সামাজিক যোগাযোম মাধ্যমে গতকাল একটি পোস্ট ভাইরাল হয়, যেখানে তামিমা তাম্মির ভাষ্য দিয়ে লেখা হয় নাসির তাকে একটি গোলাপ দিয়েছিলেন। পোস্টটির সত্যতা যাচাই করা না গেলেও এটা নিয়ে প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছেন নাসিরের সাবেক প্রেমিকা শাহ হুমায়রা সুবাহ। তিনি এক পোস্টটি শেয়ার দিয়ে ফেসবুকে লেখেন, 'নাসির প্রথম দিন আমাকে ১০০ টি গোলাপ দিয়েছিল।'

সুবাহ নাসিরের এই নতুন জীবনে পদার্পনে শুভ কামনাও জানিয়েছেন। তবে বিভিন্ন সময় এও বলেন নাসির বিষয় নিয়ে তিনি মাথা ঘামান না। নাসিরের বিয়ের পরের প্রচুর মানুষ সুবাহকে বিরক্ত করছিলেন বলে তিনি জানান। বিরক্ত না করার অনুরোধ জানিয়ে ফেসবুক লাইভে এসে সুবাহ বলেন, আমি লাইভে আসতে বাধ্য হয়েছি। আমি আর সহ্য করতে পারছিনা। কারন হচ্ছে আমি অতিষ্ঠ হয়ে গেছি। আমি লাইভে আসতাম না। নোংরা একটা বিষয়ে নিয়ে কথাও বলতাম না। নাসির ও নাসিরের ফালতু বউ তাম্মিকে নিয়ে আমি কিছুই বলতাম না। কিন্তু কোথাও গিয়ে শান্তি পাচ্ছি না। শুটিংয়ে গিয়েও আমাকে এ বিষয়ে কথা শুনতে হচ্ছে। মার্টেকে গেলেও নিস্তার নেই। বিভিন্ন মানুষ বলছে আপু নাসির ভাই ফালতু একটা মেয়েকে বিয়ে করছে। এ বিষয়ে আপনি কিছু বলেন। আমি কি বলবো। আমি আগেও বলেছি নাসিরের সঙ্গে তিন বছর আগে আমার সবকিছু শেষ হয়েছে। এখন পেপার পত্রিকায় টিভিতে আমাকে জড়ানো হচ্ছে। কেনরে ভাই? আমি সাংবাদিক ভাইদের বলছি ফালতু একটা বিষয়ে আমাকে কেন জড়াচ্ছেন। নাসিরের সঙ্গে এই মেয়ের সর্ম্পক বহু আগের। আমার সঙ্গে সর্ম্পক থাকার সময়েও নাসির এই মেয়ের সঙ্গে প্রেম করেছে। আমি ওর বিষয়ে জানতে চাইলে বলেছিলো জাস্ট ফ্রেন্ড। শুধু এই মেয়ে নয়। নাসিরের অনেক মেয়ের সঙ্গে অবৈধ সর্ম্পক আছে। ও যেমন তেমন বউ পেয়েছে। আমি নাসিরকে ছেড়ে এসেছি তিন বছর আগে। গত দুই বছর আমি খুব ভালো ছিলাম। আমার একটা জীবন আছে। আমি মডেলিং করছি, ছবি করছি। এসব নোংরা বিষয়ের কারনে আমি সামাজিক ভাবে ছোট হয়ে যাচ্ছি।

এসময় তিনি আরো বলেন, নাসির যেমন চরিত্রে নাসিরের বউও তেমনই। নইলে ১১ বছরের সংসার ফেলে আট ব্ছরের মেয়ে ফেলে কেউ বিয়ের পিড়িতে বসার আগে এমন নাচোন কোদন দিতে পারে?
গত শনিবার ক্রিকেটার নাসির ও সাব্বির নামের এক যুবকের কথোপকথনের অডিও ক্লিপস, ভিডিও আকারে ভাইরাল হয়। সেখানে সাব্বির নামের ওই যুবক দাবি করেন তার স্ত্রী তামিমা, যার সঙ্গে ইতোমধ্যে নাসির পরিণয় সূত্রে আবদ্ধ হয়েছেন। নাসিরের স্ত্রীর নাম তামিমা তাম্মি। এই তাম্মি নাকি সাব্বিরের স্ত্রী যাদের মধ্যে এখনো বিচ্ছেদ ঘটেনি। এমনকী ৮ বছরের একটি বাচ্চাও রয়েছে তাদের। বিচ্ছেদ না দিয়েও অন্যকে বিয়ে করায় সাব্বির থানায় সাধারণ ডায়েরিও করেছেন।