গুণী অভিনেতা ফখরুল বাশার মাসুম। নাটকের পাশাপাশি সিনেমাতেও ব্যস্ত তিনি। কয়েকটি সিনেমাই তার হাতে রয়েছে। এখনকার কাজ কেমন চলছে? উত্তরে এই অভিনেতা বলেন, বেশ ভালো। সম্প্রতি নাট্যনির্মাতা তপু খানের প্রথম সিনেমা ‘লিডার, আমিই বাংলাদেশ’- এ চুক্তিবদ্ধ হয়েছি। আর এখন মোস্তাফিজুর রহমান মানিকের ‘যাও পাখি বলো তারে’ সিনেমার শুটিং করছি। চলতি মাসের ২৪ তারিখ সৈকত নাসির পরিচালিত ‘মাসুদ রানা’ ছবির শুটিংয়ে অংশ নেব। ১৯৭৪ সালে ঘনিষ্ট বন্ধু বরেণ্য অভিনেতা রাইসুল ইসলাম আসাদের হাত ধরে অভিনয়ের জগতে প্রবেশ করেন ফখরুল বাশার মাসুম।
ঢাকা থিয়েটারে কাজের মাধ্যমে এই মাধ্যমে যাত্রা শুরু করেন। শুরু দিকের প্রসঙ্গে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, যখন থিয়েটারে কাজ শুরু করি, প্রথমে মন বসতো না। গ্রুপ কলে এক দিন যেতাম, চার দিন যেতাম না। এমনই ছিলো অবস্থা! তখন অভিনয় বুঝতাম না। ঠিক এক বছর পর মনে হলো অভিনয়ই আমার জীবন। এটা ছাড়া আমি বাঁচবো না। এখনও সেই ভালোবাসাটা আছে। ঢাকা থিয়েটারের সাথে এখনও যুক্ত আছি। থিয়েটার আমার কাছে প্রথম প্রাধান্য। কিন্তু দুঃখজনক ব্যাপার হচ্ছে, সিডিউলের সমস্যার কারণে আমাদের নতুন যে নাটকটা মঞ্চায়ন হচ্ছে সেটাতে রিহারসেল করা সত্ত্বেও পারফরম করতে পারি নাই। এর কারণে মন খারাপ হয় না? ফখরুল বাশার মাসুম বলেন, আমার ভেতরে একটা কষ্ট আছে এ কারণে। অনেকেই অভিযোগ করেন এখনকার নাটক নায়ক-নায়িকা নির্ভর। এ ব্যাপারে কী বলবেন? ফখরুল বাশার মাসুম বলেন, এই ট্রেন্ডটা চলছে। আমি ইতিবাচকভাবেই দেখছি। গত বছর আরটিভি স্টার অ্যাওয়ার্ড পেয়েছিলেন পার্শ্বচরিত্রে অভিনয়ের জন্য। অভিনয় ক্যারিয়ারের প্রাপ্তি কতটুকু বলে মনে করেন? এ অভিনেতা বলেন, অনেক ভালোবাসা পেয়েছি অভিনয় করে। পুরস্কারের জন্য তো কাজ করি না। যদি ভালো কাজ করতে পারি তাহলে পুরস্কৃত হবো। তবে এর চেয়ে বড় পুরস্কার ইতোমধ্যে পেয়েছি। সেটা হলো দর্শকদের ভালোবাসা। বাংলাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে শুরু করে যেখানেই যাই না কোনো সাধারণ মানুষ আমার সাথে কথা বলতে চায়, সেলফি তুলতে চায়। আমাকে পছন্দ করে, এটাই বড় প্রাপ্তি। খুব ভালো লাগে। এই ভালোবাসাটা নিয়েই থাকতে চাই, মরতে চাই। সবশেষ দর্শকদের উদ্দেশে দেশের নাটক-সিনেমা দেখার আহ্বান জনান এই অভিনেতা।