এ পর্যন্ত চারজন বিদেশি শিক্ষার্থী ভর্তি হয়ে শিক্ষা কার্যক্রম শেষ করেছে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে। প্রতিষ্ঠার ১৪ বছর পেরিয়ে গেলেও বর্তমানে কোন বিদেশি শিক্ষার্থী ছাড়া শিক্ষা কার্যক্রম চলছে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে। বিদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য প্রয়োজনীয় সুযোগ-সুবিধা ও অবকাঠামো না থাকায় বিদেশি শিক্ষার্থী ভর্তি হচ্ছে না বলে মনে করছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অফিস সূত্রে জানা যায়, ২০১১-১২ শিক্ষাবর্ষে তিনজন ও ২০১২-১৩ শিক্ষাবর্ষে একজন নেপালের শিক্ষার্থী ভর্তি হন। এই চারজন ছাড়া আর কোনো বিদেশি শিক্ষার্থী ভর্তি হননি। বিদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য প্রয়োজনীয় সুযোগ সুবিধা এবং প্রচার-প্রচারণার অভাবকেই দায়ী করছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
বাংলাদেশের অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ে বিদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য বৃত্তি ও প্রয়োজনীয় সুযোগ সুবিধার ব্যবস্থা থাকলেও কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের চিত্র ভিন্ন। এখানে বিদেশি শিক্ষার্থীদের ন্যূনতম আবাসনের ব্যবস্থাও নেই জানান প্রতœতত্ত্ব বিভাগের এক শিক্ষার্থী।
‘বিশ্ববিদ্যালয়ে ওয়েবসাইট সাবজেক্টের নাম আছে কিন্তু এর অধীনে কোন কোর্সগুলো পড়ানো হবে, কোর্সের মেয়াদ কত বছর, কোর্স কো-অর্ডিনেটর সম্পর্কে কোনো তথ্য থাকে না। ফলে বিদেশী শিক্ষার্থীদের কোনো ধরনের আগ্রহ জন্মে না। ওয়েবসাইটে তথ্যের হালনাগাদ করা হয় অনেক দেরিতে।
বিগত চার বছরে ভর্তি পরীক্ষার তথ্য ছাড়া আমার আর কোনো কাজে আসেনি এ ওয়েবসাইট বলে অভিযোগ করেছেন গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতার শিক্ষার্থী এমডি কুতুব উদ্দিন।’
বিদেশি শিক্ষার্থী না আসার কারণ সম্পর্কে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ড. এমরান কবীর চৌধুরী বলেন, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে বিদেশি শিক্ষার্থী আসার মতো সুযোগ-সুবিধা এখনও গড়ে উঠেনি। আবাসনসহ অন্যান্য সুযোগ আমাদের লোকাল ছাত্রদের দিতে পারতেছিনা বিদেশি শিক্ষার্থীদের কিভাবে দিবো ? তবে বিদেশি শিক্ষার্থী আসার জন্য পরিবেশ সৃষ্টি করার চেষ্টা করে যাচ্ছি।