বিরোধী দলের সঙ্গে যুদ্ধ যুদ্ধ খেলতে খেলতে তা যে কখন নিজ দলের সঙ্গেই শুরু হয়ে গেছে তার হিসেব করার সময় কি এখনো হয়নি? এটাই কি প্রকৃতির প্রতিশোধ? সাপকে বিশ্বাস করা যায়না। সাপের ছোবল থেকে অনেক সময় ওঝাও রেহাই পায়না। সাপের উৎপাদন, বংশবৃদ্ধি, লালনপালন বিপদজনক। রাজনীতির সাপখেলার অতল গহ্বরে হারিয়ে যাবে সকল সুকৃতি। জনগণের দৃষ্টি উন্নয়নের দিক থেকে মারামারি কাটাকাটি গোলাগুলি হানাহানির দিকে যারা ফিরিয়ে দিতে চায় তাদের দমন করা উচিত। এরা বিষাক্ত সাপের মতো। কথায় আছে, কাকের মাংস কাকে খায়না। কি লজ্জা! কাকের চেয়েও নিকৃষ্ট আমরা! অথচ, আমরা দাবি করি মুসলমান। ঈমানদারের পরিচয় ও গুণাবলি দলে দলে ভাইয়ে ভাইয়ে অসহিষ্ণুতা ও সংঘর্ষে লিপ্ত হওয়া নয়। রাজনীতির খেলা, নির্বাচনের খেলা। অতপর সাপের খেলা। একজন ঈমানদার মুসলমান হিসেবে এসকল ঈমান বিধ্বংসী খেলা থেকে বিরত হওয়া আবশ্যক এবং গুরুত্বপূর্ণ। মনে রাখতে হবে আজ হোক, কাল হোক আমাদের মৃত্যু হবে। আমাদের সকল কাজের হিসেবের খাতা আল্লাহর দরবারে খোলা হবে। কঠোর ভাবে জবাবদিহি করতে হবে। নেক আমলের পাল্লা ভারি হলে আল্লাহ তায়ালা ক্ষমা করবেন। মিলবে জান্নাত। আর খারাপ কাজের পাল্লা ভারি হলে আল্লাহর রোষানলে পড়তে হবে। নিক্ষিপ্ত হতে হবে জাহান্নামে। পুঙ্খানুপুঙ্খ সকল কাজের হিসেব আল্লাহ তায়ালা নিয়ে ছাড়বেন। তিনি বলেন, "সেদিন মানুষ দলে দলে ভাগ হয়ে যাবে যাতে করে তাদেরকে তাদের কর্মকাণ্ড দেখানো যায়। অতএব, যে ব্যক্তি অণু পরিমাণ ভালো কাজ করবে তাও সে দেখতে পাবে। আবার কোনো মানুষ যদি অণু পরিমাণ খারাপ কাজ করে তাও সে দেখতে পাবে।" সূরা আয যিলযালঃ৬-৮। কেয়ামতের ভয়াবহতা এবং বেহেশত ও দোজখ লাভের কারণ সম্পর্কে আল্লাহ তায়ালা বলেন, "মহা দুর্ঘটনা! কি সেই মহা দুর্ঘটনা! তুমি কি জানো সেই মহা দুর্ঘটনাটি কি? সেদিন যখন লোকেরা ছড়িয়ে থাকা পতঙ্গের মতো বিক্ষিপ্ত হয়ে পড়বে এবং পাহাড়গুলো রং বেরঙের ধূনা পশমের মতো হবে। তারপর যার পাল্লা ভারি হবে সে মনের মতো সুখী জীবন লাভ করবে। আর যার পাল্লা হালকা হবে হাবিয়া দোজখ (গভীর গর্ত) হবে তার মা। তুমি কি জানো সেটি কি? তা হচ্ছে প্রজ্জ্বলিত আগুনের একটি কুণ্ডলী।" সূরা আল ক্কারিয়াহ্ঃ১-১১। মা যেমন নিজের সন্তানকে কোলে নিয়ে নেয় এবং বুকের সঙ্গে জড়িয়ে রাখে তেমনি হাবিয়া দোজখও দুষ্কৃতকারী অপরাধীদের মায়ের মতো বুকের সাথে জড়িয়ে রাখবে। এই জাহান্নামটি একটি গভীর গর্ত। যা থেকে বের হওয়া অসম্ভব। সুতরাং ঈমানদার লোকেরা সাবধান। মৃত্যুর পরেই শুরু হয়ে যাবে জান্নাতের সুখ শান্তি অথবা জাহান্নামের আগুনে পোড়ার কঠিন আজাব। ১৪৪ ধারা এবং আইনী কর্তৃপক্ষকে আমরা কতোই না ভয় করি। তাহলে সর্বশক্তিমান আল্লাহর কঠোর শাস্তিকে ভয় করা উচিত নয় কি?
Nejam Kutubi
২২ ফেব্রুয়ারি ২০২১, সোমবার, ১১:১৫শেষ পর্যন্ত দেখা যাবে দু'গ্রুপের কর্মসুচিই বিএনপি-জামাতের দেশ বিরোধী কর্মকান্ডের বিরোদ্ধেই!!