সিটিজেন চার্টারে ৪৫ কার্যদিবসের মধ্যে জায়গার নাম খারিজের আবেদনের নিষ্পত্তি করার কথা। কিন্তু সরাইলে বছর ঘুরেও সমাধান পাচ্ছেন না অনেকে। ফলে সহকারী কমিশনারের (ভূমি) কার্যালয়ে আবেদনের স্তূপ জমে আছে। এমন দীর্ঘসূত্রতায় সীমাহীন সমস্যায় ভুগছেন জায়গা-জমির মালিকরা। এরই প্রতিবাদে গতকাল সকালে সরাইল উপজেলা চত্বরে ভূমি অফিস সংলগ্ন স্থানে মানববন্ধন করেছেন ভুক্তভোগীরা। পরে ঘটনাস্থলে গিয়ে সমঝোতার প্রস্তাব দিয়েছেন ইএনও। আশ্বাস দিয়েছেন দ্রুত সমস্যা সমাধানের। মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারী ভুক্তভোগীরা জানায়, গত দেড় বছর ধরে নাম খারিজের আবেদন নিষ্পত্তিতে দীর্ঘসূত্রতা সরাইলের অতীতের সকল রেকর্ডকে পেছনে ফেলেছে।
মাঝখানে ২ মাস একেবারে বন্ধ ছিল। ফলে আটকে গেছে জায়গা-জমি ক্রয়-বিক্রয়। ঋণ পরিশোধ, জরুরি চিকিৎসা, বিদেশ যাওয়া, বিয়ে-শাদী, ছেলেমেয়ের স্কুলের বেতন প্রদান ও ব্যবসা-বাণিজ্য আটকে যাচ্ছে। টাকার অভাবে অনেক কৃষককে মহাজনি সুদে ইরি-বোরো ধান চাষ করতে হচ্ছে। এদিকে, ইউএনও মো. আরিফুল হক মৃদুল মানববন্ধন না করতে সমঝোতার প্রস্তাব দেন। পরে সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের অফিস কক্ষে করেন। সভায় উপস্থিত ছিলেন- ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল জব্বার, থানার দ্বিতীয় কর্মকর্তা এস আই মো. জাকির হোসেন খন্দকার, যুবলীগের সাবেক আহ্বায়ক মো. মাহফুজ আলী, স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সভাপতি মো. ইকবাল হোসেন, উপজেলা কমিউনিস্ট পার্টির সভাপতি ও সাবেক ব্যাংক কর্মকর্তা দেবদাস সিংহ রায় ও হৃদয়ে সরাইল সংগঠনের সভাপতি ফয়সাল আহমেদ মৃধা দুলাল। ভুক্তভোগীরা তাদের অভিযোগগুলো তুলে ধরেন। নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আরিফুল হক মৃদুল খারিজের আবেদনের বিভিন্ন ত্রুটি তুলে ধরেন। সেইসঙ্গে সঠিকভাবে আবেদন করার পদ্ধতি ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দেয়ার পরামর্শ দেন।
quamrul
২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২১, বৃহস্পতিবার, ৫:৫২But sub-registrars oppose the move and use deed writers to bring about procession and street agitation.