ্য থেকে সঙ্গী সঙ্গীনিদের বানিয়েছেন, যাতে করে তোমরা তাদের কাছে সুখ শান্তি লাভ করতে পারো। তিনি তোমাদের মাঝে ভালোবাসা ও পারষ্পরিক সৌহার্দ্য সৃষ্টি করে দিয়েছেন। অবশ্যই এর মধ্যে চিন্তাশীল সম্প্রদায়ের জন্য অনেক নিদর্শন রয়েছে।" সূরা আর রোমঃ২১। স্বামী-স্ত্রী পরষ্পরের সুখ শান্তি ও মানসিক প্রশান্তির জন্য এবং মনের ভাবাবেগে ও অনুভূতি প্রকাশের নিমিত্তে পরষ্পরের সান্নিধ্যে থাকা অপরিহার্য। কিন্তু, যখন তারা বন্দী অবস্থায় থাকে তখন স্বাভাবিক জীবন যাপন করতে পারে না বিধায় বিশেষ নিয়মে ও দিনে তাদের এই অধিকার নিশ্চিত করা অপরিহার্য। কোনো ক্রমেই তাদের এই অধিকার থেকে বঞ্চিত করা উচিত নয়। ভাত কাপড় বা থালা বাটি কম্বলের মতো এটাও বিবাহিত এবং শুধুমাত্র বিবাহিত বন্দীদের একটি মৌলিক অধিকার। আল্লাহ তায়ালা আরো বলেন, “তোমাদের স্ত্রীরা তোমাদের জন্য পোশাক স্বরূপ আর তোমরা তাদের পোশাক স্বরূপ।” সুরা আল বাক্বারাঃ১৮৭। একজন বিবাহিত পুরুষ অথবা নারী বন্দীর জন্য যদি নির্দিষ্ট সময় পর পর তাদের জন্য আল্লাহ তায়ালার বরাদ্দ দেয়া পোশাক পাওয়ার ব্যবস্থা করা না হয় তাহলে সেটা হবে তাদের প্রতি অমানবিক ও বেইনসাফী কাজ। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে বিবাহিত বন্দীদের স্বামী ও স্ত্রীর নির্দিষ্ট সময় অন্তর বিশেষ নিয়মে ও বিশেষ ব্যবস্থায় সান্নিধ্যে আসার সুযোগ করে দেয়া হয়। সৌদি আরবের পবিত্র মক্কা নগরীর দুইটি জেলখানায় ১৯৯৭ থেকে ১৯৯৯ সাল পর্যন্ত কর্মের সুবাদে আমি নিজেই দেখে এসেছি তারা বিবাহিত বন্দীদেরকে একটা নির্দিষ্ট সময় অন্তর বিশেষ নিয়মে ও ব্যবস্থায় স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে সান্নিধ্যে আসার ব্যবস্থা করে থাকে। এটা খুবই একটা মানবিক আচরণ। সুতরাং আমাদের দেশেও বন্দীদের জন্য এ মানবিক অধিকারটি নিশ্চিত করতে ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত।
বন্দি অভিযুক্ত কিংবা দোষী সাব্যস্ত যা-ই হোন না কেন মৌলিক মানবিক অধিকার থেকে তাকে বঞ্চিত করা যাবে না। -------মৌলিক মানবাধিকার কি এবং তা কার জন্য প্রযোজ্য, কখন তা স্থগিত থাকে এগুলা আবার নতুন করে তা হলেে আমাদের শেখা উচিত!
বন্দি অভিযুক্ত কিংবা দোষী সাব্যস্ত যা-ই হোন না কেন মৌলিক মানবিক অধিকার থেকে তাকে বঞ্চিত করা যাবে না। -------মৌলিক মানবাধিকার কি এবং তা কার জন্য প্রযোজ্য, কখন তা স্থগিত থাকে এগুলা আবার নতুন করে তা হলেে আমাদের শেখা উচিত!
Soory, i am gainst this idea as the country is full of Pakistani and indian rajakara-Albadre-alshams. Better try to make them good human being not Rajalar Al Badre al shams or Khareji !! Because khareji Are not muslims. OK hujur try to understand what I want to mean.
কয়েদিদের ছেলে মেয়ে,পিতি মাতা বৌদের থাকার জন্য জেলের ভিতর আলিশান বাড়ির ব্যাবস্তা করা হোক
Thanks Writer. Government should implement this.
ইরানে বন্দীদের জন্য ধর্মীয় ক্লাসের ব্যবস্থা রয়েছে। যোগ্যতা অনুযায়ী কোরআন হেফজ করলে মুক্তি নিশ্চিত।। জেলখানায় এমন কিছু কাজ শেখানো হয় যাতে বন্দী অবস্থায় ইনকাম করে বৌ বাচ্চাদের খরচ দিতে পারে। এমন কি জেলখানা থেকে বের হয়ে কেউ যেন বেকার বসে না থাকে সেই প্রশিক্ষণ দেয়া হয়।
ইরানে বন্দীদের জন্য ধর্মীয় ক্লাসের ব্যবস্থা রয়েছে। যোগ্যতা অনুযায়ী কোরআন হেফজ করলে মুক্তি নিশ্চিত।। জেলখানায় এমন কিছু কাজ শেখানো হয় যাতে বন্দী অবস্থায় ইনকাম করে বৌ বাচ্চাদের খরচ দিতে পারে। এমন কি জেলখানা থেকে বের হয়ে কেউ যেন বেকার বসে না থাকে সেই প্রশিক্ষণ দেয়া হয়।
*অবশ্যই উদৃত অংশ যুক্তি যুক্ত যা এত দিনেও বিবেচনায় না নেয়া আইন ও মানবাধিকারের অমনোযোগী প্রমান করে। ধন্যবাদ।*
ইরানে বন্দীদেরকে কিছু দিন পরপর একদিনের ছুটি দেয়া হয়। বাড়িতে এসে সে বৌ ছেলে মেয়েদের সঙ্গে সময় কাটাতে পারে। প্রয়োজনে বাজারঘাটা করে দেয়। কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে অনেকে সারাদিন ড্রাইভিং করে বা অন্য কোনো কাজ করে সংসারের খরচ যোগায়।
Very interesting idea. I would recommend that all the prisoners should have a Switzerland trip for one month at least every year and provision should be to provide wives or concubine. All unmarried prisoners must be provided with a girl friends at government expense and it would be better if the girls friends are trained in Islamic education. They can help better to change the prisoners. We have system of MUTAH , where one can get married for few hours to few days and there is divorce necessary at the end. In Bangladesh we also have system of HILLAH where a divorced wife is married to local humors for one night only to justify her going back to wife. SELICAS BICHITRO EI DESH- Alexander.
Kazi'র মন্তব্যের সাথে ১০০% সহমত এবং অবশ্যই আহমাদউল্লাহ সাহেবের সাথেও তাই ! আহমাদ উল্লাহ সাহেব বিচক্ষন লেখা লিখেছেন, শুধু ধন্যবাদ দিয়ে তাকে ছোট করবোনা। মহান স্রষ্টা তার কল্যান করুন !!
To implement this rule government should build a sound proof room so that the sound of conjugal affairs don't come out, and also should build attacked shower room to get clean after conjugal affairs. - Agreed
To implement this rule government should build a sound proof room so that the sound of conjugal affairs don't come out, and also should build attacked shower room to get clean after conjugal affairs.
Ibrahim Hossain
২৬ জানুয়ারি ২০২১, মঙ্গলবার, ১২:০২সহমত,,,,