অবশেষে উদ্ধারকারী দল পৌছালো তপোবন-বিষ্ণুগড় টানেলের ধ্বংসস্তূপের মধ্যে। কোলে করে বের করে আনতে লাগলো একটির পর একটি মৃতদেহ। ঋষিগঙ্গা হাইড্রো পাওয়ার প্রজেক্টে কাজ করতে টানেলে ঢোকা ৩৪ জনের মধ্যে কেউ বেচে নেই বলে উদ্ধারকারীদের ধারণা। গত রোববার যে মানুষগুলো জীবন্ত ঢুকেছিলো টানেলে তারাই তুষার ধসের ৮ দিন পর নিথর হয়ে ফিরে আসছে টানেলের বাইরে, মুক্ত আকাশের নিচে। ৮ দিন চোখের পাতা এক না করে স্বজনরা প্রতীক্ষায় ছিলেন। প্রতীক্ষার অবসান হল দু কুল ফাটা হাহাকারে, চোখের জলে। রোববার সন্ধ্যা থেকে সোমবার সকাল। একটি করে মৃতদেহ বেরিয়েছে আর কান্নার রোল উঠেছে। এখনও উদ্ধারকারীরা টানেলের গহবরে জীবনের সন্ধানে ক্ষান্ত দেননি। কিন্তু, সম্ভাবনা ক্ষীণ থেকে ক্ষীণতর হয়ে আসছে।
টানেলের বাইরেই জেলা প্রশাসন একটি অস্থায়ী মর্গ করেছে। ব্যাবচ্ছেদের পর দেহ তুলে দেয়া হচ্ছে স্বজনদের হাতে। বৃদ্ধ শ্যামাচরণ পুনিয়ার ছেলে রামচরণের লাশ এখনও মেলেনি। শ্যামাচরণ রোববার ঠায় সারারাত বসেছিলেন। তার আশা ছেলে তার পাশে এসে বসে বলবে -বাবু খানা পাকাও, বড়ি ভুখা হু মায়...