× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, বুধবার , ১১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৫ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

ব্রকলি চাষে আগ্রহ বাড়ছে কৃষকদের

বাংলারজমিন

বাংলারজমিন ডেস্ক
২৭ জানুয়ারি ২০২১, বুধবার

দেশে ব্রকলি চাষ দিন দিন বাড়ছে। ফলন ভালো এবং চাহিদা থাকায় কৃষকদের মধ্যে এই সবজি চাষে আগ্রহী হচ্ছে। চাষিদের আগ্রহ থাকায় কৃষি বিভাগও নানা সহায়তা দিচ্ছে কৃষকদের। স্থানীয় বাজার ছাড়াও এই ব্রকলির চাহিদা আছে সারা দেশে।
মাসুদ আহমদ, মৌলভীবাজার থেকে জানান, মৌলভীবাজার কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা যায়, এই বছর মৌলভীবাজার জেলার বিভিন্ন উপজেলায় ৫০ হেক্টর জমিতে শীতকালীন সবজি ব্রকলি চাষ হয়েছে। প্রতি হেক্টরে উৎপাদন হয়েছে সাড়ে ১২ টনের মতো। মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গল উপজেলার কালাপুর ইউনিয়নের মাজদিহি গ্রামের সবজি চাষি শামীম মিয়া (৩৫) জানান, কৃষি ঋণ নিয়ে সাড়ে ১০ কিয়ার (ত্রিশ শতকে কিয়ার) জমিতে এবার ৫০ হাজার ব্রকলির চারা লাগিয়েছেন তিনি। ফলনও বেশ ভালো হয়েছে।
১০ টাকা পিস দরে বিক্রি করতে হচ্ছে। একই গ্রামের কৃষক মুজিবুর রহমান জানান, তারও ফলন ভালো হয়েছে। আগামীতে আরো বেশি জমি নিয়ে এই সবজি চাষের পরিকল্পনা করছেন। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর মৌলভীবাজার কার্যালয়ের উপ-পরিচালক কাজী লুৎফুল বারি জানান, ব্রকলি বা সবুজ ফুলকপি চাষে মৌলভীবাজারে সবজি চাষিদের আগ্রহ বাড়ছে। ২৫/৩০ টাকায় বিক্রি করে উচ্চ মূল্যও পাচ্ছেন কৃষকরা।
সাখাওয়াত হোসেন হৃদয়, পাকুন্দিয়া (কিশোরগঞ্জ) থেকে জানান, কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলায় প্রথমবারের মতো এর চাষ হয়েছে। উপজেলার আদিত্যপাশা গ্রামের আলাউদ্দিন নামে এক কৃষক এ সবজির আবাদ করেছেন। প্রথমবারেই ফলন হয়েছে বেশ। লোকজন উৎসাহ নিয়ে ব্রকলি কিনছেন। ফলন ও বাজার দর ভালো পাওয়ায় ব্রকলি চাষে হাসি ফুটেছে কৃষক আলাউদ্দিনের মুখে। স্বল্প সময়ে অল্প খরচে অধিক লাভ পাওয়ায় উপজেলার অন্য কৃষকরাও আগ্রহ দেখাচ্ছেন এ জাতের সবজির আবাদ করতে। ব্রকলি চাষি উপজেলার আদিত্যপাশা গ্রামের মো. আলাউদ্দিন জানান, কৃষি বিভাগের পরামর্শে প্রথমবারের মতো এক বিঘা জমিতে ব্রকলির চাষ করেছেন। দুই মাস ১০ দিন সময়ে ব্রকলি পরিপক্ব হয়েছে। পুরো জমিতে প্রায় ৪ হাজার গাছ রয়েছে। এতে তার খরচ হয়েছে প্রায় ৪০হাজার টাকা। এরই মধ্যে বিক্রয়ও শুরু করেছেন। প্রতিটি ব্রকলি পাইকারি দরে ২৫ থেকে ৩০টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এতে তিনি লাভবান হবেন বলে জানিয়েছেন। আঙিয়াদী ব্লকের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোহাম্মদ হামিমুল হক সোহাগ বলেন, ব্রকলি এই এলাকায় নতুন চাষ হলেও ব্যাপক সারা ফেলেছে। ব্রকলি  চাষ করে কৃষক বেশ লাভবান হবেন। কৃষি বিভাগ থেকে কৃষককে নিয়মিত পরামর্শ প্রদান করা হচ্ছে।
এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. সাইফুল হাসান আলামিন মানবজমিনকে জানান, এনএটিপি-২ প্রকল্পের আওতায় উপজেলার বিভিন্ন ধরনের ফসলের উচ্চমূল্যের প্রদর্শনী বাস্তবায়িত হয়েছে। তার মধ্যে আদিত্যপাশা বাগানবাড়ি সিআইজির উচ্চমূল্যের প্রদর্শনীতে ব্রকলি চাষ করা হয়েছে। আগামীতে এ উপজেলায় ব্রকলি চাষ আরো সম্প্রসারিত হবে বলে মনে করছি।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর