মধ্যরাতে আবাসিক মেসে ঢুকে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ওপর হামলায় জড়িত ও চিহ্নিত সহ সকল দুর্বৃত্তদের গ্রেপ্তারের আশ্বাস এবং পরবর্তীতে এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি হবে না এমন নিশ্চয়তায় নবম দিনের মাথায় আন্দোলনের ইতি টানলেন শিক্ষার্থীরা। বুধবার বেলা ২ টায় দীর্ঘ আলোচনা শেষে এসব কথা জানান আন্দোলনকারীরা।
বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে আহত শিক্ষার্থীদের পক্ষে ফজলুল হক রাজীব লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন। তিনি জানান, গত ১৭ই ফেব্রুয়ারি গভীর রাতে আমাদের ওপর হামলার ঘটনায় কয়েকজনকে চিহ্নিত করা হয়েছে। তাদেরকে সহ ওই ঘটনায় জড়িত সকলকে গ্রেপ্তার করা হবে বলে নিশ্চয়তা দিয়েছে স্থানীয় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। ওইদিনের ঘটনায় নিন্দা প্রকাশ করে ভবিষ্যতে এমন সংঘাত আর সংঘটিত হবে না বলে নিশ্চয়তা দিয়েছে বাস মালিক সমিতি, পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়ন ও স্থানীয় বাড়ির মালিকদের প্রতিনিধিরা। এমন অবস্থায় আমরা সড়ক অবরোধ সহ জনগণের দুর্ভোগ বাড়ায় এমন জোরদার আন্দোলন থেকে সড়ে আসার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
এ ব্যাপারে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি ড.মোঃ ছাদেকুল আরেফিন বলেন, বিভিন্ন পক্ষের সঙ্গে বৈঠকে বসার ব্যাপারে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকেই দাবি আসে। সেই দাবি অনুযায়ী আমরা আজ বৈঠকে বসি। সেখানে শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন দাবির ব্যাপারে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে।
যার প্রেক্ষিতে শিক্ষার্থীরা চলমান আন্দোলন প্রত্যাহার করেছে বলে জানিয়েছেন।
বাস মালিক সমিতির সভাপতি মমিনউদ্দিন কালু জানান, শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনা দুঃখজনক। কিন্তু এই হামলার সঙ্গে জড়িত দুর্বৃত্তরা পরিবহন মালিক বা শ্রমিকদের কেউ না। আমরা শিক্ষার্থীদের নিশ্চয়তা দিয়েছি যে ভবিষ্যতে এ ধরণের কোন ঘটনার পুনরাবৃত্তি হবে না।
পুলিশ কমিশনার মোকতার হোসেন বলেন, আমরা ইতোমধ্যে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলাকারী দুজনকে গ্রেপ্তার করেছি। বাকিদেরও তদন্ত সাপেক্ষে আইনের আওতায় আনার প্রক্রিয়া চলমান। এছাড়া রূপাতলী এলাকায় পুলিশ টহল টিম ও নিরাপত্তা বৃদ্ধি করা হয়েছে।