১.মোখলেছুর রহমান সাহেবের সাথে আমার তেমন কোন পরিচয় নেই। তিনি কীভাবে আমার ফোন নম্বর পেয়েছেন তাও মনে পড়ছে না। মোখলেছুর সাহেব আমাকে ফোন করেছেন। লন্ডন সময় সকাল আটটা। কাজে যাওয়ার জন্য গাড়িতে উঠবো এমন সময় ফোনটা বেজে উঠলো। এতো সকালে বাংলাদেশ থেকে যখন ফোন আসে তখন ভয়ের সাথে ফোন ধরি। না জানি কোন দুঃসংবাদ আসছে। ফোনে মোখলেছুর রহমান সাহেব তার পরিচয় দেন।
আমি তাকে চিনতে পারি।
২০১৮ সালে আমি যখন বাংলাদেশে যাই, তখন আমার প্রাক্তন স্কুলের একটি অনুষ্ঠানে মোখলেছুর রহমান সাহেবের সাথে কথা হয়েছিল। এরপর উনার স্ত্রীর একটি সমস্যার ব্যাপারে আমার সাথে একবার ফোনে আলাপ হয়। মোখলেছ সাহেবের শরীরে একটু জ্বর এবং হালকা কাশি হচ্ছে। তিনি ভয় পাচ্ছেন? তার কি করোনা হয়ে গেলো? না, সে কারণে মোখলেছুর রহমান সাহেব আমাকে ফোন করেননি। ফোন করেছেন আমাকে বলার জন্য যে তিনি খুব সমস্যায় আছেন। আমি তাকে কিছু টাকা ধার দিতে পারবো কিনা। তিনি তাঁর সংসার সামলাতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছেন। করোনা টেস্ট করিয়েছেন বা করাবেন? মোখলেছুর সাহেব কোন আগ্রহ দেখালেন না। দুবেলা খেয়ে বেঁচে থাকাটাই তার কাছে এখন অন্যতম সংগ্রাম। করোনা নিয়ে ভাবার সময় নেই। সংসার নিয়ে তিনি এখন অনেকটা জীবন্মৃত।
২. ২৮ জুন ২০২০। বাংলাদেশের মানুষের জীবন নিয়ে জুয়া খেলার ইতিহাসে একটি অন্যতম দিন। অধিকাংশ পাঠক হয়তো এই তারিখ মনে করতে পারবেন না। আপনাদের দোষ দিই না। বারো মাসে তেরো পার্বণের দেশে দিবস আর বিশেষ মাসের কোন অভাব নেই। পৃথিবীর কোথাও এতো দিবস এবং মাস দল বেঁধে উদযাপন করার ইতিহাস আমার জানা নেই। এমন একটি দেশে বাস করে ২৮.০৬.২০ তারিখের কোন গুরুত্ব আপনাদের কাছে থাকার কথা নয়। তবে আমার কাছে আছে। আমার মতো কারো কারো কাছে এ দিবসের গুরুত্ব অপরিসীম। আর সে কারণেই তা উল্লেখ করলাম।
৩. কয়েকদিন আগে রাষ্ট্রের একজন অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি বলেছেন করোনা আরেকটু নিয়ন্ত্রণে আসলেই স্কুল-কলেজ খুলে দেয়া হবে। এই 'আরেকটু' বলতে আসলে তিনি কী বুঝিয়েছেন তা পরিষ্কার করেননি। কোন সাংবাদিকও তাকে জিজ্ঞেসও করেননি। অথবা জিজ্ঞেস করার সাহস পাননি। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে থাকা আরেক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি বলেছেন কোন ভাইরাসের সংক্রমণ ৩% থেকে কম হলে তা আপনি আপনি চলে যায় যায়। এসব অতি বৈজ্ঞানিক তথ্যগুলো তিনি কোথা থেকে পেয়েছেন তার উৎস উল্লেখ করেননি। বাংলাদেশে এখন বলা হচ্ছে করোনা সংক্রমনের হার ৩% এর চেয়ে কম। কাজেই আমরা ধরে নিতে পারি করোনা বাংলাদেশ থেকে বিদায় হয়েছে অথবা বিদায় নিতে যাচ্ছে। সেই আনন্দে আপনি উৎসব করতে পারেন। উৎসবে নাচানাচি করতে পারেন। গান গাইতে পারেন। পুরো দুনিয়াকে জানিয়ে দিতে পারেন যে আপনারা করোনাকে জয় করে ফেলেছেন। আপনারা ঝাড়ু দিয়ে পিটিয়ে করোনাকে দেশ ছাড়া করেছেন। চিয়ার্স।
৪. মোখলেছুর রহমান একটি নন এমপিও মাধ্যমিক স্কুলের অংকের শিক্ষক। ঘরে স্ত্রী আছেন। ৫ এবং ১১ বছরের দুটি মেয়ে আছে। বেসরকারি স্কুল থেকে তার প্রাপ্ত বেতন হচ্ছে ৫ হাজার টাকা। স্কুল খোলা থাকা অবস্থায় একটু-আধটু প্রাইভেট পড়িয়ে আরো ৫ হাজার টাকার মতো আয় করতেন। তার সাকুল্যে মাসিক আয় ১০ হাজার টাকা। তিনি গ্রামে থাকেন।কেমন আছেন মোখলেছুর রহমান এখন? তিনি কি বেঁচে আছেন নাকি মরে গিয়ে শুধু শরীরটা নিয়ে বেঁচে আছেন? কেমন আছেন তার স্ত্রী এবং দুই শিশু? প্রশ্নটি এ কারণে করলাম যে দুর্মূল্যের বাজারে মাসে ১০,০০০ টাকা দিয়ে একটি পরিবার চলা সম্ভব? করোনা আসার পর থেকে স্কুল বন্ধ আছে। টিউশনি করে যে ৫০০০ টাকা ঘরে আনতেন তা মার্চ মাস থেকে বন্ধ। স্কুল বন্ধ থাকায় স্কুল কর্তৃপক্ষ ছাত্র-ছাত্রীদের কাছ থেকে নিয়মিত বেতন নিতে পারছে না। সেকারণে মাস শেষে স্কুল থেকে যে ৫০০০ টাকা বেতন পেতেন তাও নিয়মিত পাচ্ছেন না। তিনি না কারো কাছে হাত পাততে পারছেন, না নিজে সামলাতে পারছেন। নিজে কথা না ভেবে ঘরে স্ত্রী এবং ২ মেয়ের মুখে ভাত তুলে দেয়ার জন্য এখানে ওখানে লুকিয়ে লুকিয়ে ধার চাইছেন। প্রায় এক বছর থেকে এখান থেকে ওখান থেকে ধার-কর্জ করে চলছেন। এখন দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে। কারো কাছ থেকে ধার করার মতো অবস্থায় তিনি এখন আর নেই। শিক্ষক মোখলেছুর রহমান এখন অর্ধমৃত। এই সমাজ তাকে মেরে ফেলেছে। জীবিত থেকেও মৃত। জীবন্মৃত।
৫. ২৮ জুনের আগ পর্যন্ত আমরা দেখছিলাম বাংলাদেশে করোনা রোগীর সংখ্যা বেড়েই চলেছে। আক্রান্ত এবং মৃতের সংখ্যা ঊর্ধ্বমুখী। বাংলাদেশ সরকার লকডাউন ঘোষণা করেছে। মানুষের জীবন ও জীবিকা থমকে দাড়িয়েছে। তারপর সেই অদ্ভুত দিনটি হাজির হলো। ২৮ জুন ২০২০।
৬. ২৮ জুন ঘোষণা আসলো- এখন থেকে আর করোনা টেস্ট বিনামূল্যে করা হবে না। বুথে গিয়ে নমুনা পরীক্ষা করালে ২০০ টাকা, বাসা থেকে নমুনা সংগ্রহ করলে ৫০০ টাকা দিতে হবে। প্রাইভেট হাসপাতালে দিতে হবে ৩৫০০ টাকা। যদিও কয়েক মাস পর এই টাকার (বুথ এবং বাসা)পরিমাণটা একটু কমানো হয়েছে (বুথে গেলে ১০০, বাসায় করালে ২০০ টাকা) । আমরা জানতাম এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ দিন। কারণ ঐ দিনের পর থেকে লোকজন পরীক্ষা করাতে ইচ্ছুক হবে না। আক্রান্তের সংখ্যা ধীরে ধীরে কমে আসবে। মৃতের সংখ্যাও কমে আসবে। আমরা ভুলে যাবো কেন এই সংখ্যা কমে আসছে। আমরা দাবি করে বসবো আমরা আসলে করোনা জয় করেছি। আমাদের সেই ধারণা সত্যি হতে চলেছে। লোকজনকে আমরা বোঝাতে সক্ষম হয়েছি করোনা বাংলাদেশ থেকে বিদায় হয়েছে। অফিস-আদালত, কারখানা, মসজিদ,মন্দির, বাজার সবকিছু খুলে দিয়েছি। তবে স্কুল, কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দেয়া হয়নি। কেন খুলে দেয়া হয়নি? সবকিছু উদোম করে দিয়ে গায়ে গেঞ্জি পরে থাকার কোন মানে হয় না। কিন্তু আমরা তাই করছি। স্কুল-কলেজ খুলে দিলে অন্তত মোখলেছুর রহমানদের মানুষের কাছে সাহায্য চাইতে হতো না।
৭. সরকারি হিসেব মতে ১৮ কোটি মানুষের দেশে (বাংলাদেশ) করোনাতে দৈনিক ১২-২৫ জন লোক মারা যাচ্ছে। ৫ ফেব্রুয়ারির পত্রিকার খবর অনুসারে গত ২৪ ঘন্টায় (বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা শুক্রবার সকাল ৮টা) সারা বাংলাদেশে মোট ৭ জন করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। করোনা শনাক্ত হয়েছে ৪৩৫ জনের। ২৪ ঘন্টায় সারাদেশের ১৫ হাজার ৫৬৬ করোনার নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। পরীক্ষা বিবেচনায় আক্রান্তের হার ২.৭৯, মৃত্যুর হার ১.৫২। চিয়ার্স। ব্রাভো। ওয়েল ডান!
৮. এবার একটু যুক্তরাজ্যের হিসেব দেয়া যাক। মোট জনসংখ্যা ৭ কোটি। বাংলাদেশের জনসংখ্যার প্রায় এক তৃতীয়াংশ। ৫ ফেব্রুয়ারিতে প্রকাশিত তথ্য অনুসারে গত ২৪ ঘন্টায় কোভিড টেস্ট হয়েছে সাত লক্ষ ৮৩ হাজার ৮ শত ৫১ জনের। মোট আক্রান্ত হয়েছেন ১৯,১১৪ জন এবং মৃত্যুবরণ করেছেন ১০১৪ জন।
৯. হালকা বা বেশি জ্বর, কাশি, স্বাদ অথবা ঘ্রাণ নিতে সমস্যা- এর যেকোনো একটি বা একাধিক উপসর্গ থাকলে আপনাকে টেস্ট করতে হবে। অবশ্যই টেস্ট বিনামূল্যে করা হবে। আপনি কাজে যেতে পারবেননা। হোম আইসোলেশনে কমপক্ষে ১০-১৪ দিনের জন্য থাকতে হবে। এটি হচ্ছে যুক্তরাজ্যের নিয়ম। আপনাকে তা মানতেই হবে। না মেনে চললে খেসারত দিতে হবে। শতকরা ৯৯ ভাগ লোক এই নিয়মের মধ্যে চলে।
১০. হালকা জ্বর, কাশি, স্বাদ বা ঘ্রাণ নিতে সমস্যা আছে এমন লোকজনের সংখ্যা বাংলাদেশে কতো? টেস্ট হচ্ছে কতোজনের? দৈনিক নোট কতোটি টেস্ট করা প্রয়োজন? টেস্ট হচ্ছে? টাকা দিয়ে টেস্ট করার মতো জনসংখ্যা কতো?
১১. সরকার যখন এই ফি নির্ধারণ করে (২৮.০৬.২০) তখন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য এবং ভাইরোলজিস্ট অধ্যাপক ডাক্তার নজরুল ইসলাম দ্বিমত প্রকাশ করে বলেছিলেন "ফ্রি টেস্ট থাকলে ধনী-গরিব সবাই টেস্ট করাতে যেতেন। এখন যার খাবারেরই সমস্যা তিনি কীভাবে টেস্ট করাতে যাবেন? সবাই টেস্ট করাতে না গেলে সমাজের আসল চিত্রটা জানা যাবে না। এখন শুধু যাদের ফি দেওয়ার ক্ষমতা আছে তারাই করোনা পরীক্ষা করাবেন। যাদের সংসার চলছে না, ২০০ টাকা হলে পাঁচ কেজি চাল কিনতে পারেন এমন কেউ আর পরীক্ষা করাতে আসবেন না। ফলে করোনা বিস্তৃতির সঠিক চিত্রটা আর পাওয়া যাবে না।" উল্লেখ্য, অধ্যাপক ডাক্তার নজরুল ইসলাম স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের জাতীয় টেকনিক্যাল কমিটির সদস্য। কেউ তাঁর কথা শোনেনি।
১২. ২৯ আগস্ট ২০২০ সালে প্রখ্যাত বিজ্ঞান সাময়িকী ল্যানসেট জার্নালে প্রকাশিত এক নিবন্ধে বলা হয়েছে কোভিড-১৯ টেস্টে বাংলাদেশ সরকার ফি নির্ধারণ করে দেয়ার পর থেকে পরীক্ষার সংখ্যায় বড় ধরনের তারতম্য পরিলক্ষিত হচ্ছে। টেস্টের জন্য ফি নির্ধারণ করার পর থেকে টেস্ট করানোর হার নেমে দাঁড়িয়েছে প্রতি ১০ হাজার জনে দৈনিক ৮ টি টেস্ট। গত আগস্ট মাসে সেই সংখ্যা কমে দাঁড়িয়েছে প্রতি ১ লাখ জনে ৬ টি টেস্ট। সংখ্যাটি খেয়াল করুন। ফি নির্ধারণ করার পর টেস্টের অবস্থা কী হয়েছে? গতকাল সারাদেশে ১৫,৫৬৬ টেস্ট করা হয়েছে। ১৯ কোটি জনসংখ্যাকে ১৫,৫৬৬ দিয়ে ভাগ করলে টেস্ট করানোর সংখ্যা দাঁড়ায় কত?
১৩. বাংলাদেশ থেকে করোনা যায়নি। পৃথিবী থেকেও কারোনা যায়নি। মানুষ আক্রান্ত হচ্ছে, মারা যাচ্ছে। কিন্তু বাংলাদেশে সম্পূর্ণ খবর প্রকাশিত হচ্ছে না। টেস্ট হচ্ছে না। কে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেলো, আর কে আক্রান্ত হয়ে মুক্ত ভাবে চলাফেরা করছে তার কোন সঠিক হদিস নেই। মানুষ একসময় এই পরিসংখ্যান ভুলে যাবে। জুন মাসের ২৮ তারিখ তাদের স্মৃতি থেকে বিদায় নেবে। লোকজন ভুলে যাবে ওই তারিখের পর থেকে আমাদের দেশে করোনা আক্রান্ত এবং মৃতের সংখ্যা ধীরে ধীরে আকাশ-পাতাল হয়ে গেছে।
১৪. ঢাকা মেডিকেল কলেজ থেকে পাশ করা সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজের মেডিসিন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডাক্তার মঈন উদ্দীনকে দিয়ে ডাক্তারদের যে মৃত্যুর মিছিল শুরু হয়েছিল সেই মিছিল ১০০ অতিক্রম করেছে অনেক আগে। আমার চিকিৎসক বন্ধু এবং শিক্ষক- এমন ৯ জনকে চির বিদায় দিতে হয়েছে। সাধারণ মানুষের খবরাখবর না জানলেও ডাক্তারদের খবরটা আমাদের হাতে চলে আসে। হতে পারে একটু সচেতনতার কারণে অসুস্থ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই তাঁরা করোনা পরীক্ষা করান। তাদের আক্রান্ত হওয়া এবং মৃত্যুর খবরটা তাই আমাদের সামনে চলে আসে। তাদের মৃত্যুর সংখ্যার দিকে তাকালে আমরা ধারণা করতে পারি বাংলাদেশের কতোজন সাধারন মানুষ কোভিড আক্রান্ত হয়ে মারা যাচ্ছেন কিন্তু হিসেব নেই।
১৫. মোখলেছুর রহমান সাহেবের মতো লক্ষ লক্ষ মানুষ বাংলাদেশে আছেন। দুবেলা খাবার জোগাড় করতে হন্যে হয়ে পাগলের মতো ঘুরেন এমন মানুষের সংখ্যা কোটির উপরে। ফুটপাত আর বস্তিতে বসবাস করেন এমন লোকের সংখ্যাই বাংলাদেশে প্রায় ৬০ লক্ষ। উনারা কখনো টাকা দিয়ে টেস্ট করাতে যাবেন, করতে পারবেন? উনাদের জ্বর সর্দি-কাশির খবর কী? উনাদের বুঝি করোনা হচ্ছে না?
করোনা টেস্ট করার চাইতে বেঁচে থাকাটাই তাঁদের কাছে অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। যেখানে দুবেলা খাবার জোগাড় করতে তাদের পাগলের মতো ঘুরতে হচ্ছে সেখানে করোনা টেস্ট তাদের কাছে বিশেষ কোনো আবহ তৈরি করতে পারে না। করোনা টেষ্ট করা তাদের কাছে মনে হবে জুয়া খেলা। অবশ্য টেস্ট করানোর জন্য ফি নির্ধারণ করে সরকার আরেকটি জুয়া খেলা খেলেছেন। এমন মহামারী নিয়ে জুয়া খেলাটা না খেললে চলতো না?
দ্রষ্টব্য: উপরের লেখায় উল্লেখিত শিক্ষকের নাম এবং পরিচয় পরিবর্তন করে দেয়া হয়েছে।
ডা: আলী জাহান
যুক্তরাজ্য প্রবাসী চিকিৎসক
[email protected]