করোনা মহামারির মধ্যে অর্থের অভাবে চাহিদামতো ফুটবলার কিনতে পারেনি ইউরোপের বেশিরভাগ ক্লাব। তবে ভিন্ন চিত্র ছিল চেলসির ক্ষেত্রে। চলতি মৌসুমের গ্রীষ্মকালীন দলবদলে ২৫ কোটি পাাউন্ড খরচ করে দলটি। বাংলাদেশি মুদ্রায় যা ২৯০০ কোটি টাকার সমান। বিশাল পরিমাণ অর্থ ব্যয়েও ফল নেই। মৌসুমের মাঝপথেই ইংলিশ প্রিমিয়ার লীগ শিরোপা থেকে ছিটকে গেছে চেলসি। তারকাবহুল দল নিয়েও সাফল্য এনে দিতে না পারার দায়টা বর্তেছে কোচ ফ্রাঙ্ক ল্যাম্পার্ডের উপর। ব্যর্থতার দায়ে বরখাস্ত হয়েছেন সাবেক ইংলিশ মিডফিল্ডার।
এখনো আনুষ্ঠানিক ঘোষণা না এলেও ইংলিশ সংবাদমাধ্যমগুলো জানাচ্ছে, চেলসিতে সমাপ্তি ঘটেছে ল্যাম্পার্ড অধ্যায়ের। চেলসিতে ল্যাম্পার্ডের স্থলাভিষিক্ত হতে পারেন পিএসজির সাবেক জার্মান কোচ টমাস টুখেল।
২০১৯ সালের জুলাইয়ে চেলসির দায়িত্ব পান ল্যাম্পার্ড। চেলসির জার্সিতে ১৩ বছরের ক্যারিয়ারে জিতেছেন একটি চ্যাম্পিয়নস লীগ, তিন প্রিমিয়ার লীগসহ ১৩ শিরোপা। তবে চেলসির কোচ হিসেবে প্রাপ্তির খাতাটা শূন্য। গত মৌসুমে প্রিমিয়ার লীগে চতুর্থ হয় চেলসি। এফএ কাপের ফাইনালে খেললেও জিততে পারেনি শিরোপা।
চলমান মৌসুমে সময়টা ভালো কাটছে না চেলসির। লীগ টেবিলের নবম স্থানে ব্লুজ’রা। লীগ কাপ থেকে বিদায় নিয়েছে আগেই। টিকে রয়েছে কেবল চ্যাম্পিয়নস লীগ ও এএফএ কাপ শিরোপা জয়ের সুযোগ। হাকিম জিয়েশ, টিমো ভের্নার, কাই হাভার্টজ, বেন চিলওয়েল, এদুয়ার্দ মেন্দির মতো তারকারা দলে থাকলেও সাফল্য এনে দিতে ব্যর্থ ল্যাম্পার্ড। গত জার্মান বুন্দেসলিগার অন্যতম সেরা দুই ফরোয়ার্ড কাই হাভার্টজ (৮০ মিলিয়ন ইউরো) ও টিমো ভের্নারকে (৫৩ মিলিয়ন ইউরো) দলে ভিড়িয়ে চমক দেখায় চেলসি। গ্রীষ্মকালীন দলবদলের সবচেয়ে দামী খেলোয়াড় ছিলেন হাভার্টজ। ডাচ লীগ থেকে মিডফিল্ডার হাকিম জিয়েশ আসলেও মেলে ধরতে পারেননি। গোলপোস্টের নীচে সময়ের অন্যতম সেরা গোলরক্ষক এদুয়ার্দ মেন্দি (২৯ মিলিয়ন ইউরো) এবং রক্ষণে গত মৌসুমে প্রিমিয়ার লীগের অন্যতম সেরা ডিফেন্ডার বেন চিলওয়েলকে ৫০.৩ মিলিয়ন ইউরোতে লেস্টার সিটি থেকে স্টামফোর্ড ব্রিজে আনে চেলসি। ফ্রি ট্রান্সফারে আসেন অভিজ্ঞ ব্রাজিলিয়ান ডিফেন্ডার থিয়াগো সিলভা। পরীক্ষিত তারকাদের নিয়েও চলতি মৌসুমে প্রিমিয়ার লীগের ‘বিগ সিক্সে’র বিপক্ষে জয়হীন চেলসি। ১৯ ম্যাচে জয় মাত্র ৮ ম্যাচে। পাঁচ ড্রয়ের সঙ্গে হার ছয় ম্যাচে।