× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার , ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৬ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে ইব্রাহিম খালেদ

শেষের পাতা

অর্থনৈতিক রিপোর্টার
২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২১, মঙ্গলবার

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদের শারীরিক অবস্থা সংকটাপন্ন। বিএসএমএমইউ সূত্র জানায়, খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদের কিডনি সঠিকভাবে কাজ করছে না। তার রক্তের প্লাটিলেট কাউন্ট কমে যাচ্ছে। তিনি সম্ভবত ব্রেন স্ট্রোক করেছেন। পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার জন্য আইসিইউর যন্ত্রপাতি খুলে এক মুহূর্তের জন্যও তাকে বাইরে নেয়া যাচ্ছে না। তাই পরীক্ষা করে নিশ্চিত হওয়া যাচ্ছে না।

বিএসএমএমইউ উপাচার্য ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া বলেন, গত ১৯শে ফেব্রুয়ারি থেকে খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদের শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে শুরু করে। তাকে লাইফ সাপোর্ট দেয়া হচ্ছে। বিএসএমএমইউর বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা তাকে সুস্থ করতে সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।
জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে রয়েছেন তিনি।

পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়, এর আগে করোনায় আক্রান্ত হয়ে শ্যামলীর বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতালে ভর্তি হন ইব্রাহিম খালেদ। তার ফুসফুস ৮০ শতাংশ ড্যামেজ ছিল। করোনার চিকিৎসাকালে গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল ইনফেকশনে আক্রান্ত হওয়ায় শরীরে ১৭ ব্যাগ রক্ত দিতে হয়। সেখানে তিনি আইসিইউতে ছিলেন। তবে চিকিৎসায় করোনা নেগেটিভ হলেও বার্ধক্যজনিত নানা সমস্যার কারণে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটে। রোববার তাকে বিএসএমএমইউ হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি করা হয়।

চিকিৎসকদের বরাত দিয়ে ইব্রাহিম খালেদের ভাই মোহাম্মদ খালেদ জানিয়েছেন, মঙ্গলবার সকাল থেকেই তার অবস্থা খুবই জটিল। যেকোনো মুহূর্তে যেকোনো কিছু ঘটতে পারে। এমন আশঙ্কার মধ্যেই তার পরিবারের কাছ থেকে বন্ডে সই নেয়া হয়েছে।

মোহাম্মদ খালেদ বলেন, উনি আসলে করোনা আক্রান্ত হয়ে এবং নিউমোনিয়া হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন। তার ফুসফুসে ৫০ শতাংশ সংক্রমণ হওয়ায় তাকে আইসিইউতে নিয়ে যাওয়া হয়। তারপর তিনি একটু সুস্থবোধ করছিলেন। এরপর তিনি ১৫ লিটার অক্সিজেন নিচ্ছিলেন। তারপর তাকে কেবিনে নেয়া হয়। কিন্তু হঠাৎ করে মঙ্গলবার সকালে ৪ লিটার অক্সিজেন নিচ্ছিলেন। এরপর তার প্রেসার নেমে যাওয়ায় আইসিইউতে আবার নিয়ে যাওয়া হয়।

তিনি আরো বলেন, তার অবস্থা একটু জটিল। এবং তার বয়স ৮০ বছর হয়ে গেছে। এই বয়সে ডাক্তার তার নরমাল প্রেসার নিয়ে আসতে পারছেন না। সে কারণে অন্যভাবে চেষ্টা করার জন্য তাকে আইসিইউতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তাকে আইসিইউতে নিয়ে যাওয়ার আগে বন্ড সই নিয়েছেন ডাক্তাররা। তাই বলা যাচ্ছে তার অবস্থা অনেকটা জটিল।

খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদের জন্ম ১৯৪১ সালের ৪ঠা জুলাই, গোপালগঞ্জে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়  থেকে ভূগোল ও ব্যবসায় প্রশাসনে স্নাতকোত্তর ও আইবিএ থেকে এমবিএ ডিগ্রি নেয়ার পর তিনি ব্যাংকিং পেশায় যোগ দেন। সোনালী ব্যাংক, অগ্রণী ব্যাংক ও বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক পদে অধিষ্ঠিত থাকার পর তিনি বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর হন। সরকারি চাকরি থেকে অবসর নেয়ার পর তিনি বেসরকারি পূবালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের দায়িত্ব পালন করেন। বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যানও ছিলেন। ২০১০ সালে শেয়ারবাজারের পতনের কারণ অনুসন্ধানে তার নেতৃত্বে গঠিত কমিটির রিপোর্ট ব্যাপক আলোচিত হয়। ২০১১ সালে বাংলা একাডেমি তাকে সম্মানসূচক ফেলোশিপ প্রদান করে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর