পূবালী ব্যাংক লিমিটেডের কুমিল্লা সদর দক্ষিণস্থ পদুয়ার বাজার বিশ্বরোড শাখার একজন গ্রাহকের একাউন্ট থেকে চেক জালিয়াতির মাধ্যমে ৬ লাখ টাকা উত্তোলন করে আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। ভুক্তভোগী গ্রাহক নজরুল ইসলাম জানান, গত বৃহস্পতিবার বিকাল ৪টায় পূবালী ব্যাংক থেকে আমার ব্যবহৃত মোবাইলে একটি এসএমএস আসে। এতে উল্লেখ ছিল, আমার একাউন্ট (নং ৩৩৫৬১০১১০৮৩৮০) থেকে ৬ লাখ টাকা উত্তোলন করা হয়েছে। উত্তোলনের পর ব্যালেন্স রয়েছে ৪৪ হাজার ৩শ’ ৬৭ টাকা। আমি প্রথমে ভেবেছি এসএমএসটি হয়তো ভুলে এসেছে। তাছাড়া আমি একজন অশিক্ষিত মানুষ। সেজন্য ব্যাংকের সিনিয়র কারও মোবাইল নম্বরও আগে থেকে সংরক্ষণ করিনি। পরবর্তী তিনদিন ব্যাংক বন্ধ ছিল।
সোমবার আমি ব্যাংকে গিয়ে ঘটনার সত্যতা জানতে পারি। মঙ্গলবার সকালে আমি টাকা আত্মসাতের ঘটনায় কুমিল্লা সদর দক্ষিণ মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করেছি। পুলিশের পরামর্শে দুদকে মামলা করার প্রস্তুতি নিচ্ছি।
ব্যাকে কর্মরত অফিস সহায়ক তাপস কুমার দাস বলেন, বৃহস্পতিবার বিকাল ৪টার কিছুক্ষণ আগে মাথা, হাত ও পায়ে ব্যান্ডেজ করা একজন গ্রাহক টাকা উত্তোলন করতে আসে। অসুস্থ মনে করে আমি তাকে হেল্প করি। তার চেক ক্যাশিয়ার বিশ্বজিৎ স্যারের কাছে পৌঁছে দিই। তিনি স্বাক্ষরে গড়মিল আছে বলে চেকে গ্রাহকের আরেকটি স্বাক্ষর নেন। এরপর সেকেন্ড অফিসার জাহিদ স্যার চেকটি অনুমোদন করে দেন। নাইটগার্ড এরশাদ বিশ্বজিৎ স্যারের কাছ থেকে টাকাগুলো (৫শ’ টাকার ১০টি বান্ডেল ও ১শ’ টাকার ১০টি বান্ডেল) নিয়ে ব্যাগে করে গ্রাহককে বুঝিয়ে দেয়। ঘটনার দিন ম্যানেজারের দায়িত্বে থাকা সেকেন্ড অফিসার জাহিদুল ইসলাম বলেন, ব্যাংকের পিছনের একটি ভেন্টিলেটর ভেঙে সিসিটিভি’র হার্ডডিস্ক পুড়িয়ে ফেলার ঘটনায় ২২শে ফেব্রুয়ারি কুমিল্লা সদর দক্ষিণ মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছি।
কুমিল্লা সদর দক্ষিণ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ দেবাশীষ চৌধুরী বলেন, গ্রাহক ও ব্যাংক ২টি জিডি করেছে। টাকা আত্মসাতের বিষয়ে ভুক্তভোগীকে দুদকে মামলা করার পরামর্শ দিয়েছি।