× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার , ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৬ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

ব্যবহৃত লেড এসিড ব্যাটারির (ইউল্যাব) এর পরিবেশভিত্তিক সঠিক ব্যবস্থাপনা /  সারা দেশে ৬ হাজারেরও বেশি অনানুষ্ঠানিক ও অবৈধ ইউল্যাব পুনর্ব্যবহার কার্যক্রম

অনলাইন

স্টাফ রিপোর্টার
(৩ বছর আগে) ফেব্রুয়ারি ২৪, ২০২১, বুধবার, ৯:১৭ অপরাহ্ন

স্বাস্থ্যগত ঝুঁকি ও পরিবেশ দূষণরোধে সরকারের উচিত ব্যবহৃত লেড এসিড ব্যাটারির পরিবেশভিত্তিক সঠিক ব্যবস্থাপনা করা। এর অননুমোদিত পুনর্ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ করা।
আজ বুধবার এনভায়রনমেন্ট এন্ড সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন (এসডো), ইউএন এনভায়রনমেন্ট প্রোগ্রাম এবং ইন্টারন্যাশনাল লেড এসোসিয়েশন-আইএলএ’র যৌথ আয়োজনে অনুষ্ঠিত একটি ক্যাপাসিটি বিল্ডিং কর্মশালায় বিশেষজ্ঞরা এই মন্তব্য করেন ।
পিওর আর্থ এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতত্ত্ব বিভাগের তথ্য আনুসারে দেশে এখন পর্যন্ত ২৭০ টি এলাকায় ইউল্যাব রিসাইক্লিং করা হয়। যার ফলে ওই এলাকার বাসিন্দারা সীসা দ্বারা সৃষ্ট স্বাস্থ্য ঝুঁকির মধ্যে রয়েছেন। সীসা এক্সপোজার থেকে অর্থনৈতিক প্রভাবগুলির একটি গবেষণা অনুমান করে যে প্রতিবছর বাংলাদেশ জিডিপিতে ১৫ দশমিক ৯বিলিয়ন মার্কিন ডলার হ্রাস পায়, যা জনগণের আজীবন আয়ের সম্ভাবনা কমিয়ে দেয়।
বাংলাদেশে ব্যবহৃত লেড এসিড ব্যাটারির অব্যবস্থাপনা বন্ধ করতে এবং এর সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করতে কর্মশালায় একটি দশ-পদক্ষেপ বিশিষ্ট কৌশল উপস্থাপন করা হয়। এই কৌশলটার মূল উদ্দেশ্য হলো, ব্যবহৃত লেড এসিড ব্যাটারির আনানুষ্ঠানিক ক্ষেত্রগুলোকে যথাযথভাবে রিসাইক্লিং এর প্রক্রিয়ায় আওতাভুক্ত করা। আইসিডিডিআর,বি (২০২০) এর একটি গবেষণায় প্রকাশিত হয়েছে যে, প্রায় অর্ধশত শিল্পের সীসা সরবরাহ ব্যবহৃত লেড-এসিড ব্যাটারি (ইউএলবিএস) থেকে পাওয়া যায় যা অনানুষ্ঠানিক ছোট ক্ষেত্রগুলো দ্বারা রিসাইকেল্ড হয়। এছাড়াও বর্তমানে লেড-এসিড ব্যাটারি ব্যবস্থাপনার যে খসড়া বিধি আছে তাতে যথাযথভাবে রিসাইক্লিং ব্যবস্থাপনার কথা উল্লেখ করা হয়নি। ফলস্বরূপ, বাংলাদেশে ব্যাটারি হ্যা-লিং, পরিবহন এবং চূড়ান্ত ব্যবস্থাপনার জন্য উপযুক্ত আইন জারি করা বাধ্যতামূলক হয়ে পড়েছে।
এই জন্য সরকারের উচিত ব্যবহৃত লেড এসিড ব্যাটারির পরিবেশভিত্তিক সঠিক ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করার জন্য আলোচিত কৌশলটি অনুসরণ করা।
কর্মশালাটি উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ সরকারের সাবেক সচিব ও এসডোর চেয়ারপার্সন সৈয়দ মার্গুব মোর্শেদ। আরো উপস্থতি ছিলেন আস্তর্জাতিক লেড সমিতির পরামর্শক ব্রায়ান উইলসন; বাসেল, রটরডেম এবং স্টকহোম কনভেনশনের প্রোগ্রাম অফিসার ফ্রানস্সিকা সেন্নি; ইউএন এনভায়রনমেন্ট প্রোগ্রাম এর প্রকল্প উনয়ন বিশেষক নিকোলাইন লাভানচি; ইউনিসেফ প্রোগ্রামের স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ মিনজুন কিম; আইসিডিডিআর,বি এর পরিবেশগত হস্তক্ষেপ ই্উনিটের, প্রকল্প সমন্বয়কারী, মো. মাহবুবুর রহমান; এসডো এর মহাসচিব ড. শাহরিয়ার হোসেন; এসডো এর নির্বাহী পরিচালক সিদ্দীকা।
এসডোর চেয়ারপার্সন সৈয়দ মার্গুব মোর্শেদ বলেন, বর্তমান সরকারের উচিত ব্যবহৃত লেড এসিড ব্যাটারির নিয়ে গুরুত্ব সহকারে কাজ করা। এসডো অনানুষ্ঠানিক ছোট ক্ষেত্রগুলো আইনের আওতায় আনার জন্য সব ধরণের সাহায্য করতে প্রস্তুত। এসডো এর নির্বাহী পরিচালক সিদ্দীকা সুলতানা বলেন, ডাবলিউএইচও এর মতে মানবদেহে লেডের প্রভাবের কোন নিরাপদ মাত্রা নেই। আমরা সরকারকে অনুরোধ করবো, নিরাপদ এবং পরিবেশবান্ধব পদ্ধতিতে বাংলাদেশে অবাণিজ্যিক এবং বাণিজ্যিক উভয়ক্ষেত্রে ব্যবহৃত লেড এসিড ব্যাটারি পুনঃপ্রক্রিয়াজাত করার জন্য। এই ক্ষেত্রে শিশুশ্রম কমাতে হবে কারণ এই লেড দূষণ শিশুদের মারাত্মক স্নায়ুবৈকল্যের জন্য দায়ী।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর