সিলেটে প্রেমের ফাঁদে ফেলে তরুণীকে হোটেলে নিয়ে ধর্ষণ, ভিডিও ধারণ ও ব্ল্যাকমেইলের ঘটনায় এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তার হওয়া ওই যুবকের মোবাইল ফোনে মিলেছে ধর্ষণের সময়ের ভিডিও। পুলিশ জানিয়েছে, তরুণীর মামলার প্রেক্ষিতে গ্রেপ্তার হওয়া যুবককে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। বর্তমানে সিলেট নগরীর মীরবক্সটুলা এলাকার বাসিন্দা আদিল হোসেন সুমন। তার মূল বাড়ি সুনামগঞ্জে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের সূত্র ধরে সিলেটের এক তরুণীর সঙ্গে তার পরিচয় হয়। আর পরিচয় থেকে দু’জনই প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। মামলার এজাহারে ওই তরুণী উল্লেখ করেছেন- গত ১২ই ফেব্রুয়ারি সিলেটের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকা পিতাকে দেখতে যান ওই তরুণী।
এ সময় হাসপাতাল এলাকায় প্রেমিকের সঙ্গে দেখা হয় তার। এক পর্যায়ে লিমন তরুণীকে নিয়ে চলে যায় নগরীর তালতলাস্থ বিলাস হোটেলে। সেখানে একটি কক্ষ ভাড়া করে সে তরুণীর সঙ্গে দৈহিক ভাবে মিলিত হয়। কিন্তু তরুণীর অজান্তে হোটেল কক্ষে ধর্ষণের দৃশ্য নিজের মোবাইল ফোনে ভিডিও ধারণ করে রাখে লিমন। এদিকে- ধর্ষণের পরদিন থেকেই ওই তরুণীর সঙ্গে ব্ল্যাকমেইল শুরু করে লিমন। ধর্ষণকালীন সময়ে ধারণ করা ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়ার হুমকি দিয়ে তরুণীর কাছে টাকাও দাবি করে। এতে বিচলিত হয়ে পড়েন ওই তরুণী। মানসম্মান বাঁচাতে লিমনের দাবিমতো তিনি ১৪ই ফেব্রুয়ারি ৫ হাজার টাকাও পাঠান। এদিকে টাকা নিয়েও দমে থাকেনি লিমন। সে ওই তরুণীর সঙ্গে পুনরায় দৈনিক মিলনের আবদার জানায়। নতুবা সে ভিডিও ছড়িয়ে দেয়ার হুমকিও দেয়। এমনকি তরুণীর মোবাইল ফোনে ভিডিওটি পাঠায়। এদিকে- লিমনের প্রতারণা ও মনোভাব বুঝতে পেরে ওই তরুণী সিলেটের পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছেন। গত ১৮ই ফেব্রুয়ারি লিমনকে আসামি করে নারী ও শিশু নির্যাতনসহ পর্নোগ্রাফি আইনে মামলা দায়ের করেন ওই তরুণী। মামলার প্রেক্ষিতে ওইদিন রাতেই মীরবক্সটুলা এলাকা থেকে অভিযুক্ত লিমকে গ্রেপ্তার করে কোতোয়ালি থানা পুলিশ। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কোতোয়ালি থানার এসআই দেলোয়ার হোসেন জানিয়েছেন- লিমনকে আটক করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। অভিযোগের তদন্ত চলছে বলে জানান তিনি।