× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, মঙ্গলবার , ১০ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৪ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

৫ হাসপাতালের কারা পাচ্ছেন ভ্যাকসিন

প্রথম পাতা

শুভ্র দেব
২৬ জানুয়ারি ২০২১, মঙ্গলবার

আগামীকাল আনুষ্ঠানিকভাবে করোনাভাইরাসের টিকা দেয়া হবে। পরের দিন সরকারি পাঁচ হাসপাতালের চিকিৎসক-নার্সসহ অন্যান্য ৪০০ জনকে টিকা দেয়া হবে। প্রথম ধাপে টিকা প্রয়োগের ক্ষেত্রে হাসপাতাল সংশ্লিষ্টরা কমবয়সী ও সাহসী স্টাফদের তালিকায় রেখেছেন। তাদেরকে টিকা দেয়ার পর যদি কোনো নেগেটিভ প্রতিক্রিয়া দেখা না দেয় তবে পর্যায়ক্রমে অন্যান্য স্টাফদের টিকা দেয়া হবে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, প্রথমদিকে টিকা নেয়ার জন্য কাউকে জোর করা হচ্ছে না। যারা স্বেচ্ছায় টিকা নিতে চাইছেন এবং অন্যান্য রোগ বালাই নাই তাদেরকে দিয়েই শুরু করা হবে। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার প্রথম ধাপে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, মুগদা জেনারেল হাসপাতাল, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়, কুয়েত- বাংলাদেশ মৈত্রী সরকারি হাসপাতাল, কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের অন্তত চার শতাধিক স্টাফকে টিকা দেয়া হবে। এ জন্য কয়েকটি হাসপাতালের প্রশাসন ইতিমধ্যে একটি তালিকা তৈরি করেছে।
তালিকার মধ্যে মুগদা জেনারেল হাসপাতাল ১০০ জন, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ১০০ জন, কুয়েত বাংলাদেশ মৈত্রী সরকারি হাসপাতাল ৫০ জনের তালিকা তৈরি করেছে। বাকি হাসপাতালগুলো এখনো তালিকা চূড়ান্ত করতে পারেনি। স্টাফদের সঙ্গে কথা বলে আজ তারা চূড়ান্ত তালিকা করবেন।

সূত্র জানিয়েছে, প্রথম ধাপের টিকা নিতে সরকারি হাসপাতালের অনেক স্টাফরা অনীহা দেখাচ্ছেন। কিন্তু সরাসরি কোভিডের সঙ্গে জড়িত থাকার জন্য অনেক চিকিৎসক, নার্স ও অন্যান্য স্টাফদের উৎসাহিত করা হচ্ছে। কিছু কিছু হাসপাতালে আউটসোর্সিং, নিরাপত্তাকর্মীদের দিয়ে তালিকা পূর্ণ করা হয়েছে।  

মুগদা জেনারেল হাসপাতালের উপ- পরিচালক ডা. মো. আবুল হাশেম শেখ মানবজমিনকে বলেন, ২৮ তারিখ থেকে ভ্যাকসিন দেয়া শুরু করবো। তবে আমরা কোনো ঝুঁকিতে যাবো না। যাদের বয়স পঁয়ত্রিশের নিচে, সাহসী, ভয়ভীতি নাই, উচ্চ রক্তচাপ বা অন্যকোনো রোগ নাই তাদেরকে সিলেক্ট করেছি। চিকিৎসক, নার্স, নিরাপত্তাকর্মী, আউটসোর্সিংসহ সব বিভাগ থেকে ১০০ জনের তালিকা করেছি। তিনি বলেন, অনেক চিকিৎসক, নার্স ও অন্যান্য স্টাফদের মধ্যে ভয়ভীতি আছে। তবে আমাদের ১৫০০ স্টাফের মধ্যে ১০০ জন তেমন কিছু না। প্রথম ধাপে যাদেরকে দেয়া হবে তাদেরকে ৭ই ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত অবজারভ করা হবে। যদি তাদের শরীরে কোনো বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা না দেয় তবে ৮ই ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু করে পরবর্তীতে বাকি ১৪০০ স্টাফকে ভ্যাকসিন দেয়া সম্পন্ন করা হবে।
কুয়েত-বাংলাদেশ মৈত্রী সরকারি হাসপাতালের পরিচালক ডা. এ কে এম সরওয়ারুল আলম মানবজমিনকে বলেন, আমাদের ৪৫০ জন স্টাফের মধ্যে থেকে ৫০ জনের মতো একটা তালিকা করেছি। এখানে সব শ্রেণির স্টাফদেরকেই রেখেছি। যারা নিজে থেকে আগ্রহী হয়েছে তাদেরকেও রাখা হয়েছে। একদিনে সবাইকে দেয়া যাবে না। তাই ধারাবাহিকভাবে সবাইকে দেয়া হবে। যারা নিতে অনীহা করছে তাদেরকে মোটিভেট করছি। এ ছাড়া একটা অপশন আছে যারা নিতে চায় তারা নেবে। আর এই হাসপাতালটি সরাসরি কোভিডের সঙ্গে জড়িত- তাই কেউ না নেয়ার সুযোগ নাই। এখন পর্যন্ত নেগেটিভ চিন্তা কারো মাঝে দেখি নাই।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের অতিরিক্ত পরিচালক ডা. নাজমুল করিম মানবজমিনকে বলেন, প্রথম ধাপে সবচেয়ে ঝুঁকিতে আছেন এমন আগ্রহীকে দেবো। তাদেরকে কিছুদিন পর্যবেক্ষণে রাখবো। তারপর ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহ থেকে অন্যদের দেয়া শুরু করবো। এক্ষেত্রে আমরা ৬৫ বছরের উপরে বয়স এমন কাউকে রাখছি না। তিনি বলেন, প্রতিটা বিভাগেই জানিয়ে দিয়েছি তালিকা দেয়ার জন্য।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাজমুল হক মানবজমিনকে বলেন, সবমিলিয়ে আমাদের স্টাফ আট হাজারের বেশি। সেখান থেকে আমরা বিভিন্ন শ্রেণির ১০০ জন স্টাফের একটা তালিকা করেছি যাদেরকে প্রথম ধাপে টিকা দেয়া হবে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর