× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, বুধবার , ১১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৫ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

খুলনায় প্রবাসী স্বামীর স্বর্ণ ও অর্থ নিয়ে প্রেমিকের সঙ্গে উধাও স্ত্রী

বাংলারজমিন

স্টাফ রিপোর্টার, খুলনা থেকে
২৬ জানুয়ারি ২০২১, মঙ্গলবার

খুলনা মহানগরীর রায়েলমহল এলাকায় প্রবাসী স্বামীর সারাজীবনের জমানো অর্থ ও স্বর্ণালঙ্কারসহ দুই সন্তানের জননী হীরা বেগম (৩৬) নামের এক গৃহবধূ প্রেমিকের সঙ্গে উধাও হয়ে গেছে। ভুক্তভোগী প্রবাসী আরমান হোসেন এ ঘটনায় সোনাডাঙ্গা মডেল থানায় অভিযোগ করেছেন। পুলিশ কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি বলে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী।
আরামান হোসেন বলেন, প্রায় ১৫ বছর আগে শ্রমিক ভিসায় মধ্যপ্রাচ্য কাতারে পাড়ি জমান ছেলেমেয়ে ও সংসারে উন্নতির জন্য। আমার দু’টি সন্তান রয়েছে বড় মেয়ে অরিন (১৫) ও ছোট ছেলে অনিক (১০)। অথচ আমার সুখের সংসারে আমার স্ত্রীর পরকীয়া প্রেমিক একই এলাকার বাসিন্দা মাদক ব্যবসায়ী ও মুক্তিযোদ্ধা সাহাদৎ হোসেন খুনের মামলার আসামি ইজাজ হোসেন সঙ্গে আমার প্রবাস জীবনের সব জমানো (৩৫ লাখ টাকা), প্রায় ১৫ ভরি স্বর্ণালঙ্কার নিয়ে পালিয়ে যায়। আমি বিষয়টি স্ত্রীর মাকে বললে বলে মেয়ে কারোর সঙ্গে যায়নি। তোমার অত্যাচারে সে বর্তমান ঢাকায় চাকরি করছে। উল্টো আমাকে ফাঁসানোর প্রচেষ্টা করে।
এক পর্যায়ে গোপন সংবাদে খবর পাই আমার স্ত্রীর সঙ্গে তার প্রেমিক ইজাজ বয়রা এলাকা ইসলামিয়া কলেজের সামনে তানিশা ভিলা নামের একটি বাড়িতে রয়েছে। আমি স্থানীয়দের সহায়তা সেখানে যেতে আমার ওপর ক্ষিপ্ত হয় মারধর করতে যায়। পরবর্তীতে ঘটনাস্থলে সোনাডাঙ্গা থানা পুলিশের এসআই সুকান্ত দাশ এসে আমাকে অভিযোগ করতে বলে। অভিযোগ করলেও থানা পুলিশ আমাকে কোনো সাহায্য করেনি। এখন বলছে, আপনি কোর্টে গিয়ে মামলা করেন। আমরা ব্যবস্থা নিবো। তাছাড়া আমার স্ত্রী আমাকে কোনো তালাকনামা না দিয়ে কীভাবে অন্য পুরুষের সঙ্গে থাকতে পারে। সারাজীবনে প্রবাসে কষ্টের জমানোর টাকা-পয়সা নিয়ে চলে গেছে প্রেমিকের সঙ্গে। এমনকি আমার স্ত্রী নামে রায়েরমহল জেলেপাড়া মন্দিরের পাশে প্রায় ২০ লাখ টাকার জমি ক্রয় করেছিলাম। এখন আমার কাছে দু’বেলা ভাত খাওয়ার পয়সা নেই। হোটেলে বাকিতে খাচ্ছি। আমার ছেলেমেয়েরও ভবিষ্যৎ নেই।
সালমা বেগম বলেন, আমার দু’টি মেয়ে রয়েছে। সব সময় ইজাজ মাদক সেবন করে এসে আমাকে মারধর করতো। আমার বাপের বাড়ি থেকে টাকা আনতে বলতো। যে কারণে আমি ইজাজের বিরুদ্ধে ওসিসিতে যৌতুক আইনে মামলা করি। মামলার পর থেকে সে আমার মেয়েদেরকে কোনো খরচ দেয় না। সে মামলা উঠিয়ে নেয়ার জন্য বিভিন্ন সময়ে হুমকি দিচ্ছে। তাছাড়া আগের থেকে ইজাজ পরকীয়া প্রেমে আসক্ত ছিল। যে কারণে তাকে পরিবার থেকে বারবার নিষেধ করলেও কারো কথা মানতো না।
এ ব্যাপারে সোনাডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মমতাজুল ইসলাম বলেন, একজন অভিযোগকারী এসেছিল। তবে কোনো মহিলা যদি তার স্বামীর সঙ্গে সংসার না করে তাহলে আমরা কিছু বলতে পারি না। আমি বলেছি পারিবারিক আদালতে মামলা করতে। বিষয়টি যেন দ্রুত নিস্পত্তি হয়।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর