তিনি ‘কন্ট্রোভার্সি কুইন’। নানা ইস্যুতে তার মন্তব্যকে ঘিরে বিতর্ক ঘনিয়েছে বিভিন্ন সময়ে। এবার কঙ্গনা রানাউতের দিকেই ধেয়ে এল কুকথা। মধ্যপ্রদেশের কংগ্রেস বিধায়ক সুখদেব পানসে ‘নাচনে গানেওয়ালি’ বলে কটাক্ষ করলেন বলিউডের নায়িকাকে। নীরব থাকেননি কঙ্গনাও। তিনিও পালটা আক্রমণে বিঁধেছেন সুখদেবকে। টুইটারে বরাবরই আক্রমণাত্মক মেজাজে দেখা যায় তাকে। সুখদেবকে জবাব দিতেও তিনি বেছে নেন জনপ্রিয় এই মাইক্রোব্লগিং সাইটকে।
কঙ্গনা লেখেন, কে এই নির্বোধ? এ কী জানে না আমি দীপিকা, ক্যাটরিনা অথবা আলিয়া নই। আমিই একমাত্র, যে আইটেম নম্বরের প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছে, বড় হিরোদের (খান/কুমার) ছবিকে প্রত্যাখ্যান করেছে। যার জন্য গোটা বলিউড গ্যাংয়ের নারী-পুরুষরা আমার বিরুদ্ধে চলে গিয়েছে। আমি এক রাজপুত নারী। আমি নিতম্ব দোলাই না। হাড় ভেঙে দিই। সম্প্রতি কৃষক আন্দোলনের বিরুদ্ধে বারবার আক্রমণাত্মক মেজাজে দেখা গিয়েছে কঙ্গনাকে। এমনকি আন্দোলনরত কৃষকদের ‘জঙ্গি’ও বলেছিলেন তিনি। তারপর থেকেই তাকে ক্ষমা চাইবার দাবি জানিয়েছে কংগ্রেস। মধ্যপ্রদেশের বেতুলে ‘ধকড়’ ছবির শুটিং করছিলেন কঙ্গনা। সেই শুটিংও পণ্ড করতে চাওয়ার অভিযোগ উঠেছে কংগ্রেস কর্মীদের বিরুদ্ধে। ঘটনাস্থলে উপস্থিত পুলিশ তাদের মারধরও করে। এর প্রতিবাদে সুখদেব খোঁচা মেরে বলেন, পুলিশ এভাবে অভিনেত্রীর ‘পুতুল’ হয়ে থাকতে পারে না। কঙ্গনাকে বিজেপির মুখপাত্রও বলেন কংগ্রেস বিধায়ক। সেই সঙ্গে ‘নাচনে গানেওয়ালি’ বলেও আক্রমণ করেন তিনি। তার এহেন শব্দচয়নের সমালোচনা করেছেন অনেকেই। এবার পালটা দিলেন কঙ্গনাও। যদিও সুখদেবের এমন মন্তব্যকে সমর্থন করেছেন বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা সজ্জন সিং ভার্মা। তার মতে, সুখদেবের দাবিতে ভুল নেই। কৃষক আন্দোলন নিয়ে কোনও জ্ঞান নেই কঙ্গনার। একথা বলে কোনও ভুল তাই করেননি তিনি। কিন্তু সজ্জনের মতে, শব্দচয়নের সময় অবশ্যই আরও সতর্ক হওয়া উচিত ছিল সুখদেবের। তার কথায়, পানসের উচিত ছিল ভাল শব্দ ব্যবহার করা। যেমন উনি ভালো অভিনেত্রী ও নর্তকী।