× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, মঙ্গলবার , ১০ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৪ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

বন্ধ হচ্ছে করপোরেশনের অনুমোদনবিহীন ‘গৃহায়ন প্রকল্প’

অনলাইন

স্টাফ রিপোর্টার
(৩ বছর আগে) ফেব্রুয়ারি ২৪, ২০২১, বুধবার, ৫:৩০ অপরাহ্ন

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকায় করপোরেশনের অনুমোদন ছাড়া গড়ে ওঠা সব ‘গৃহায়ণ প্রকল্প-হাউজিং প্রজেক্ট’ বন্ধের নির্দেশ দিয়েছেন মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস। তিনি বলেন, অনুমতি ছাড়া গড়ে ওঠা সব গৃহায়ণ প্রকল্প বন্ধ করে দিতে হবে। ভূমিদস্যুদের দ্বারা আমাদের শহর আগ্রাসনের শিকার। বিভিন্ন হাউজিং কোম্পানি দ্বারা অবৈধভাবে বিল্ডিং করেছে। যেখানে মানুষ ভুক্তভোগী হচ্ছে। এই এলাকার জনগণ প্রতিবাদ জানিয়েও কূলকিনারা পাচ্ছে না। ফল পাচ্ছে না।
বুধবার ৭৫ নম্বর ওয়ার্ডের ফকিরখালী এলাকায় পরিদর্শনে গিয়ে করপোরেশনের সম্পত্তি বিভাগ ও দক্ষিণ সিটির ৬ নম্বর অঞ্চলের আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তাকে গৃহায়ণ প্রকল্প-হাউজিং প্রজেক্টের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন।
মেয়র বলেন, আমাদেও সম্পত্তি বিভাগকে নির্দেশনা দিয়েছি। আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তাসহ সকলকে নির্দেশ দিয়েছি যে, এখানে ড্রেজিং বন্ধ করতে হবে।
এখানে যত্রতত্র বিনা অনুমতিতে হাউজিং করা যাবে না। প্রয়োজন হলে আমরা ওই প্রতিষ্ঠানের যান, যন্ত্রপাতি, সরঞ্জামাদি আমরা বাজেয়াপ্ত করব।
এর আগে সাদেক হোসেন খোকা কমিউনিটি সেন্টার সংলগ্ন মাঠ পরিদর্শন শেষে মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস বলেন, মশা নিধনে কীটনাশকের মান বারবার পরিক্ষা করা হচ্ছে। আমাগী দুই সপ্তাহ পর থেকে নতুন করে কীটনাশক প্রয়োগ করা হবে। এতে মশা নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হবে।
তিনি বলেন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকায় অন্য যেকোনো সময়ের চেয়ে মশা নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। পানির প্রবাহ কমে যাওয়ায় কিউলেক্স মশা কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে। পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম, বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। নতুন কীটনাশক প্রয়োগ শুরু হলে মশা আরো বেশি নিয়ন্ত্রণে আসবে।
তাপস বলেন, রামপুরা খাল ও বালু নদী ভরাট করায় এখানে পানির প্রবাহ নেই। আগামী এপ্রিল পর্যন্ত খাল পরিষ্কার কার্যক্রম পরিচালনা করতে যাচ্ছি। পাম্প স্টেশনগুলো চালু করার পরিকল্পনা করেছি। একটি ইতিমধ্যে চালু  হয়েছে। কয়েক দিনের মধ্যে বাকি পাম্পগুলো চালু করতে পারবো। আগামী বর্ষা মৌসুমের মধ্যে খাল কালভার্টের সংযোগগুলোতে যেন পানি প্রবাহ একটা অবস্থায় আনতে পারি, সে লক্ষ্যে কাজ চলছে।
তিনি বলেন, যেসব স্থান আমরা দখলমুক্ত করছি কাউকে দিবো না। প্রতিটি ওয়ার্ডে অন্তত একটি করে খেলার মাঠ কিংবা উন্মুক্ত স্থান থাকুক। ৪২ নম্বর ওয়ার্ডে একটি জায়গা আমরা দখলমুক্ত করেছি। সেখানে উন্মুক্ত মাঠ হিসেবে গড়ে তুলতে কাজ চলছে। আগামী মাস থেকে সেখানে আমাদের সন্তানরা খেলতে পারবে।
এসময় দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এ বি এম আমিন উল্লাহ নুরী, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা এয়ার কমডোর মো. বদরুল আমিন, প্রধান প্রকৌশলী রেজাউর রহমান, সচিব মো. আকরামুজ্জামান, প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা রাসেল সাবরিন, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা আরিফুল হক, অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মো. জাফর আহমেদ, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী কাজী মো. বোরহান উদ্দিন, মো. খায়রুল বাকের, প্রধান নগর পরিকল্পনাবিদ মো. সিরাজুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর