কেন্দ্র দখল করে জালিয়াতীর মাধ্যমে ভোট ডাকাতির উৎসব চলছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি মনোনীত প্রার্থী ডা. শাহাদাত হোসেন। বুধবার ১৭ নম্বর দক্ষিণ বাকলিয়া ওয়ার্ডের বিএড কলেজ কেন্দ্রে নিজের ভোট দিয়ে বের হওয়ার পর সাংবাদিকদের কাছে এই অভিযোগ করেন তিনি।
শাহাদাত হোসেন বলেন, নগরীর খুলশী, চান্দগাঁও, বাকলিয়া, লালখান বাজার ও পাহাড়তলী ওয়ার্ডে আমাদের এজেন্টদের মারধর করে ভোটকেন্দ্র থেকে বের করে দেয়া হয়েছে। ১৩ নম্বর ওয়ার্ডে গোলাগুলিতে ৩ তিন কর্মী আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এমনকি আমাদের নারী কর্মীদের গায়েও হাত তোলা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, মঙ্গলবার রাত থেকেই ভোটকেন্দ্র দখলের পায়তারা চলছিল। আমি তিনজনের কাছে অভিযোগ পেয়েছি, তারা আমাকে জানিয়েছেন গোপন কক্ষে অন্য একজন দাঁড়িয়ে থাকছে। যারা ভোটারদের আঙুলের ছাপ দেয়ার পর নিজের ইচ্ছামত ভোট দিয়ে দিচ্ছেন।
আমি এখন পর্যন্ত যা দেখেছি গত তিন ঘন্টায় ভোট ডাকাতির মহোৎসব চলছে। কিন্তু প্রশাসনের ভূমিকা দেখে মনে হচ্ছে, আওয়ামী লীগের সঙ্গে নির্বাচন হচ্ছে না। আমাদের প্রতিদ্বন্দ্বিতা যেন রাষ্ট্রযন্ত্রের সঙ্গে। কোনো রকম বিশৃঙ্খলার বিরুদ্ধে প্রশাসন পদক্ষেপ নিচ্ছে না। ডা. শাহাদাত ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, আমি ৩৫ বছর ধরে রাজনীতি করে আসছি। মাঝপথে ভোট থেকে সরে যাবো না। বরং আওয়ামী লীগের বেহায়াপনা ও ভোট ডাকাতির চিত্র বিশ্বকে দেখিয়ে দেব।
ভোটারদের উদ্দেশ্যে ডা. শাহাদাত বলেন, আপনারা সাবধান থাকবেন। অপারেটিং প্যানেলে আঙুলের ছাপ দেয়ার আগে গোপন কক্ষে কেউ আছে কিনা দেখবেন। নিজের ভোট অন্য কাউকে দিতে দিবেন না।
এর আগে সকাল ৮টায় ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) মাধ্যমে ভোটগ্রহণ শুরু হয় । চলবে বিকাল ৪টা পর্যন্ত। ১৯ লাখ ৩৮ হাজার ৭০৬ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। এবার মেয়র পদে সাতজন এবং কাউন্সিলর পদে নির্বাচন করছেন ২২৫ জন। ভোটগ্রহণ কর্মকর্তার দায়িত্বে আছেন প্রায় পাঁচ হাজার কর্মকর্তা আর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ১৪ হাজারের বেশি সদস্য।