সরাইল উপজেলা ছাত্রদলের ২১ সদস্যের কমিটির অনুমোদন দিয়েছে জেলা ছাত্রদল। এতে আওয়ামী লীগ নেত্রী বেবী ইয়াছমিনের বিবাহিত ছেলে ও পুলিশ অ্যাসল মামলার পলাতক আসামি এম রিফাত বিন জিয়াকে করা হয়েছে আহ্বায়ক। আর সদস্য সচিব করা হয়েছে ঢাকার বাসিন্দা ব্যবসায়ী মো. আমান উল্লাহকে। আমানের বিরুদ্ধে রয়েছে অছাত্রত্বের অভিযোগ। গত বুধবার এ কমিটি ঘোষণা করা হয়। ওইদিন রাতেই অবৈধ ও পকেট কমিটির অভিযোগ এনে রিগানের নেতৃত্বে ছাত্রদলের একটি গ্রুপ প্রত্যাখ্যান করে। রাত ১০টার দিকে মিছিল শেষে পথসভা চলাকালে ওই কমিটিরই যুগ্ম আহ্বায়ক-২ মোস্তাকিমুর রহমান ও সরাইল সরকারি কলেজ শাখা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি মোস্তাক আহমেদ খন্দকার রিগানকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। দলীয় একাধিক সূত্র জানায়, এক বছর আগে সরাইল উপজেলা ছাত্রদলের কমিটি ভেঙে হঠাৎ জেলা ছাত্রদল কর্তৃক অনুমোদিত দলীয় প্যাডে ২১ সদস্য বিশিষ্ট সরাইল উপজেলা ছাত্রদলের একটি কমিটি ঘোষণা করা হয়।
কমিটির ওই কাগজটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও মুহূর্তেই ভাইরাল হয়ে যায়। বিষয়টি জেনে ক্ষোভে রাজপথে নেমে পড়ে রিগানের নেতৃত্বে ছাত্রদলের একাংশের নেতাকর্মীরা। তারা ঘোষিত কমিটিকে অবৈধ, গঠনতন্ত্র পরিপন্থি ও মনগড়া পকেট কমিটি অভিহিত করে মিছিলে নেমে পড়ে। সরাইল উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি মো. ইসমাইল হোসেন উজ্জ্বল বলেন, গঠনতন্ত্র অনুযায়ী বিবাহিত অছাত্র ছাত্রদলের কমিটিতে আসতে পারে না।
জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক ফুজায়েল চৌধুরী ছাত্রদলের গঠনতন্ত্রে কোনো অছাত্র ও বিবাহিতের স্থান কমিটিতে নেই। সরাইলের কমিটি কেন্দ্রের নির্দেশে করা হয়েছে। আমরা এর বেশি কিছু জানিনা।