বরিশাল জেলার হিজলার মেঘনার মিয়ার চরে ঘন কুয়াশায় নিজাম শিপিং কোং’এর এডভেঞ্চার-১ও এডভেঞ্চার-৯ সংঘর্ষের ঘটনায় মেরিন কোর্টে চলমান মামলায় দুই লঞ্চের মাস্টার জামাল হোসেন ও মাস্টার রুহুল আমিনের জামিন বাতিল করে জেল হাজতের নির্দেশ দেন মেরিন কোর্ট বিচারক। সোমবার সকালে নিয়মিত মামলায় মেরিনকোর্ট আদালতে হাজির হলে আদালত তাদের জামিন বাতিল করা হয়। এই সংবাদ বরিশালে পৌঁছলে বরিশাল নৌ-বন্দরের পন্টুনে নোঙ্গর ঢাকাগামী প্রায় ৭ থেকে ৮টি লঞ্চের শ্রমিকরা লঞ্চ মাস্টারদের জামিন মঞ্জুর না করা পর্যন্ত তারা কর্ম বিরতির ডাক দিয়েছে। দুপুর ২টার দিকে বরিশাল নৌ-বন্দরের বাঁধা লঞ্চগুলো একে এক পন্টুন ত্যাগ করে বরিশাল সদর উপজেলার কীর্তনখোলা নদীর অপর প্রান্তের চরকাউয়া নামক স্থানে নোঙ্গর করে রেখেছে।
আকস্মিকভাকে ঢাকাগামী লঞ্চের শ্রমিকরা কর্মবিরতি ঘোষণা করায় অগ্রিম টিকিট কাটা কেবিন যাত্রীরা বিপাকে পড়েছে। সন্ধ্যা ৭টা নাগাদ সুন্দরবন লঞ্চের কাউন্টার থেকে জানানো হয় লঞ্চ নিয়ে শ্রমিকরা মাঝনদীতে রয়েছে। লঞ্চ না ছাড়ার সম্ভাবনা বেশি।
বরিশাল নৌ-যান শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি মাস্টার আবুল হাসেম বলেন, গত বছরে মেঘনার মিয়ার চরে ঘন কুয়াশায় রাত আনুমানিক ১টার দিকে একই প্রতিষ্ঠানের দুটি লঞ্চের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে দুটি লঞ্চের কোন যাত্রীর ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।
এঘটনায় দুই লঞ্চের মাস্টার সহ চারজনের সার্টিফিকেট সনদ চার মাসের জন্য জব্দ করে। পরবর্তীতে সরকার বাদী হয়ে মেরিন কোর্ট আদালতে মামলা দায়ের করা হয়। মাস্টার রুহুল আমিন ও মাস্টার জামাল হোসেন স্বেচ্ছায় আদালতে হাজিরা দিতে গেলে বিচারক তাদের জামিন বাতিল করে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন। তিনি বলেন, এখানে কোন সংগঠন কর্ম বিরতির পক্ষে ডাক দেই নাই। শ্রমিকরা তাদের সহযোদ্ধাদের মুক্তির দাবিতে কর্ম বিরতি ঘোষণা করেছে।