রাজধানীর পাঁচটি হাসপাতালে শুরু হয়েছে টিকাদান কর্মসূচি। কোভিড-১৯ মহামারী প্রতিরোধে আজ সকালে এই হাসপাতালগুলোতে টিকাদান কর্মসূচি শুরু হয়। তার আগে বুধবার কুর্মিটোলা হাসপাতালে এই কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়।
আজ সকালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) ভিসি অধ্যাপক কনক কান্তি বড়ুয়া প্রথম টিকা নিয়ে ওই হাসাপাতালের টিকা কার্যক্রমের সূচনা করেন। সকাল ১০টা ৪০ মিনিটে টিকা নেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। এরপর বেলা ১১টায় স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব মো. আব্দুল মান্নান ও তথ্য সচিব খাজা মিয়া টিকা নেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, গতকাল যারা টিকা নিয়েছেন তারা সবাই সুস্থ আছেন। অপপ্রচারে কান না দিয়ে সবাইকে টিকা নেওয়ার আহবান জানান তিনি।
বিএসএমএমইউ, কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালসহ পাঁচটি হাসপাতালে শুরু হয়েছে টিকাদান কর্মসূচি। অন্যান্য হাসপাতালগুলো হচ্ছে, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও বাংলাদেশ-কুয়েত মৈত্রী হাসপাতাল।
আজ এই পাঁচটি হাসপাতালে পাঁচ শতাধিক ব্যক্তিকে টিকা দেওয়া হবে।
আজ টিকা দেওয়ার পর ৬ই ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত টিকাদান বন্ধ থাকবে। টিকা গ্রহণকারী ব্যক্তিদের পর্যবেক্ষণে রাখা হবে। ৮ই ফেব্রুয়ারি থেকে সারাদেশে টিকাদান কর্মসূচি শুরু হবে।
উল্লেখ্য, বুধবার বিকাল সাড়ে ৩টায় দেশে করোনা টিকা কার্যক্রম উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এসময় রাজধানীর কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে পাঁচজনকে টিকা দেওয়া হয়। প্রথম টিকা নেন কুর্মিটোলা হাসপাতালের নার্স রুনু বেরুনিকা কস্তা। সব মিলিয়ে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে বিভিন্ন পেশার ২৬ জনকে টিকা দেওয়া হয়।