করোনা মহামারীর সময়ে বাংলাদেশের মানুষের প্রতি প্রদর্শিত দৃঢ় অঙ্গীকারের স্বীকৃতিস্বরূপ দেশী-বিদেশী ৬টি এয়ারলাইন্স বিশেষ সম্মাননা পেয়েছে। শীর্ষস্থানীয় এভিয়েশন ও ভ্রমণ বিষয়ক প্রকাশনা বাংলাদেশ মনিটরের উদ্যোগে ফ্রেন্ড ইন নীড বা দুঃসময়ের বন্ধু শীর্ষক এই বিশেষ সম্মাননা প্রদান করে। আজ রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁ হোটেলে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এ সম্মাননা দেয়া হয়।
সম্মাননা পাওয়া এয়ারলাইন্সগুলো হলো- বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স, ইউ-এস বাংলা এয়ারলাইন্স, নভোএয়ার, কাতার এয়ারওয়েজ, এমিরেটস এয়ারলাইন এবং এয়ার এরাবিয়া। এ ছাড়াও মহামারীর প্রাথমিক পর্যায়ে দেশের বেসামরিক বিমান চলাচল খাতকে দ্রুততার সঙ্গে নিউ-নরমাল অবস্থায় নিয়ে আসার লক্ষ্যে গৃহীত সুচিন্তিত, পরিনামদর্শী ও তড়িৎ পদক্ষেপের জন্য বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটন বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী এবং বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষকে (ক্যাব) বিশেষ ধন্যবাদ স্মারক প্রদান করা হয়।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিমান চলাচল ও পর্যটন বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী এমপি, বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল এম. মফিদুর রহমান, বাংলাদেশ মনিটর সম্পাদক কাজী ওয়াহিদুল আলমসহ সম্মাননাপ্রাপ্ত এয়ারলাইন্সগুলোর প্রতিনিধিবৃন্দ ও শিল্প সংশ্লিষ্ট নেতৃস্থানীয় বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ।
কাজী ওয়াহিদুল আলম তার বক্তব্যে বলেন, করোনার বৈশ্বিক মহামারী শুরুর পর আকাশ পথে যাত্রী পরিবহণ প্রায় স্থবির হয়ে পড়ে, যার ফলে দেশে ও বিদেশে আটকে পড়া বাংলাদেশীরা অবর্ণনীয় ভোগান্তির শিকার হন। বাংলাদেশের আকাশ উন্মুক্ত করে দেবার সরকারী সিদ্ধান্তের পর কিছু সংখ্যক এয়ারলাইন্স দেশ ও দেশের মানুষের প্রতি তাদের দৃঢ় অঙ্গীকার ব্যক্ত করে যথাসম্ভব স্বল্পতম সময়ের মধ্যেই বাংলাদেশে নিয়মিত যাত্রীবাহী ফ্লাইট পরিচালনা শুরু করে। এখন আমাদের পালা এই এয়ারলাইন্সগুলোর প্রতি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করা।
বৈশ্বিক মহামারী করোনার প্রাদুর্ভাব শুরুর পর বাংলাদেশ সরকার গত বছরের ২২শে মার্চ নিয়মিত অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক ফ্লাইট চলাচলের ওপর সাময়িক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। তবে সামগ্রিক অবস্থা পর্যালোচোনা ও বিশ্লেষণ করার পর অল্প কিছুদিনের মধ্যেই সরকার বাংলাদেশের আকাশ উম্মুক্ত করার ঘাষোণা প্রদান করার মাধ্যমে নিয়মিত ফ্লাইট পরিচালনার পথকে সুগম করে দেয়। বর্তমানে দেশী-বিদেশী ২৫টির বেশী এয়ারলাইন্স বাংলাদেশে নিয়মিত ফ্লাইট পরিচালনা করছে।
এছাড়া আরো কিছু সংখ্যক এয়ারলাইন্স সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমতির অপেক্ষায় রয়েছে।