শিক্ষার্থীদের স্বার্থ সমুন্নত রেখে ২০২০-২০২১ শিক্ষাবর্ষে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক ১ম বর্ষে গুচ্ছপদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা আয়োজনের আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. কাজী শহীদুল্লাহ।
আজ সংশ্লিষ্ট গুচ্ছের ২৯ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যগণের সঙ্গে ভার্চ্যুয়াল মতবিনিময় সভায় ইউজিসি চেয়ারম্যান এ আহ্বান জানান ।
সভায় ইউজিসি সদস্য প্রফেসর ড. দিল আফরোজা বেগম, প্রফেসর ড. মো. সাজ্জাদ হোসেন, প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আলমগীর, প্রফেসর ড. বিশ্বজিৎ চন্দ, প্রফেসর ড. মো. আবু তাহের এবং সচিব (অতিরিক্ত দায়িত্ব) ড. ফেরদৌস জামান যুক্ত ছিলেন। সভায় সাধারণ এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় গুচ্ছের যুগ্ম আহ্বায়ক ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মীজানুর রহমান, প্রকৌশল গুচ্ছের আহ্বায়ক এবং চট্টগ্রাম প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম, কৃষি গুচ্ছের আহ্বায়কও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. গিয়াসউদ্দীন মিয়া বক্তব্য রাখেন।
সভাপতির বক্তব্যে ইউজিসি চেয়ারম্যান বলেন, গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষায় নানাবিধ চ্যালেঞ্জ রয়েছে। এসব চ্যালেঞ্জ থেকে উত্তরণ ঘটাতে পারলে গুচ্ছ ভর্তিতে বিরাট সফলতা আসবে। তিনি বলেন, দেশের বিশাল সংখ্যক মানুষ গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার দিকে তাকিয়ে আছে। ইউজিসি দেশবাসীকে সুন্দর একটি পরীক্ষা উপহার দিতে বদ্ধপরিকর।
ইউজিসি সদস্য দিল আফরোজা বলেন, গুচ্ছপদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষার মূল চ্যালেঞ্জ হচ্ছে সুষ্ঠু ও প্রশ্নাতীতভাবে স্বচ্ছভাবে ভর্তি পরীক্ষা নেয়া। এজন্য প্রয়োজনীয় সকল ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য গুচ্ছের মূল দায়িত্বে থাকা উপাচার্যবৃন্দকে তিনি আহ্বান জানান। সুষ্ঠুভাবে ভর্তি পরীক্ষা গ্রহণে গুচ্ছের বিশ্ববিদ্যালয়সমূহকে ইউজিসি সহযোগিতা প্রদান করবে বলে তিনি জানান।
বিশ্বিবিদ্যালয় কেন্দ্রের বাইরে ভর্তি পরীক্ষা আয়োজন এবং সর্বোচ্চ সংখ্যক শিক্ষার্থীকে ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ দেয়ার আহ্বান জানান ইউজিসি সদস্য প্রফেসর মুহাম্মদ আলমগীর। তিনি বলেন, এটি করা না গেলে জিপিএ ৫ অর্জনকারী শিক্ষার্থী ছাড়া কেউ ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবে না।
সাধারণ এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় গুচ্ছের যুগ্ম আহ্বায়ক ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মীজানুর রহমান বলেন, গুচ্ছের ভর্তি পরীক্ষার প্রস্তুতি ভালোভাবেই চলছে। ইতোমধ্যে ৯ টি কমিটিও গঠন করা হয়েছে। ভর্তি পরীক্ষা সুষ্ঠু করা এবং সবোর্চ্চ সংখ্যক শিক্ষার্থীকে ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ দেওয়ার জন্য তাঁরা আন্তরিক।
আবুল কাসেম
২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২১, মঙ্গলবার, ৬:১১সর্বোচ্চ সংখ্যক শিক্ষার্থীকে ভর্তি পরীক্ষায় অংশ গ্রহণের সুযোগ করে দিতে হবে এটা যেমন সমর্থনযোগ্য তেমনিভাবে খেয়াল রাখতে হবে তা যেনো বানিজ্যিক উদ্দেশ্যে না হয়। সুতরাং করোনার যুগে আয় রোজগার হীন অভিভাবকদের কথা চিন্তা করে সর্বনিম্ন হারে আবেদন ফি নির্ধারণ করতে হবে। যেটা অবশ্যই পাঁচশো টাকার নিচে হতে হবে। মেডিকেলের আবেদন ফি অন্যান্য বছর এক হাজার টাকা নেয়া হতো। এবার তা পাঁচশত টাকার বেশি হওয়া উচিত নয়। অনুরূপভাবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, বুয়েট ও গুচ্ছের রুয়েট+কুয়েট+চুয়েট এবং অন্যসব বিজ্ঞানপ্রযুক্তি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি আবেদন ফি আগের চেয়ে অর্ধেক করা উচিত হবে। কেউ কেউ অভিযোগ করেন ভর্তি পরীক্ষার আবেদন ফি একটি বিরাট বানিজ্য। এবার করোনায় বিপর্যস্ত শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের আবেদন ফি যেনো মরার উপর খাড়ারঘা না হয় সেই বিষয়ে সজাগ দৃষ্টি রাখা বাঞ্ছনীয়। আবার এমনও যেনো না হয়, অধিক আবেদন ফি'র কারণ, মানে আবেদন ফি সামর্থ্যের বাইরে হওয়াতে অনেকে আবেদন করার সুযোগ হারায়। তাই আবেদন ফি অন্যান্য বছরের চেয়ে অর্ধেক করার কথা বিবেচনায় নেয়া উচিত।