দলের সেরা খেলোয়াড়রা এই সফরে না আসায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ দল মূলত বাধ্য হয়েছে তাদের দ্বিতীয় সারির দল নিয়ে আসতে। খর্বশক্তির সেই দলকে ভীষণ দুর্বল দেখাচ্ছে পুরো শক্তির বাংলাদেশ দলের বিপক্ষে। প্রথম ম্যাচে ছয়, দ্বিতীয় ম্যাচে এক- সিরিজের শুরুর দুই ওয়ানডেতে সাত খেলোয়াড়ের অভিষেক হয়। কিন্তু ২২ গজের পারফরমেন্স যে তাদের ভীষণ নাজুক। গতকাল সিরিজের শেষ ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলে আরো দুই ক্রিকেটারের অভিষেক হয় । সিরিজের প্রথম ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ছয় অভিষিক্ত খেলোয়াড় ছিলেন আকিল হোসেন, আন্দ্রে ম্যাকার্থি, চামার হোল্ডার, জশুয়া ডা সিলভা, কাইল মায়ারস এবং এনক্রুমাহ বোনার। ওয়েস্ট ইন্ডিজের অভিষেক ওয়ানডে বাদ দিলে এতজন ক্রিকেটারের একসঙ্গে অভিষেক হয়েছিল আর একবারই। ১৯৭৮ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে সেন্ট লুসিয়ায় প্রথম ম্যাচ খেলতে নেমেছিলেন একসঙ্গে ৬ অভিষিক্ত ক্রিকেটার।
প্রথম ম্যাচে অভিষিক্ত এ ছয়জনের মধ্যে আকিল হোসেন ও কাইল মায়ারস নিজেদের সামর্থ্যের জানান দিতে পেরেছিলেন। বাকি চারজনই নাম লিখিয়েছিলেন ব্যর্থতার খাতায়। ব্যাটসম্যানদের ভয়াবহ বিপর্যয়ে সেদিন মাত্র ১২২ রানে অলআউট হয় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। বাঁহাতি মায়ারস খেলেন দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৪০ রানের ইনিংস। পরে বোলিংয়ে নেমে বাঁ-হাতি স্পিনে ১০ ওভারে মাত্র ২৬ রান খরচায় ৩ উইকেট নেন আকিল হোসেন। এছাড়া ম্যাকার্থি ১২, জশুয়া ৯, বোনার ০ এবং চেমার হোল্ডার ৩ ওভারে ২৬ রান খরচায় ছিলেন উইকেটশূন্য। দ্বিতীয় ম্যাচে নতুন ক্যাপ পান শুধুমাত্র বাঁহাতি ওপেনার কিয়র্ন অটলি। ক্যারিবীয়দের আরেকটি হতাশাজনক ব্যাটিং প্রদর্শনীর দিনে অটলে খেলেন ২৪ রানের ইনিংস। গতকাল চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ স্টেডিয়ামে সিরিজের শেষ ম্যাচে অভিষেক হয় জাহমার হ্যামিলটন ও কিয়ন হার্ডিংয়ের। উইকেটরক্ষক হ্যামিলটন ৫৪ ও হার্ডিং ২০টি লিস্ট এ ম্যাচ খেলে ওডিআই ক্রিকেটের স্বাদ পেলেন।